রুপোলি পর্দার নায়িকা প্রার্থীদের (বিশেষ করে তৃণমূল প্রার্থী মিমি চক্রবর্তী ও নুসরত জাহানের) স্বল্পবসনা ছবি এবং তাঁদের অভিনীত চলচ্চিত্রের অশ্লীল সংলাপ (ছবির নিরিখে হয়তো নয়, আলাদা ভাবে দেখলে অশ্লীল) পোস্ট করছেন এক শ্রেণির বিকৃত মানসিকতার মানুষ। বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় এর প্রতিবাদ করেছেন। ধন্যবাদ জানাই এই সাংসদকে। অত্যন্ত সঙ্কীর্ণ রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে এ সব হচ্ছে। আগের নির্বাচনগুলিতে শতাব্দী রায় এবং মুনমুন সেনকে নিয়েও অশ্লীল কথা ও ছবি ছড়িয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু ফল হয় উল্টো। তাই প্রত্যেকের কাছে আবেদন, লড়াই হোক রাজনৈতিক। অযথা কাদা ছুড়ে নিজের ও দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করবেন না।
গৌতম সিংহ রায়
জঙ্গিপুর, মুর্শিদাবাদ
নেড়া পোড়া
ছোটবেলায় দোলের আগের দিন পাড়ার গাছ-গাছালির মরা ডালপাতা কুড়িয়ে যেমন হোক একটা অবয়ব খাড়া করে সন্ধে হলে আগুন ধরিয়ে দিতাম। নেড়া-পোড়ার উদ্দেশ্য-বিধেয় কিছুই জানতাম না। নিছক আগুন নিয়ে খেলাই ছিল আনন্দ পাওয়ার উপকরণ। পাড়ায় পাড়ায় হইহই করে চলত ‘নেড়া-পোড়া’, ‘চাঁচর’, ‘বুড়ির ঘর পোড়ানো’। কেউ বারণ করেনি। এখন আদালতের পর্যবেক্ষণ, খোলা জায়গায় ডাল, পাতা, কাগজ, প্লাস্টিক, টায়ার ও অন্যান্য আবর্জনা পোড়ালে পরিবেশ দূষিত হয়। ধোঁয়া ও বিষাক্ত গ্যাসে শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলেই অল্পবিস্তর ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই নেড়া-পোড়ার আনন্দে মেতে ওঠার আগে আমাদের এই কথাগুলোকে ভেবে দেখতে হবে। মানুষের আনন্দ, উত্তেজনা ও ধর্মীয় বিশ্বাস সরিয়ে, আমাদের পরিবেশ রক্ষায় আমরা কতটা সচেতন, তা দেখাতে হবে।
অতীশ ঘোষ
মাখলা, হুগলি
ছকভাঙা!
‘ছবিতে, ভাষণে ছকভাঙা প্রিয়ঙ্কা’ (১৫-৩) খবরটা পড়ে খোদার কসম তিন মিনিট হেসেছি। আমি এক জন শিক্ষক ও গবেষক, তাই সর্বদা চেষ্টা করি পড়ানো এবং গবেষণা দুটোতেই ছকভাঙা কিছু করার জন্যে। আমার দীর্ঘ ১৮ বছরের শিক্ষকতা ও প্রায় ১৫ বছরের গবেষণার অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি, ছকভাঙা সে রকম কিছুই করতে পারিনি। যা-ই হোক, আমি পারিনি বলে অন্য কেউ পারবে না, তা তো নয়। যাঁরা পারেন তাঁদের আমরা কুর্নিশ করি। কিন্তু প্রিয়ঙ্কা কী করেছেন? একটা বিখ্যাত পরিবারে জন্মেছেন, যাদের বিরুদ্ধে হাজার দুর্নীতির অভিযোগ। সেই পরিবারের ছেলেমেয়েদের নেতৃত্ব দেওয়ার গুণ থাকুক না থাকুক, তাঁরা দলের সবচেয়ে বড় পদে বসে যেতে পারেন, অনেক মাঠেঘাটে লড়াই করে তৈরি হওয়া নেতাদের কাঁচকলা দেখিয়ে। কী ছকভাঙা কাজ প্রিয়ঙ্কা করেছেন? ‘ভাইয়ো অর বেহনো’ শব্দবন্ধকে বদলে তিনি ‘বেহনো অর ভাইয়ো’ করেছেন। এটা যদি ছকভাঙা হয়, তা হলে গবেষক হিসেবে আমার নয়-নয় করে ১৫টা নোবেল প্রাইজ় পাওয়া উচিত। দয়া করে একটি নির্দিষ্ট পরিবারের ঢাক না পিটিয়ে, প্রকৃত সংবাদ পরিবেশন করুন।
কৌশিক মুখোপাধ্যায়
সাঁইথিয়া, বীরভূম
ইডি ভোট
ভোটকর্মীরা সাধারণত ইডি ভোট প্রদান করে থাকেন। আমাদের দাবি, সেই ইডি ভোট কোনও ভাবেই বুথ অনুযায়ী গণনা করা যাবে না। কারণ একটা বুথে ভোটকর্মী হিসেবে যদি দু’চার জন থাকেন, তা হলে তাঁরা কাকে ভোট দিচ্ছেন তা পরিষ্কার বোঝা যায়। ফলে ভোট গণনার পর রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি হয় সেই ব্যক্তিদের উপর। তাই ইডি ভোটের ব্যালট পেপার ওই লোকসভা কেন্দ্রের সমস্ত ইডি ভোটের ব্যালট পেপারের সঙ্গে মিশিয়ে, গণনা করতে হবে।
কিংকর অধিকারী
যুগ্ম সম্পাদক, শিক্ষক শিক্ষাকর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চ, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটি
পরামর্শ
ভোটকেন্দ্রে নিযুক্ত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পোলিং এজেন্টদের মূল কাজ হল ভোটার শনাক্ত করা। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বুথের ভিতরে বসে ভোটারদেরকে প্রভাবিত করার অভিযোগ ওঠে পোলিং এজেন্টদের বিরুদ্ধে। এ জন্য প্রতিটি বুথে বসানো হোক সিসিটিভি, আর ভোটকেন্দ্রের বাইরে বসে, সরাসরি বড় পর্দায় দেখে ভোটার শনাক্ত করুন পোলিং এজেন্টরা। ভোট পরিচালনার জন্য বুথের ভিতরে থাকুন শুধুমাত্র কমিশন নিযুক্ত ভোটকর্মীরা।
জ্যোতি প্রকাশ ঘোষ
গোবরডাঙা, উত্তর ২৪ পরগনা
মহৎ দান
উইপ্রো-র কর্ণধার আজিম প্রেমজি মানুষের কল্যাণে আরও প্রায় ৫৩ হাজার কোটি টাকা দানের অঙ্গীকার করলেন। ভারতে এই মাপের শিল্পপতি অনেকেই আছেন, কিন্তু তার মধ্যে কয়েক জনকে বাদ দিলে, বেশির ভাগই, নীরবে শুধু সমাজের হতদরিদ্র শ্রেণির দিনযাপন দেখেই চলেছেন, তাঁদের জন্য করছেন না কিছু। প্রেমজি বা অন্যান্যরা যে দৃষ্টান্ত বছরের পর দেখাচ্ছেন, তা বাকি শিল্পপতিরাও সাধ্যমতো অনুসরণ করলে, অনেক তাড়াতাড়ি দেশের অগ্রগতি সম্ভব। বলিউডের প্রথম সারির নায়ক- নায়িকারা তাঁদের অতিরিক্ত সম্পদের একটা মোটা অংশ একই ভাবে মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করতে উৎসাহ পেলে, সেটা মন্দ হয় না।
মৃণাল মুখোপাধ্যায়
কসবা, কলকাতা
শিক্ষাগত
ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি এবং আইনসভার সদস্য নির্বাচিত হতে গেলে কোনও শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন নেই। কিন্তু ১৯৫১ সালে ভারতের সাক্ষরতার হার ছিল মাত্র ১৮.৩৩%। ২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশের সাক্ষরতার হার বেড়ে হয়েছে ৭৩% (তথ্যসূত্র data.gov.in)। এমতাবস্থায় এই সব গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হতে গেলে শিক্ষাগত যোগ্যতার মাপকাঠি রাখার বিষয়টি নিয়ে নতুন ভাবে চিন্তাভাবনার দরকার। এর জন্য সংবিধান সংশোধন-সহ নানা পদক্ষেপ জরুরি।
মলয় ভট্টাচার্য
কলকাতা-৬১
নার্স বললেন
‘আয়াতন্ত্র’ (৭-৩) চিঠিটি পড়ে, একটি অভিজ্ঞতা জানাই। বেশ কিছু দিন আগে আমার শ্বাশুড়ির হঠাৎ স্ট্রোক হলে, পাড়ার ছেলেরা তাঁকে একটি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেছিল। আমার অফিসে খবর পাঠালে আমি হাসপাতালে এসে দেখি, স্যালাইন চলছে, কিন্তু বোতল খালি। রোগিণীর বাঁ হাতের তিন চার জায়গায় কয়েকশো লাল পিঁপড়ে রক্তশোষণে ব্যস্ত। নার্সকে বললাম, তিনি বললেন, যা করার আয়াই করবে। ফিরে এসে দেখি, আয়া সিরিঞ্জের সুচ দুই পায়ের বিভিন্ন শিরায় ঢোকাবার বিফল চেষ্টা করে চলেছেন, আর রক্তপাতও বন্ধ হচ্ছে না। আবার নার্সের শরণাপন্ন হলাম, এ বারেও তিনি বললেন, ও সব আয়াদের কাজ, যদি আয়া জানায় যে সে পারছে না, তখন দেখা যাবে। নার্সটি ব্যস্ত হয়ে পড়লেন একটি বাংলা পত্রিকা পড়তে। কিছু ক্ষণ ওইখানে থেকে লক্ষ করলাম, অনেক রোগিণী সুস্থ হলেও বাড়ি যাননি, কারণ অবশ্যই দারিদ্র। আরও দেখলাম, রোগিণীরা বাথরুমে যান না, পরিবর্তে কোথায় শৌচকর্ম সারা হয় তা পাঠক আন্দাজ করুন! ওই রাতেই শাশুড়িকে প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করতে বাধ্য হই।
কিশোর পালচৌধুরী
কল্যাণী, নদিয়া
চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা
সম্পাদক সমীপেষু,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।
ইমেল: letters@abp.in
যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy