প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অরুণাচল সফর ঘিরে উষ্মা প্রকাশ করার স্পর্ধা দেখাল চিন। যথাযোগ্য জবাব দিল ভারত। দিল্লি জানিয়ে দিয়েছে, বেজিংয়ের উষ্মাকে গুরুত্ব দিতে রাজি নয়। জবাব স্পষ্ট, বস্তুত ভারতের তরফে বহু দশক ধরে এই মানসিকতা প্রকাশের পরেও চিন এখনও যে তাদের বিরক্তি প্রকাশ করে, এ নিছক স্পর্ধা ছাড়া আর কীই বা হতে পারে?
আন্তর্জাতিক দুনিয়ার কাছে ভারত এই কথা স্পষ্ট করেছে বহু আগেই, অরুণাচল প্রদেশ ভারতের একটি অঙ্গরাজ্য, অতএব অবিচ্ছেদ্য এবং তার অবস্থান তর্কাতীত। চিন এই বক্তব্যক মানতে চায় না, কিন্তু বাস্তব এটাই, অরুণাচল প্রদেশ ভারতের সার্বিক ব্যবস্থার অঙ্গ হিসাবেই কাজ করে থাকে। নির্বাচন হোক বা রেশন ব্যবস্থা, শিক্ষা হোক বা চিকিত্সা, আধার হোক বা প্যান কার্ড— অরুণাচল প্রদেশ আদ্যোপান্ত ভারতীয়, চৈনিক ব্যবস্থার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। এ বারও কি নতুন করে ভেবে দেখবে না বেজিং?
চিনের এই প্রতিক্রিয়া, বিশেষত এই রকম একটা সময়ে, কিছুটা বিস্ময়জনকও। ডোকলামকে পিছনে ফেলে এসে ভারত ও চিন যখন সখ্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে পরস্পরের দিকে, মার্কিন চোখরাঙানির সামনে চিন যখন ভারতের সঙ্গে উষ্ণতাবৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করছে একটু বেশি করেই, সেই সময় এহেন একটা বিবৃতি বিস্ময়ের উদ্রেক করে বইকি। এটা ঠিক, ভারতের শীর্ষ নেতৃত্বের কেউ যখনই অরুণাচল সফরে গিয়েছেন, চিন কড়া বিবৃতি দিয়েছে, তাদের দিক থেকে প্রত্যাশিত ভঙ্গিমায়। এ বারের বিবৃতিও যদি নিতান্তই রুটিনমার্কা হয়ে থাকে, অসুবিধা নেই। অন্যথায় চিনকে বুঝতেই হবে, ভারতের সঙ্গে করমর্দনের পথই তাদের জন্য এখন স্বস্তিদায়ক, সম্পর্কের শীতলতাবৃদ্ধি কাম্য নয়।
সম্পাদক অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা আপনার ইনবক্সে পেতে চান? সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
আরও পড়ুন: মোদীর অরুণাচল সফরে বিরক্ত চিন, একেবারেই গুরুত্ব দিতে রাজি নয় দিল্লি
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy