Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
Post Office. Aadhaar Card

নিয়মও কি আলাদা

সরকারি এবং বেসরকারি অফিসের কর্মসংস্কৃতি আলাদা, তা জানি। কিন্তু সরকারি নিয়মকানুনগুলোও কি আলাদা?

শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০০:৩২
Share: Save:

গত ২১ সেপ্টেম্বর আমহার্স্ট স্ট্রিট পোস্ট অফিসে যাই ‘ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন’ মারফত আসা টাকা তুলতে। কাউন্টারের এক ভদ্রলোক জানতে চাইলেন, কত টাকা, কোত্থেকে এসেছে, যিনি পাঠিয়েছেন, তিনি আমার কে হন, কেন পাঠিয়েছেন ইত্যাদি। এ জাতীয় প্রশ্নোত্তরের পর আমার আধার কার্ড এবং প্যান কার্ডের ফটোকপি জমা দিই। উনি সমস্ত কাগজ নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে গেলেন এবং ফিরে এসে বললেন ‘‘আধারে হবে না। অন্য আই কার্ডের কপি দিন। ভোটার কার্ড, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স...যা হোক। তবে আধার কার্ডের সঙ্গে ঠিকানা ম্যাচ করতে হবে।’’ জানতে চাইলাম, ভারত সরকার কি আধার বাতিল করেছে? যদি না করে থাকে, তা হলে আধারের কপি দিয়ে টাকাটা পাব না কেন? অফিসারের সঙ্গে কথা বলতে চাই বলায়, নানা অজুহাত দিয়ে তিনি অদৃশ্য হয়ে গেলেন। এর পর মিন্টো পার্কের উল্টো দিকের একটি বেসরকারি অফিসে গেলাম। ঝকঝকে কর্মতৎপর এক তরুণ জানতে চাইলেন আধারের সঙ্গে ফোন নম্বর লিঙ্ক করা আছে কি না। নেই বলায় উনি পাঁচ মিনিটে ভোটার কার্ডের কপি নিয়ে আমাকে টাকা পাওয়ার বন্দোবস্ত করে দিলেন, আধার এবং ভোটার কার্ডে আলাদা ঠিকানা থাকা সত্ত্বেও। সরকারি এবং বেসরকারি অফিসের কর্মসংস্কৃতি আলাদা, তা জানি। কিন্তু সরকারি নিয়মকানুনগুলোও কি আলাদা?

নির্মলকুমার দাস

টাকি রোড, বারাসত

বিনামূল্যে রক্ত

নার্সিংহোমে ভর্তি রোগীর রক্তের প্রয়োজন হলে সরকারি ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে রক্ত নিতে গিয়ে বিভ্রান্তির শিকার হতে হচ্ছে। রোগীর রক্তের প্রয়োজন যে কোনও সময়ে হতে পারে। কিন্তু সরকারি ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে নার্সিংহোমে ভর্তি রোগীর ক্ষেত্রে রক্ত নেওয়ার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত এবং রক্তদাতার ক্রেডিট কার্ড না থাকলে ১০৫০ টাকা দিয়ে সরকারি ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে রক্ত সংগ্রহ করতে হয়। সাধারণ মানুষের স্বেচ্ছায় দেওয়া রক্ত ক্রেডিট কার্ড ছাড়াও সরকারি ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে নার্সিংহোমে ২৪ ঘণ্টা বিনামূল্যে রক্ত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক।

জয়দেব দত্ত

কাটোয়া, পূর্ব বর্ধমান

ফি মকুব হয়নি

প্রতিবন্ধী মানুষদের অধিকার রক্ষা আইন ২০১৬ এবং শিক্ষার অধিকার আইনে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত সম্পূর্ণ বিনামূল্যে শিক্ষার কথা বলা হয়েছে। বহু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের বহু দফতর বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের এই অধিকারকে মান্যতা দিচ্ছে না। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট একটি রায়ে বলেছে, তফশিলি জাতি ও জনজাতিভুক্ত মানুষ যে সুবিধা পেয়ে থাকেন, সামাজিক ভাবে পিছিয়ে পড়া বিশেষ চাহিদাসম্পন্নরাও একই সুবিধার যোগ্য। কিন্তু সিবিএসই বোর্ডের অন্তর্ভুক্ত কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়গুলোতে পরীক্ষা ফি বাবদ দেয় অর্থ তফশিলি জাতি ও জনজাতিভুক্ত শিক্ষার্থীদের মকুব করা হলেও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য তার কোনও ব্যবস্থা নেই। এটা শুধু প্রতিবন্ধী মানুষদের অধিকার রক্ষা আইন ২০১৬ এবং শিক্ষার অধিকার রক্ষা আইনের লঙ্ঘন নয়, আদালত অবমাননা।

অজয় দাস

উলুবেড়িয়া, হাওড়া

চালের বস্তা

‘মিড-ডে মিলের বস্তা ফেরতের নির্দেশে ক্ষোভ’ শীর্ষক সংবাদ (১৯-৯) প্রসঙ্গে জানাই, স্কুলে চাল সরবরাহ করেন কিছু এজেন্ট। আগে খালি বস্তা তাঁরাই ফিরিয়ে নিয়ে যেতেন। বস্তার মালিকানা স্কুলের নয়, তাই খালি বস্তা ফেরত নিয়ে কী হবে, এ প্রশ্ন অবান্তর। কিন্তু শিক্ষকদের বস্তা বয়ে নিয়ে গিয়ে বিডিও অফিসে জমা করতে হবে কেন? যে ভাবে প্রতি মাসে চাল আসে, সে ভাবেই তো আগের মাসের খালি বস্তা ফেরত নেওয়া যায়। পাঁচ বছর আগে অবধি তাই নেওয়া হত। হঠাৎ তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিদ্যালয় বইপত্র সংরক্ষণের জায়গা। চালের বস্তা নয়। আগের নিয়ম চালু করা হোক।

অভিজিৎ ঘোষ

কমলপুর, উত্তর ২৪ পরগনা

খেলার মাঠ

মেদিনীপুর কলেজ-কলেজিয়েট মাঠ অবিভক্ত মেদিনীপুরের এক ঐতিহ্যবাহী খেলার মাঠ। ফুটবল, ডে-নাইট ক্রিকেট-সহ একাধিক স্কুল-কলেজের খেলাধুলোর সাক্ষী মাঠটি। আর সেই মাঠ আজ খেলা তো দূর, হাঁটাচলার অবস্থাতেও নেই। অতিমারির প্রাথমিক পর্যায়ে দূরত্ব বজায় রাখতে প্রশাসনের তরফ থেকে মেদিনীপুর শহরের বাজারগুলিকে নিকটবর্তী খেলার মাঠে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। সেইমতো রাজাবাজারের সবজি বিক্রেতারা বসতে শুরু করেছিলেন কলেজ মাঠে। তাতেই অবস্থা খারাপ হয়েছে মাঠগুলির। সারা মাঠে বাঁশের খুঁটি পোঁতা। যেখানে সেখানে সবজির খোসা জমা হয়ে আছে। পুরো মাঠ ছোট-বড় গর্ত ও খানাখন্দে ভর্তি। দীর্ঘ দিন বাজার বসার মাঠে ঘাসের গন্ধ পর্যন্ত নেই। অল্প বৃষ্টিতেই কর্দমাক্ত হয়ে যায়। এই ভাবে চলতে থাকলে মাঠটি খেলাধুলোর অনুপযোগী হয়ে পড়বে। তাই বাজার আগের জায়গায় দূরত্ব বিধি মেনে বসানো হোক এবং মাঠগুলির যত্ন নেওয়া হোক।

লক্ষ্মীকান্ত মান্না

কর্নেলগোলা, মেদিনীপুর

আকাশছোঁয়া

করোনাকে হাতিয়ার করে স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়াম এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে, তা মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে। বিশেষ করে, সিনিয়র সিটিজ়েনদের মাথায় হাত। সাধারণত বৃদ্ধ বয়সেই মানুষকে বেশি ভুগতে হয়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, স্বাস্থ্যবিমা কোম্পানিগুলো একেবারে আকাশছোঁয়া প্রিমিয়াম রেট করেছে। সরকারের কাছে অনুরোধ, এই কোম্পানিগুলি যেন তাদের প্রিমিয়াম নিয়ে নতুন করে ভাবনাচিন্তা করে।

সুজিত কুমার ভৌমিক

চণ্ডীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর

বিদ্যুৎ হয়রানি

তামিলা গ্রামের অর্ধেক অংশে ৪৪০ ভোল্ট এবং অর্ধেক অংশে ২২০ ভোল্টের বিদ্যুৎ সংযোগ করা হয়েছে। এর ফলে ২২০ ভোল্টের লাইনে ব্যাপক ভাবে ভোল্টেজ ওঠা-নামা করছে। কৃষি-অধ্যুষিত অঞ্চল এবং নদী-তীরবর্তী অংশে যেখানে ৪৪০ ভোল্টের বিদ্যুৎ প্রয়োজন, সেখানে দেওয়া হয়েছে ২২০ ভোল্টের লাইন। ফলে রিভার পাম্প, মিনি ও ডিপ টিউবওয়েল প্রতিস্থাপন করা যাচ্ছে না। শুধু তা-ই নয়, অনেকেরই গত তিন মাসের বিদ্যুৎ বিল এসেছে প্রায় দশ গুণ বেশি। ডব্লিউবিএসইবি বদলে ডব্লিউবিএসইডিসিএল হয়েছে। জমানা বদলে গেলেও হয়রানির লাঘব হচ্ছে না।

লক্ষ্মণ সাঁতরা

দাদপুর, হুগলি

প্রবীণ দিবস

১ অক্টোবর বিশ্ব প্রবীণ দিবস। বৃদ্ধদের প্রতি সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করা এই দিনটির উদ্দেশ্য। ২০২০ সালেও অন্তত ৩০% বৃদ্ধ-বৃদ্ধা কোনও না কোনও ভাবে নির্যাতনের শিকার। এই হিসেবে ভারতে অন্তত ২ কোটি প্রবীণ অত্যন্ত কষ্টে আছেন। নিঃসঙ্গতা, আর্থিক সঙ্কট-সহ নানা ধরনের সমস্যা। অথচ, চিকিৎসার উন্নতির জন্য বিশ্বজুড়ে প্রবীণ মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু তাঁদের কত জনই বা আনন্দে আছেন? জীবনসায়াহ্নে প্রবীণরা চান একটু আনন্দ, শ্রদ্ধা, ভালবাসা। বার্ধক্য হল দ্বিতীয় শৈশব। অথচ, বাড়িতে শিশুর জন্মদিন আনন্দের সঙ্গে পালিত হলেও, পরিবারের প্রবীণ ব্যক্তির জন্মতারিখ কারও মনে থাকে না।

পাঁচুগোপাল হাজরা

অশোকনগর, উত্তর ২৪ পরগনা

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Post Office Aadhaar Card
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE