Advertisement
E-Paper

সম্পাদক সমীপেষু: তিন দিন কেন?

লোকসভা ভোট উপলক্ষে ভোটকর্মীদের তিনটি নির্দিষ্ট দিনে তিনটে ট্রেনিংয়ের আয়োজন করা হচ্ছে।

শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০১৯ ০০:০০
প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন ভোটকর্মীরা। (প্রতীকী ছবি)

প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন ভোটকর্মীরা। (প্রতীকী ছবি)

লোকসভা ভোট উপলক্ষে ভোটকর্মীদের তিনটি নির্দিষ্ট দিনে তিনটে ট্রেনিংয়ের আয়োজন করা হচ্ছে। সাধারণত শনিবার ও রবিবার (ছুটির দিনে) ট্রেনিংগুলোর আয়োজন করা হয় ও এর জন্য ভোটকর্মী ও প্রশিক্ষকদের নির্দিষ্ট হারে পারিশ্রমিকও দেওয়া হয়। কিন্তু প্রশ্ন হল, তিনটে ট্রেনিংয়ের কি প্রয়োজন আছে?

এমনিতে এই প্রশিক্ষণ শিবিরের ছবিটা খুবই হতাশাজনক। প্রশিক্ষণ নিতে আসা ভোটকর্মীদের চূড়ান্ত অনিচ্ছাই দেখা যায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে। অধিকাংশ কর্মীই, কত দ্রুত ট্রেনিং শেষ করা যায়, সেই তালে থাকেন। অনেকে তো হাজিরা খাতায় সই করেই টিফিনের টোকেন নিয়ে সেই যে খেতে গেলেন, আর দেখা পাওয়া গেল না।

আর যাঁরা ট্রেনিং কক্ষে উপস্থিত থাকেন, অনেকেরই চোখ প্রশিক্ষণের অডিয়ো-ভিজ়ুয়াল ক্লিপিংগুলোয় না থেকে, নিজের স্মার্টফোনের দিকে থাকে। আবার বিভিন্ন বিষয়ে ট্রেনার ধারণা দিতে চাইলে, কেউ কেউ ‘‘এটা আমাদের কাজ নয়, তাই দেখাতে হবে না’’ চিৎকার করে বিদ্রোহ করেন। ট্রেনাররাও তাঁদের কিছু বলতে পারেন না, কারণ সকলেই সরকারি কর্মী। ফলে ‘যেমন খুশি আসুন ও যেমন খুশি দেখুন’-এ পর্যবসিত হয় ভোটের প্রশিক্ষণ।

যদি তিন দিনের বদলে মাত্র এক দিন তিন-চার ঘণ্টাব্যাপী ট্রেনিংয়ের আয়োজন করা যায়, আর দু’তিন জন প্রশিক্ষক তা পরিচালনা করেন, তা হলে ছবিটা বদলাতে পারে।

সেখানে ছোট ছোট পর্বে ভোটের আগের দিন, ভোটের দিন, ভোট চলাকালীন ও ভোট শেষের পর কী কী কাজ কী ভাবে করতে হবে, তা বোঝানো যায়। ভিভিপ্যাট, ব্যালট ইউনিট, কন্ট্রোল ইউনিট ও বিভিন্ন রকমের সিলিং হাতে-কলমে শেখানো যায়। যে ভিডিয়োগুলো ট্রেনিংয়ের সময় দেখানো হয়, তা সোশ্যাল মিডিয়াতে, কমিশনের ওয়েবসাইটে ও ইউটিউবে আগে থেকেই আপলোড করা থাকতে পারে, যা ভোটকর্মীরা নিজেরাই দেখে নিতে পারেন।

আর তিন দিনের বদলে এক দিন ট্রেনিং হলে, সুবিধা অনেক। এক দিকে যেমন সময় বাঁচবে, তেমনই ভোটকর্মী ও ট্রেনারদের পিছনে খরচ কমবে। স্কুল-কলেজের পঠনপাঠনও কম ব্যাহত হবে। সর্বোপরি ভোটকর্মীরা ‘‘নির্বাচন কমিশন সব ছুটি কেড়ে নিল’’ বলে আওয়াজ তুলতে পারবেন না। এক দিন ট্রেনিংয়ে আসতে তাঁরা আগ্রহী হবেন ও ওই দিনেই সব কিছু মন দিয়ে শোনার ও শেখার চেষ্টা করবেন।

প্রণয় ঘোষ

কালনা, পূর্ব বর্ধমান

মজার গল্প

অল্প খেয়ে, ফুর্তি না করে, ইনকাম ট্যাক্স বাঁচাবার জন্য প্রায় দশ বছর আগে হাজার পঞ্চাশ টাকার এনএসসি করেছিলাম, যেটা এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি ম্যাচিয়োর হয়েছিল। এক শনিবার সেগুলি নিয়ে পোস্ট অফিসে গেলাম, থিকথিকে ভিড়। ভিড় ঠেলে কাউন্টারে গিয়ে উত্তর পেলাম, ‘‘জানেন না, সোমবার এবং বৃহস্পতিবার ছাড়া এ সব নেওয়া হয় না?’’ সত্যিই জানি না। জিজ্ঞাসা করলাম, এই সার্টিফিকেট ছাড়া আর কী কী জমা দিতে লাগবে? উত্তর, ‘‘যে কোনও পোস্ট অফিসের সেভিংস অ্যাকাউন্ট পাশবই নিয়ে আসবেন, না থাকলে করিয়ে নেবেন। না হলে হবে না।’’ বাবা, কী দাপট! মনে হয় এনএসসি কিনে অপরাধ করে ফেলেছি।

আমার স্ত্রীর সঙ্গে পুরনো একটা সেভিংস অ্যাকাউন্ট ছিল, অন্য পোস্ট অফিসে। গিয়ে দেখি অ্যাকাউন্ট লক হয়ে আছে, কেওয়াইসি দিলে আবার চালু হবে। তিন দিন ঘুরে (কারণ, বেশির ভাগ সময় ‘নো নেটওয়ার্ক’) কেওয়াইসি জমা দিয়ে, শেষমেশ সেভিংস অ্যাকাউন্টটা ‘জ্যান্ত’ করানো হল।

সব মিলিয়ে প্রায় দশ দিন বাদে, এক বৃহস্পতিবার গেলাম আমার সঞ্চয়ের পয়সা উদ্ধার করতে। ঘণ্টাখানেক লাইনে দাঁড়াবার পর, কাউন্টারে জমা দিতে গেলে, যিনি বসেছিলেন তিনি বললেন, ‘‘প্যান কার্ড কোথায়?’’ বললাম, আপনি তো সে দিন প্যান কার্ডের কথা বলেননি, তাই নিয়ে আসিনি। ‘‘ও সব বুঝি না, প্যান কার্ডের জ়েরক্স লাগবে।’’

অনেক অনুরোধ করলাম, বললাম আমার পোস্ট অফিসের সেভিংস অ্যাকাউন্ট-টা প্যান, আধার, সব কিছু দিয়ে আপডেট করিয়েছি। আপনি দেখে নিন। কিছুতেই শুনলেন না, ম্যাচিয়োরড সার্টিফিকেট কিছুতেই জমা নিলেন না।

আবার পরের সোমবার, দু’লাইনের একটা কভারিং লেটার নিয়ে (পাশবই, সার্টিফিকেট, প্যান কার্ড, কপি-সহ) ঘণ্টাখানেক ভিড় ঠেলে কাউন্টারে যেতেই, ‘‘ও বাবা, চিঠি লিখে নিয়ে এসেছেন! ঠিক আছে, পোস্টমাস্টারকে লিখেছেন, তা ওঁর কাছে যান। আমি নিতে পারব না।’’ জিনিসগুলো ছুড়ে ফেরত দিলেন। বললাম, আজ্ঞে আপনি তো পোস্টমাস্টারের কাজই করছেন, জমা নিতে অসুবিধা কোথায়?

উত্তর, ‘‘এত কথা বলবার সময় নেই, ওখানে যান।’’

পোস্টমাস্টারের কাছে গেলাম, ইয়ং ম্যান। খুঁটিয়ে, খুঁটিয়ে পড়লেন, বললেন, ‘‘কী দরকার আবার চিঠিচাপাটি করবার? রিসিভ করে দিতে পারব না কিন্তু।’’ বললাম, আজ্ঞে, অরিজিনাল পাশবই, সার্টিফিকেট জমা দিচ্ছি, যদি হারিয়ে যায়? আর, রিসিভ করতে আপনার অসুবিধা কোথায়? জমা তো নিচ্ছেন!

অনেক গাঁইগুঁই করে, ‘‘যত্ত সব ঝামেলা’’ বলে রিসিভ করলেন, বললেন, ‘‘দশ দিন পরে আসবেন।’’ ‘‘সে কী! দশ দিন! এখন তো ডিজিটাল ইন্ডিয়া!’’ পোস্টমাস্টার আগুন-চোখে তাকালেন, ‘‘অতশত কৈফিয়ত দিতে পারব না, দেখছেন না, নেট-ফেটের অবস্থা?’’

দশ দিন পর, সব মিলিয়ে ম্যাচিয়োরিটির কুড়ি-বাইশ দিন পরে, এক সোমবার গেলাম অপরাধমুক্ত হতে, মানে, টাকাটা অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে কি না জানতে। ঘণ্টাখানেক লাইনে দাঁড়াবার পর কাউন্টারে পৌঁছলাম, যিনি ছিলেন তিনি মুখ না তুলেই বললেন, ‘‘এখন না, তিনটের পর আসুন, এ সব কাজ তিনটের পরে হয়।’’ কিছুতেই কোনও কথা শুনলেন না।

পরের বৃহস্পতিবার, তিনটের পর আবার গেলাম, (সব মিলিয়ে প্রায় পঁচিশ দিন পর)। দেখি পোস্ট অফিস প্রায় ফাঁকা, দু’এক জন কর্মচারী আছেন। পোস্টমাস্টার মশায় আছেন। বললাম, যদি দয়া করে আমাকে ছেড়ে দেন।

উনি সব দেখে বললেন, ‘‘আপনার টাকা ট্রান্সফার হয়ে গিয়েছে, এই নিন আপনার পাশবই।’’ দেখি, ট্রান্সফারের কোনও চিহ্ন নেই, আপডেট করে দেয়নি। অনুরোধ করলাম আপডেট করে দিতে, না হলে বুঝব কী ভাবে, টাকাটা ট্রান্সফার হল কি না? তিনি আমাকে দশ মিনিট ধরে বোঝালেন, তিনি প্রচণ্ড ব্যস্ত, আমার হোম পোস্ট অফিসের কাজ এটা, এই আপডেট করাটা।

বলে আবার অ্যাকাউন্ট ওপন করে টোটাল অ্যামাউন্টটা একটা সাদা কাগজে লিখে দিলেন, কিছুতেই আপডেট করলেন না, অথচ প্রিন্ট দিলে এক মিনিট, হাতে লিখলে তিন মিনিট সময় লাগে না।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ম্যাচিয়োরিটির দিন পঁচিশ পরে পেমেন্ট দেওয়ার জন্য পোস্ট অফিস কিন্তু এক টাকাও ইন্টারেস্ট বেশি দেয়নি।

অবশেষে, আমি হাতজোড় করে বললাম, সত্যিই, এনএসসি করাটা আমার অপরাধ হয়ে গিয়েছে। আর কোনও দিন ইনকাম ট্যাক্স সেভিংসের জন্য পোস্ট অফিস থেকে কিচ্ছু করব না। গুরুতর অন্যায় করে ফেলেছিলাম, আমাকে মাপ করে দেবেন। নমস্কার জানিয়ে চলে এসেছিলাম। ‘অপরাধমুক্ত’ হয়ে বেশ হালকা লাগছিল।

আশীষ দাস

কলকাতা-১৩২

রেডিয়ো

এখন নতুন করে অনেকে রেডিয়োর প্রতি আকৃষ্ট হতে শুরু করেছেন, নিয়মিত রেডিয়োর অনুষ্ঠান শোনেন। আগে যেমন আপনাদের কাগজে রেডিয়োর অনুষ্ঠানসূচি দেওয়া হত, এখনও যদি তেমন দেওয়া হয়, অনেকে উপকৃত হবেন।

