পুজোর কলকাতা এক অনন্য উপলব্ধি। এ বিশ্বে যদি কোনও উৎসব মানচিত্র থাকে, তা হলে সে মানচিত্রে এ মহানগরের অস্তিত্ব বেশ উজ্জ্বল। সেই ঔজ্জ্বল্যকে অমলিন রাখতে যাঁদের ভূমিকা অনস্বীকার্য, তাঁরা কলকাতা পুলিশ। গত কয়েক বছরে সে ভূমিকা আরও প্রশংসনীয় হয়ে উঠেছে সন্দেহ নেই। পুজোর কলকাতায় ট্র্যাফিক ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক এবং প্রত্যাশার চেয়েও মসৃণ রেখে কলকাতা পুলিশ গত কয়েক বছর ধরে চমকে দিচ্ছে। এ বছরও তেমন ভূমিকাই দেখা যাবে আশা রাখা যায়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তা দেখা যায়নি।
প্রশ্নটা এখানেই ওঠে। ট্র্যাফিক পুলিশ তথা কলকাতা পুলিশের বিপুল তৎপরতা মহাসপ্তমীর বিকেল থেকে দেখতে পাই আমরা। উৎসবের শুরুটা যখন বছর বছর এগিয়ে আনছি, চতুর্থীতে বা তৃতীয়াতে বা দ্বিতীয়াতে বা মহালয়াতেই যখন উৎসবের সিংহদুয়ার উন্মুক্ত করে দিচ্ছি, তখন পুলিশের এই তৎপরতাটাই বা আরও একটু এগিয়ে আনি না কেন?
মহালয়া কাটার পর থেকেই মহানগরের সান্ধ্য রাজপথ অল্প অল্প করে সমাগম বাড়তে দেখছে। প্রত্যাশিতই ছিল। চতুর্থী-পঞ্চমীর সন্ধ্যায় হাঁসফাঁস করতে দেখা গেল গোটা মহানগরের ট্র্যাফিক ব্যবস্থাকে। যে মন্ত্রে মহাসপ্তমী থেকে উৎসবের সব পথ মসৃণ রাখে পুলিশ, সেই মন্ত্র ফিতে কাটার সঙ্গে তাল মিলিয়ে উচ্চারিত হলে এই অবস্থা দেখতে হত না।
গত কয়েক বছরে পুজোর কলকাতাকে স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের আন্তরিক এবং সফল প্রয়াসের প্রতি প্রশংসা রেখেই বলছি, এই খামতিটুকুও মিটিয়ে ফেলাই জরুরি। কলকাতা পুলিশের সাদা উর্দিটা পুজোর কলকাতায় অন্তত ধবধবে সাদাই থাক। কালির বিন্দুমাত্র ছিটেও দেখতে চাই না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy