ওয়াশিংটন ডিসি-তে তুলকালাম। দিনকয়েক আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এক নৈশভোজে ডেকেছিলেন কিছু বিশেষ অতিথিকে। অনুষ্ঠানের আসরের বাইরে ঢল নামল বিক্ষুব্ধ জনতার, তাদের হাতের পোস্টারে লেখা ‘লজ্জা’, ‘ধিক্কার’। আসলে, ট্রাম্পের ক্রিপ্টোকারেন্সি মিমকয়েনে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করেছেন, এমন ২২০ জন অতিথি হাজির ছিলেন সেই ডিনারে। ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের আগে বাজারে এসেছিল এই মিমকয়েন। গোড়ায় দাম আকাশ ছুঁয়েছিল, তার পর পপাত চ, মমার চ। আবার তার দাম বাড়ানোর ফিকির প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ডিনারের টোপ, বলছেন সমালোচকরা। ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসম্যান জ্যামি রাসকিন দাবি করলেন, প্রেসিডেন্ট তাঁর অতিথি-তালিকা প্রকাশ করুন; তদন্ত হোক এই নৈশভোজ নিয়ে। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তিন মাসেই নাকি ট্রাম্পের ব্যক্তিগত সম্পদ বেড়েছে কয়েক বিলিয়ন ডলার। ট্রাম্পের মুখপাত্র অবশ্য বলছেন, রাজনীতিতে আসার আগেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিপুল সম্পদের মালিক ছিলেন; তিনি বরং দেশের জন্য ত্যাগস্বীকার করছেন। আমন্ত্রিত অতিথিরা আশাবাদী, ক্রিপ্টোকারেন্সির ভবিষ্যতের পক্ষে ইতিবাচক পদক্ষেপ করবেন প্রেসিডেন্ট। এ দিকে মিডিয়ায় শোরগোল, এমন মহার্ঘ ডিনারে খাবারদাবার নাকি একেবারেই অখাদ্য ছিল।
প্রতিবাদ: ক্রিপ্টো-নৈশভোজের বিরুদ্ধে নাগরিক জমায়েত। ছবি: রয়টার্স।
বিপন্ন জাতীয়তা
কুয়েতে গত কয়েক মাস যাবৎ বিনিদ্র রজনী যাপন করছেন লোকজন। গত অগস্ট থেকে ২৬ হাজার মহিলা-সহ ৩৭ হাজারেরও বেশি মানুষ দেশের নাগরিকত্ব হারিয়েছেন। কুয়েতের বর্তমান প্রশাসনের সংস্কারবাদী পরিকল্পনার জেরেই নাগরিকত্ব বাতিলের হিড়িক পড়েছে। অনেকের মতে, সরকারের এমন পদক্ষেপের অন্যতম লক্ষ্য আদতে যাঁরা সেই দেশের মানুষ তাঁদের মধ্যে জাতীয়তাকে সীমাবদ্ধ রাখা। সেই সঙ্গে দেশের ভোটারসংখ্যা কমিয়ে আনা। তবে, মহিলাদের উপরে কোপটি বেশি পড়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, জাতীয়তার অধিকারের মতো গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক অধিকারের কি তবে কোনও মূল্য নেই কুয়েতে?
এক কথা
রাস্তার উপরে ম্যানহোলের ঢাকনা, সে তো কত জায়গাতেই আছে। আমেরিকার সিয়াটলে তেমনই এক ঢাকনার ছবি সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, কেননা তাতে খোদাই করা আছে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’। অর্থনীতি, বাণিজ্য, পরিবেশ নিয়ে কথা চালাচালি চলছে এই সূত্রে: কেউ তথ্য দিয়ে বলছেন এ তো হবেই, কাস্ট আয়রনে তৈরি পণ্যের রফতানি-বাণিজ্যের লিস্টিতে ভারত উপরের দিকে; কেউ দেখাচ্ছেন, আমেরিকায় লৌহ উৎপাদন-শিল্পে বিপুল খরচ, পরিবেশগত বিধিনিষেধও বিস্তর। কেউ আবার দুয়ো দিচ্ছেন স্বজাতিভাগ্যকে, এই করেই দেশটা বিদেশি জিনিসে ভরে গেল!
ভরাডুবি
জলে ভাসার আগেই প্রায় ডুবল রণতরী। তাও আবার উত্তর কোরিয়ার। ‘ডেস্ট্রয়ার’ নামক ৫০০০ টন ওজনের রণতরীটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বিস্তর চটেছেন সে দেশের সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। বলেছেন, এটা অপরাধমূলক ঘটনা— এতে দেশের মানসম্মানের বিপুল ক্ষতি হল। গ্রেফতার চার জন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন শাসক দলের বড় দরের নেতা রি হং-সন’ও। শাস্তি— আজীবন কারাবাস থেকে মৃত্যুদণ্ড, হতে পারে অনেক কিছুই। উত্তরের প্রেসিডেন্টের উষ্মায় বিচলিত দক্ষিণ কোরিয়াও। সাধারণত এমন ব্যর্থতার খবর উত্তর কোরিয়ার বাইরে আসে না। এ ক্ষেত্রে আসছে, মানে প্রস্তুতির মাত্রা বেশ ভালই। এবং, সে ক্ষেত্রে আক্রমণের প্রথম লক্ষ্য যে যমজ দেশটিই, দক্ষিণ কোরিয়ার এই শঙ্কাকে উড়িয়ে দেওয়ার উপায় নেই।
বিধ্বস্ত: রণতরী ডেস্ট্রয়ার। ছবি: পিটিআই।
পাথর চুরি
বেড়াতে গিয়ে কেনাকাটার পাশাপাশি বিনামূল্যেও কত কিছুই না পকেটে ভরি: পাহাড়ি নদীর ছোট্ট নুড়ি, সাগরতটের ঝিনুক। তাতে কেউ বিরক্ত হয় না। তবে বেলজিয়ামের প্রাচীন শহর ব্রুজ-এর বাসিন্দারা তিতিবিরক্ত: পর্যটকরা এসে শহরের কব্লস্টোন-এ বাঁধানো রাস্তা থেকে সেই পাথর তুলে নিয়ে যাচ্ছেন স্মারক হিসাবে! তাঁদের দৌরাত্ম্যে প্রতি মাসে প্রায় ৫০-৭০টা পাথর উধাও, বিপুল খরচে তা মেরামত করতে হচ্ছে পুরকর্মীদের, আছে দুর্ঘটনার ভয়ও। ব্রুজের এই সব রাস্তা তৈরি হয়েছে মধ্যযুগে, গায়ে তাদের ইউনেস্কোর তকমা-আঁটা, ঐতিহ্যমূল্য সহজেই অনুমেয়। এমন ‘পাথুরে প্রমাণ’ হাত করতে চেয়েই বেধেছে গন্ডগোল।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)