সুভাষ চন্দ্র মণ্ডল

বিষ্ণুপুর, বাঁকুড়া

মজার গল্প

অল্প খেয়ে, ফুর্তি না করে, ইনকাম ট্যাক্স বাঁচাবার জন্য প্রায় দশ বছর আগে হাজার পঞ্চাশ টাকার এনএসসি করেছিলাম, যেটা এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি ম্যাচিয়োর হয়েছিল। এক শনিবার সেগুলি নিয়ে পোস্ট অফিসে গেলাম, থিকথিকে ভিড়। ভিড় ঠেলে কাউন্টারে গিয়ে উত্তর পেলাম, ‘‘জানেন না, সোমবার এবং বৃহস্পতিবার ছাড়া এ সব নেওয়া হয় না?’’ সত্যিই জানি না। জিজ্ঞাসা করলাম, এই সার্টিফিকেট ছাড়া আর কী কী জমা দিতে লাগবে? উত্তর, ‘‘যে কোনও পোস্ট অফিসের সেভিংস অ্যাকাউন্ট পাশবই নিয়ে আসবেন, না থাকলে করিয়ে নেবেন। না হলে হবে না।’’ বাবা, কী দাপট! মনে হয় এনএসসি কিনে অপরাধ করে ফেলেছি।

আমার স্ত্রীর সঙ্গে পুরনো একটা সেভিংস অ্যাকাউন্ট ছিল, অন্য পোস্ট অফিসে। গিয়ে দেখি অ্যাকাউন্ট লক হয়ে আছে, কেওয়াইসি দিলে আবার চালু হবে। তিন দিন ঘুরে (কারণ, বেশির ভাগ সময় ‘নো নেটওয়ার্ক’) কেওয়াইসি জমা দিয়ে, শেষমেশ সেভিংস অ্যাকাউন্টটা ‘জ্যান্ত’ করানো হল।

সব মিলিয়ে প্রায় দশ দিন বাদে, এক বৃহস্পতিবার গেলাম আমার সঞ্চয়ের পয়সা উদ্ধার করতে। ঘণ্টাখানেক লাইনে দাঁড়াবার পর, কাউন্টারে জমা দিতে গেলে, যিনি বসেছিলেন তিনি বললেন, ‘‘প্যান কার্ড কোথায়?’’ বললাম, আপনি তো সে দিন প্যান কার্ডের কথা বলেননি, তাই নিয়ে আসিনি। ‘‘ও সব বুঝি না, প্যান কার্ডের জ়েরক্স লাগবে।’’

অনেক অনুরোধ করলাম, বললাম আমার পোস্ট অফিসের সেভিংস অ্যাকাউন্ট-টা প্যান, আধার, সব কিছু দিয়ে আপডেট করিয়েছি। আপনি দেখে নিন। কিছুতেই শুনলেন না, ম্যাচিয়োরড সার্টিফিকেট কিছুতেই জমা নিলেন না।

আবার পরের সোমবার, দু’লাইনের একটা কভারিং লেটার নিয়ে (পাশবই, সার্টিফিকেট, প্যান কার্ড, কপি-সহ) ঘণ্টাখানেক ভিড় ঠেলে কাউন্টারে যেতেই, ‘‘ও বাবা, চিঠি লিখে নিয়ে এসেছেন! ঠিক আছে, পোস্টমাস্টারকে লিখেছেন, তা ওঁর কাছে যান। আমি নিতে পারব না।’’ জিনিসগুলো ছুড়ে ফেরত দিলেন। বললাম, আজ্ঞে আপনি তো পোস্টমাস্টারের কাজই করছেন, জমা নিতে অসুবিধা কোথায়?

উত্তর, ‘‘এত কথা বলবার সময় নেই, ওখানে যান।’’

পোস্টমাস্টারের কাছে গেলাম, ইয়ং ম্যান। খুঁটিয়ে, খুঁটিয়ে পড়লেন, বললেন, ‘‘কী দরকার আবার চিঠিচাপাটি করবার? রিসিভ করে দিতে পারব না কিন্তু।’’ বললাম, আজ্ঞে, অরিজিনাল পাশবই, সার্টিফিকেট জমা দিচ্ছি, যদি হারিয়ে যায়? আর, রিসিভ করতে আপনার অসুবিধা কোথায়? জমা তো নিচ্ছেন!

