হ্যালোউইনের দিনটুকু অন্তত ধরপাকড় বন্ধ রাখুন, বাচ্চাদের একটু আনন্দ করতে দিন। ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই)-র কাছে আবেদন করলেন ইলিনয়-এর গভর্নর জে বি প্রিটজ়কার। ‘অবৈধ অভিবাসী’র খোঁজে দেশ জুড়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে আইসিই, এখন আন্তর্জাতিক খবরের কেন্দ্রে ইলিনয়, চলছে ‘অপারেশন মিডওয়ে ব্লিট্জ়’। ট্রাম্প প্রশাসন প্রদেশে ন্যাশনাল গার্ড-কে নামাতে চায়, প্রদেশের শাসনক্ষমতা খর্ব করে ফেডারাল নিয়ন্ত্রণ চাপাতে চায়। সুপ্রিম কোর্ট আপত্তি করেছে এই সিদ্ধান্তে। এ দিকে, শিকাগোর শহরতলি থেকে অবৈধ অভিবাসী সন্দেহে এক জনকে যে ভঙ্গিতে গ্রেফতার করল পুলিশ, তার ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে। ১৯৪০-উত্তর দুনিয়ায় সে দৃশ্য সুলভ নয়। এই আবহেই গভর্নরের আবেদন: হ্যালোউইনের দিনটা বাচ্চারা অন্তত আনন্দ করুক। আইসিই-র হৃদয় গলেনি। প্রতিনিধি বলেছেন, প্রিটজ়কার ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিয়োরিটি (ডিএইচএস)-র উপরে কালি ছেটানোর চেষ্টা করছেন, তাঁর প্রশ্রয় পাওয়া অপরাধীদের ডিএইচএস শায়েস্তা করতে চায় বলেই গভর্নরের এত গাত্রদাহ। বিশ্ব জুড়েই দক্ষিণপন্থী শাসক ও প্রশাসন এক ভাষায় ভঙ্গিতে কথা বলে!
ভয়ার্ত?: শিশুদের হ্যালোউইন-আনন্দে বাগড়ার আশঙ্কা আমেরিকার ইলিনয় প্রদেশে
‘সাধারণ’ মেয়ে
‘রাজপুত্র’ ও অন্যান্য রাজ-উপাধি গিয়েছে, ছাড়তে হচ্ছে ‘রয়্যাল লজ’ও। কিন্তু ব্রিটেন জুড়ে এখন অ্যান্ড্রুকে নিয়ে যত না কথা, তারও বেশি ভার্জিনিয়া জুফ্রে-কে নিয়ে: মেয়েটা দেখে যেতে পারল না সে কী করে গেল! গত মাসেই বেরিয়েছে তাঁর আত্মকথা নোবডি’জ় গার্ল, ভার্জিনিয়া সেখানে লিখেছেন জেফ্রি এপস্টাইন থেকে অ্যান্ড্রু সকলের অপরাধ ও যৌন কুকীর্তির ফিরিস্তি, অ্যান্ড্রু সব অভিযোগ এতকাল অস্বীকার করে এলেও এই বই প্রকাশের পরে আর শেষরক্ষা হল না। ভার্জিনিয়ার পরিজন, বন্ধু ও সহকর্মীরা বলছেন, অতি ক্ষমতাধরের বিরুদ্ধে এক অতি সাধারণ মেয়ের অসাধারণ লড়াইয়ের দৃষ্টান্ত ওঁর জীবন, আত্মহননে চলে না গেলে আজ সত্যিই হত বিজয়োৎসব।
মানুষের ইন্টারনেট
ইলন মাস্ক-এর সংস্থা এক্স-এআই তৈরি করেছে অনলাইন তথ্যভান্ডার গ্রকিপিডিয়া, যা প্রায় পুরোটাই লেখা হয়েছে কৃত্রিম মেধা ব্যবহার করে। উইকিপিডিয়ার বাজার কাড়তেই এই নতুন তথ্যভান্ডার, সন্দেহ নেই। মাস্ক দীর্ঘ দিন ধরেই উইকিপিডিয়ার প্রবল সমালোচক— তার আদর্শগত পক্ষপাত আছে বলেই মাস্কের মত। উইকিপিডিয়াও এক খোলা চিঠিতে বলেছে, যন্ত্র নয়, মানুষের হাতেই ইন্টারনেটের ভার থাকার কথা ছিল। তারা সেই প্রতিশ্রুতিই রক্ষা করছে।
অভিনব: নেদারল্যান্ডসে ভাসমান বাড়ি
বিকল্প ভাবনা
নেদারল্যান্ডসে এখন জলের উপরেই তৈরি হচ্ছে বাড়ি। মূলত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্রমবর্ধমান বন্যা সমস্যা, এবং আবাসনের জন্য পর্যাপ্ত জমির অভাবে। যে-হেতু বহু মানুষই এমন বাড়িতে আগ্রহী, তাই সেখানকার আধিকারিকরাও এই নির্মাণ সংক্রান্ত আইনের আধুনিকীকরণ করছেন। এই ধরনের ভাসমান বাড়ি যে কোনও উপকূলে তৈরি করা যেতে পারে এবং তা জলের উপরে থাকার ফলে সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ বা বৃষ্টিজনিত বন্যা মোকাবিলা করতে সক্ষম। বস্তুত, জলবায়ু পরিবর্তনের যুগে নগর সম্প্রসারণের জন্য ভাসমান বাড়িগুলি অন্যতম উপযুক্ত বিকল্প হতে পারে। শুধু ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং নরওয়ের মতো ইউরোপীয় দেশগুলিতেই নয়, ফ্রেঞ্চ পলিনেসিয়া এবং মলদ্বীপের মতো দেশেও বৃহত্তর স্তরে এই ধরনের প্রকল্প চালু করার কথা ভাবা হচ্ছে।
বিরল বিড়াল
ধ্বংসের কিনারা থেকে ফিরে আসছে বুনো বিড়াল আইবেরিয়ান লিংক্স। স্পেন ও পর্তুগালের বিরল প্রজাতির এই বিড়াল ইউরেশিয়ান লিংক্স-এর জাতভাই; জ্বলজ্বলে চোখ, গায়ে ঘন ফুটকি, ছোট্ট লেজ। এ বার চিত্রগ্রাহকের ক্যামেরায় স্পেনের দক্ষিণে প্রথম ধরা পড়ল সাদা রঙের আইবেরিয়ান লিংক্স, যা এতই বিরল যে লোকে তাকে আষাঢ়ে গপ্পো ভাবত। সমঝদার মাত্র জানেন, প্রকৃতির অন্দরে এমন রোমাঞ্চ আর বিস্ময় অগাধ। তাই তাকে খুঁজতে অভিযানে বেরোন তাঁরা। আর কেউ কেউ ঘরের চার দেওয়ালে বসে এআই দিয়ে ভিডিয়োতে বাঘকে নেশা করিয়ে তাকেই মজা ভেবে নৃত্য জুড়েছেন। দুধ ও পিটুলিগোলার তফাত আর কী!
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)