এক সময় ইংলিশ চ্যানেল সাঁতরে পার হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। বন্ধুদের সঙ্গে বাজি ধরে এক বার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সুইমিং পুলে সাঁতারও কেটেছিলেন। তখন আইআইটি কানপুরে সিভিল এঞ্জিনিয়ারিং পড়ছেন। সাঁতারের নেশা অবশ্য তাঁর আগে থেকেই ছিল। বাবা রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য আধিকারিক হিসাবে বারাণসীতে চাকরি করার সময় থেকেই গঙ্গায় সাঁতার কাটতে নেমে পড়তেন। রাজ্য স্তরের বহু সাঁতার প্রতিযোগিতায় জিতেছেন। তবে ইংলিশ চ্যানেল পার করা আর হয়নি জ্ঞানেশ কুমারের। আইএএস-এর চাকরি করে এখন তিনি মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। নিত্যদিন তাঁকে ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন নিয়ে রাহুল গান্ধী থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোপের মুখে পড়তে হচ্ছে। তবে তার মধ্যেও এখনও ছুটির দিনে সাঁতার কাটতে নেমে পড়েন জ্ঞানেশ কুমার। সম্প্রতি আইআইটি কানপুর বিশিষ্ট প্রাক্তনী হিসাবে তাঁকে সম্মান জানাল।
ব্যস্তসমস্ত: নয়াদিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার।
সবচেয়ে জনপ্রিয়
দিল্লিতে এখন দেওয়ালি মিলন পর্বের পালা। বিহার বিধানসভার প্রচারের ফাঁকে সময় পেলেই নৈশভোজ দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী-সাংসদেরা। এরই মধ্যে ‘ইগাস বগওয়াল’ বা ‘বুঢ়ি দেওয়ালি’ উপলক্ষে নিজের দিল্লিস্থিত বাংলোয় নৈশভোজ দিয়েছিলেন উত্তরাখণ্ডের গাড়োয়াল লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অনিল বালুনি। পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, রাবণ বধের পরে রাম অযোধ্যা পৌঁছলে দেওয়ালি উৎসব হয়েছিল। রামের ঘরে ফেরার সেই খবর এগারো দিন পরে পৌঁছেছিল উত্তরাখণ্ডে। সে কারণে দেওয়ালি-র এগারো দিন বাদে এখনও ‘বুঢ়ি দেওয়ালি’ উদ্যাপন করে থাকেন উত্তরাখণ্ডের মানুষ। সেই উপলক্ষে বালুনির দেওয়া নৈশভোজে এসেছিলেন অধিকাংশ মন্ত্রী সাংসদ। উপস্থিত ছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল। সবচেয়ে বেশি ভিড় ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেই কেন্দ্র করে। কিন্তু তাঁকেও যিনি ছাপিয়ে গিয়েছেন তিনি মন্ত্রী বা নেতা কেউ নন। তিনি হলেন বাগেশ্বর ধামের পীঠাধীশ্বর ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী। বাংলোর এক কোণে থাকা সেলফি পয়েন্ট-এ ধীরেন্দ্র শাস্ত্রীকে ঘিরে এত ভিড় হয় যে, এক সময়ে নিরাপত্তারক্ষীদের হস্তক্ষেপের দরকার হয়ে পড়ে। এক সাংসদের স্বগতোক্তি, রাজনীতিতে ধর্মের প্রয়োগ কেন হয়, তা ভিড় দেখেই বোঝা যাচ্ছে।
আমরা সবাই নেতা
বিহারের নির্বাচন শেষ হলেই পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের জন্য ঝাঁপাতে চলেছে বিজেপি। প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে শুরু হয়েছে কেন্দ্রীয় নেতাদের পশ্চিমবঙ্গে আনাগোনা। কিন্তু রাজ্যে পা দিতেই যে ভাবে বিজেপি কর্মীরা বিধানসভার টিকিটের জন্য দরবার করছেন তাতে রীতিমতো নাজেহাল দশা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। ফি সপ্তাহে কলকাতা আসা-যাওয়া করা দলের এক কেন্দ্রীয় নেতার কথায়, “বৈঠকের ফাঁকে, বৈঠকের শেষে নেতা-কর্মীরা খালি বলছেন, দাদা একটু আলাদা করে কথা ছিল। আলাদা কথার অর্থই হল বিধানসভার টিকিট চাই। বড়-মেজো-ছোট কোনও নেতাই বাকি নেই।” ওই নেতার মতে, তিনি অনেক রাজ্যে নির্বাচন করিয়েছেন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে যে ভাবে সবাই নেতা হতে চান, এমন প্রবণতা অন্য রাজ্যে দেখেননি।
আসরে নীতীশ-পুত্র?
বিহারের রাজনীতিতে এখন জোর চর্চা নিশান্ত কুমারকে নিয়ে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের একমাত্র পুত্র। রাঁচীর বিআইটি থেকে সফটওয়্যার এঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করা নিশান্ত রাজনীতি থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখেন। অন্তত প্রকাশ্যে। তবে নীতীশের দল জেডি(ইউ)-এর অনেক নেতাই চান, নিশান্ত রাজনীতিতে আসুন। নীতীশের বয়সজনিত অসুস্থতার কারণে এনডিএ ক্ষমতায় ফিরলেও তিনি আর মুখ্যমন্ত্রী হবেন কি না, বা হলেও কত দিন থাকবেন, সে নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। একই সঙ্গে নীতীশ পুত্রের রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা নিয়েও চর্চা চলছে পটনায়।
নবীন: আলোচনায় নিশান্ত কুমার।
দারিদ্রের স্মৃতি
মর্মস্পর্শী কাহিনি শোনালেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। সম্প্রতি নিউ ইয়র্কে টাইম ম্যাগাজ়িন আয়োজন করেছিল আলোচনা সভার। আমন্ত্রিত ছিলেন স্মৃতি। মঞ্চে উঠে জানালেন, কী ভাবে তাঁর জীবনের বৃত্ত সম্পূর্ণ হল। স্মৃতির দরজা খুলে স্মৃতি তুলে ধরলেন সেই সব দিনের কথা, যখন তাঁর বাবা চল্লিশ বছর আগে এই টাইম ম্যাগাজ়িন-এরই পুরনো সংস্করণগুলি নয়াদিল্লির রাস্তায় বিক্রি করতেন। তাতেই সংসার নির্বাহ হত স্মৃতি ইরানিদের।
প্রেমাংশু চৌধুরী,অনমিত্র সেনগুপ্ত, অগ্নি রায়
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)