অনেক গাঁইগুঁই করে, ‘‘যত্ত সব ঝামেলা’’ বলে রিসিভ করলেন, বললেন, ‘‘দশ দিন পরে আসবেন।’’ ‘‘সে কী! দশ দিন! এখন তো ডিজিটাল ইন্ডিয়া!’’ পোস্টমাস্টার আগুন-চোখে তাকালেন, ‘‘অতশত কৈফিয়ত দিতে পারব না, দেখছেন না, নেট-ফেটের অবস্থা?’’

দশ দিন পর, সব মিলিয়ে ম্যাচিয়োরিটির কুড়ি-বাইশ দিন পরে, এক সোমবার গেলাম অপরাধমুক্ত হতে, মানে, টাকাটা অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে কি না জানতে। ঘণ্টাখানেক লাইনে দাঁড়াবার পর কাউন্টারে পৌঁছলাম, যিনি ছিলেন তিনি মুখ না তুলেই বললেন, ‘‘এখন না, তিনটের পর আসুন, এ সব কাজ তিনটের পরে হয়।’’ কিছুতেই কোনও কথা শুনলেন না।

পরের বৃহস্পতিবার, তিনটের পর আবার গেলাম, (সব মিলিয়ে প্রায় পঁচিশ দিন পর)। দেখি পোস্ট অফিস প্রায় ফাঁকা, দু’এক জন কর্মচারী আছেন। পোস্টমাস্টার মশায় আছেন। বললাম, যদি দয়া করে আমাকে ছেড়ে দেন।

উনি সব দেখে বললেন, ‘‘আপনার টাকা ট্রান্সফার হয়ে গিয়েছে, এই নিন আপনার পাশবই।’’ দেখি, ট্রান্সফারের কোনও চিহ্ন নেই, আপডেট করে দেয়নি। অনুরোধ করলাম আপডেট করে দিতে, না হলে বুঝব কী ভাবে, টাকাটা ট্রান্সফার হল কি না? তিনি আমাকে দশ মিনিট ধরে বোঝালেন, তিনি প্রচণ্ড ব্যস্ত, আমার হোম পোস্ট অফিসের কাজ এটা, এই আপডেট করাটা।

বলে আবার অ্যাকাউন্ট ওপন করে টোটাল অ্যামাউন্টটা একটা সাদা কাগজে লিখে দিলেন, কিছুতেই আপডেট করলেন না, অথচ প্রিন্ট দিলে এক মিনিট, হাতে লিখলে তিন মিনিট সময় লাগে না।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ম্যাচিয়োরিটির দিন পঁচিশ পরে পেমেন্ট দেওয়ার জন্য পোস্ট অফিস কিন্তু এক টাকাও ইন্টারেস্ট বেশি দেয়নি।

অবশেষে, আমি হাতজোড় করে বললাম, সত্যিই, এনএসসি করাটা আমার অপরাধ হয়ে গিয়েছে। আর কোনও দিন ইনকাম ট্যাক্স সেভিংসের জন্য পোস্ট অফিস থেকে কিচ্ছু করব না। গুরুতর অন্যায় করে ফেলেছিলাম, আমাকে মাপ করে দেবেন। নমস্কার জানিয়ে চলে এসেছিলাম। ‘অপরাধমুক্ত’ হয়ে বেশ হালকা লাগছিল।

আশীষ দাস

কলকাতা-১৩২

রেডিয়ো

এখন নতুন করে অনেকে রেডিয়োর প্রতি আকৃষ্ট হতে শুরু করেছেন, নিয়মিত রেডিয়োর অনুষ্ঠান শোনেন। আগে যেমন আপনাদের কাগজে রেডিয়োর অনুষ্ঠানসূচি দেওয়া হত, এখনও যদি তেমন দেওয়া হয়, অনেকে উপকৃত হবেন।

সুভাষ চন্দ্র মণ্ডল

বিষ্ণুপুর, বাঁকুড়া

চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা
সম্পাদক সমীপেষু,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা-৭০০০০১।
ইমেল: letters@abp.in
যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।

Lok Sabha election 2019 Election Training
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy