মুন্সি মনিরুল হাসান
মাছখান্ডা, পূর্ব বর্ধমান
দালাল চক্র
আমাদের নিকটবর্তী বিদ্যুৎ-অফিস গোবরডাঙাতে অবস্থিত। কিছু দিন আগের ঘটনা। চাষের কাজের জন্য আমার ইলেকট্রিক পাম্পের প্রয়োজন ছিল। তাই ওই অফিসে একটি ফর্ম জমা দিতে যাই। কিন্তু ওখানে সব জায়গায় দালালরাজ। ওখানকার আধিকারিকদের সঙ্গে এই দালালদের আঁতাঁত রয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষ নিজে থেকে কিছু করতে পারেন না। ফর্মটা জমা দেওয়ার জন্য আমার কাছ থেকে ৬০০ টাকা নেওয়া হল। ডব্লিউবিএসইডিসিএল কোম্পানির কাছে আমার আবেদন, এই গোবরডাঙা অফিস থেকে দালালরাজ বন্ধ করুন, যাতে আমাদের মতো সাধারণ মানুষ সুবিধা পায়।
সোমনাথ ঘোষ
রাজবল্লভপুর, উত্তর ২৪ পরগনা
বেপরোয়া চালক
কলকাতার রাস্তায় ইদানীং এক শ্রেণির বাইক ও স্কুটার চালকদের মধ্যে ট্র্যাফিক আইন ভঙ্গ করার ভয়ঙ্কর প্রবণতা দেখা দিয়েছে। লালবাতিকে উপেক্ষা করে তাঁরা তীব্র গতিতে তাঁদের যান নিয়ে ছুটে যান কর্তব্যরত পুলিশের চোখের সামনে দিয়েই। পুলিশও অনেক সময়েই এঁদের দেখেও না দেখার ভান করে। সিসিটিভি-র ফুটেজ দেখে পরবর্তী কালে আইনভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করে কি না জানা যায় না, কিন্তু এতে বিপদ বাড়ছে পথচারীদের। লালবাতি জ্বলছে দেখেও নিশ্চিন্তে রাস্তা পার হতে পারছেন না তাঁরা। বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় যে কোনও মুহূর্তে প্রাণহানি হতে পারে। আবাসিক পাড়াগুলোর ভিতর এই বাইক চালকদের দৌরাত্ম্য ভয়ঙ্কর। প্রশাসনের নজরদারি নেই বলে সমস্যাটা তীব্রতর হয়ে উঠছে। খুব তাড়াতাড়ি এঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা করা উচিত।
অরুণ গুপ্ত
কলকাতা-৮৪
উৎসব অগ্রিম
আমি উত্তর ২৪ পরগনার প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের অধীন একটি প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষকতা করি। ‘সরকারি কর্মীদের উৎসব ভাতা’ (২০-৪) শীর্ষক খবরে কিছু ভ্রান্তি দেখে আমার এই চিঠির অবতারণা। আগের বছরগুলির মতো এই বছরও কোনও প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকা, যাঁদের বেতন ৩৭ হাজার টাকার বেশি, অথচ ৪৭ হাজার টাকার মধ্যে, তাঁরা কোনও উৎসব অগ্রিম হিসেবে (সর্বাধিক ১৪ হাজার টাকা, যা সুদহীন ভাবে ফেরতযোগ্য) টাকা পাবেন না। অন্তত, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অর্থ দফতরের প্রকাশিত আদেশনামায় তাই বলা হয়েছে। এই ফেরতযোগ্য অগ্রিম প্রদানের বিষয়টি বামফ্রন্ট সরকারের সময় চালু ছিল। কিন্তু বর্তমান সরকার গত বছরগুলিতে যেমন এই ফেরতযোগ্য উৎসব অগ্রিম কর্মচারী, বিশেষ করে প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রদান করেনি, এ বারের আদেশনামা অনুযায়ীও তারা করবে না বলেই আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
বিশ্বপতি চৌধুরী
বারাসত, উত্তর ২৪ পরগনা
প্রয়োজন সেতুর
গত বছর পুজোর সময় বিসর্জনের দিন আমি ও শ্যালক, দুই পরিবার মিলে টাকিতে গিয়েছিলাম। শ্যালক বায়না করলেন, সুন্দরবনে আমার মামারবাড়িতে ঘুরে আসার জন্য। হঠাৎ প্রস্তুতি নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। বসিরহাট, টাকি, হাসনাবাদ, কাটাখালি, বরুণহাট পেরিয়ে লেবুখালি গেলাম। সামনেই রায়মঙ্গল। ও-পারে দুলদুলি। এখানে গাড়ি বার্জে চাপিয়ে নদী পারাপার করতে হয়। জানা গেল, সে দিন চারটের সময় পারাপার বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পড়লাম মুশকিলে। কলকাতা ফিরতে পাঁচ ঘণ্টা লাগবে। হোটেলের খোঁজ নিতে হল। দুটো এখন চলে না। একটার অবস্থা খুব খারাপ। পর দিন ফেরার সময়ও বার্জ পেতে এক ঘণ্টা দেরি হল।
সড়কপথে সরাসরি শেষপ্রান্ত হেমনগর পর্যন্ত যাওয়ার এই একটিই বাধা, নদী পারাপার। ওখানে রায়মঙ্গল নদী এমন কিছু প্রশস্ত নয়। মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন এই বদ্বীপের টুকরোগুলো হাজারও সমস্যায় জর্জরিত। সরকার নদীর উপরে একটা সেতু বানিয়ে এটুকু বাধা কাটিয়ে দিলে হিঙ্গলগঞ্জ থানার প্রান্তসীমায় অবস্থিত অসংখ্য গ্রামের সঙ্গে সরাসরি কলকাতার যোগাযোগ স্থাপিত হবে। এর ফলে সুন্দরবনের প্রান্তসীমার অধিবাসীদের শিল্প-বাণিজ্যের ক্ষেত্রগুলি প্রসারিত হবে।
এতে বেশিরভাগ দরিদ্র অধিবাসীর যেমন এক দিকে আর্থিক সহায়তা হবে, তেমনই অন্য দিকে পর্যটন শিল্পেরও উন্নতি হবে। আয়লা, আমপানের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভয়ানক ক্ষতিগ্রস্ত হয় জায়গাগুলি। সরকার এমন পদক্ষেপ করলে সমুদ্রের জলস্তরের নীচে বাঁধঘেরা এই সব জায়গার মানুষগুলির উপকার হবে।
কুমারেশ মণ্ডল
কলকাতা-৯৯
রক্তের জোগান
প্রতি বছর গরম পড়লেই সমস্ত ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তের সঙ্কট দেখা দেয়। এলাকার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, ক্লাব এবং রাজনৈতিক দলের উদ্যোগে রক্তদান শিবির হলেও প্রয়োজনের তুলনায় জোগান থাকে অনেক কম। থ্যালাসেমিয়া-সহ বিভিন্ন রোগীর রক্তের চাহিদা পূরণ করতে রক্তদান শিবির বাড়াতে সকলকেই এগিয়ে আসতে হবে। বিশেষ করে স্থানীয় প্রশাসন এ বিষয়ে নজর দিলে ভাল হয়। সারা বছর যাতে রক্তের সঙ্কট তৈরি না হয়, সরকারি ভাবে সে দিকে নজর রেখে প্রয়োজনীয় শিবির ও রক্ত সংগ্রহের বন্দোবস্ত করা হোক।
জয়দেব দত্ত
কাটোয়া, পূর্ব বর্ধমান