একই ভাবে, মির মহাকাশ কেন্দ্র নোঙর করার সময়, তিন বার মহাকাশের জঞ্জাল-টুকরোর সঙ্গে তার সংঘর্ষ হয়। মার্চ ২০১১-তে জঞ্জালের সঙ্গে ধাক্কা এড়াতে মহাকাশকেন্দ্রের গতিও বদলাতে হয়। প্রসঙ্গত মহাকাশের জঞ্জাল আর কৃত্রিম উপগ্রহ কী বিপদ ঘটাতে পারে তা ‘গ্র্যাভিটি’ সিনেমাতে চিত্রায়িত হয়েছে (সঙ্গে এই ছবির স্থিরচিত্র)।
পৃথিবীর নীচের দিককার কক্ষপথ বা লোয়ার আর্থ অরবিটে (এলইও) বিভিন্ন উপগ্রহ ও মেয়াদ ফুরানো উপগ্রহ আর মহাকাশের জঞ্জাল থাকার দরুন, ক্রমে বিপদ বাড়ছে। ২০১৪ সালে পৃথিবীর নীচের দিককার কক্ষপথের অবস্থা জানাই। রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে ও বেসরকারি উদ্যোগে কৃত্রিম উপগ্রহ প্রায় ২০০০ (বর্তমানে ৪০০০-এর মতো অনেকে বলছেন)। ১০ সেন্টিমিটারের বেশি দৈর্ঘ্যের ৮৫০০ এবং দু’মিলিমিটারের বেশি দশ লক্ষ বিপজ্জনক বস্তুকণা রয়েছে এই কক্ষপথে।
প্রতি বছর যদি একটি করে উপগ্রহের মেয়াদ ফুরোয়, এবং সেগুলোকে যদি কবরখানা কক্ষপথে না নিয়ে যাওয়া হয়, তা হলে কী অবস্থা সৃষ্টি হবে অনুমান করা যায়। জঞ্জালে ভর্তি হবে মহাকাশ। যা মহাকাশ অভিযান ও গবেষণার ক্ষেত্রে বিপজ্জনক।
এই ২৫০টি টুকরো হয়তো বিপজ্জনক হয়ে উঠবে না। তবে যে ভাবে একটা সফল মহাকাশ গবেষণাকে সূক্ষ্ম ভাবে নির্বাচনের সময় সংঘটিত করা হল তা অভূতপূর্ব। ভবিষ্যতে যা অস্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা হয়ে উঠতে পারে। অন্য দিকে চন্দ্রায়ন-২ অভিযান, যা ২০১৮-র মার্চে পূর্বঘোষিত, দিন বদলে ২০১৯-এর গোড়ায় হওয়ার কথা। অন্তত ইসরো-র ওয়েবসাইট তাই বলছিল। এখনও কোনও খবর নেই। ইসরো চুপ। যখন কোনও ঘোষিত অভিযান বারংবার পিছিয়ে চলছে, তখন এই সময় উপগ্রহ ধ্বংসের পরীক্ষা কি চমক নয়?
অনুভব বেরা
জাহালদা, পশ্চিম মেদিনীপুর
মাঁকড়ের অপমান
মাঁকড়ীয় আউট সম্বন্ধে প্রাক্তন বোলার কোর্টনি ওয়ালশের সাক্ষাৎকারভিত্তিক সংবাদ প্রতিবেদনটি (‘মাঁকড়ীয় আউট নয়,...’, ১-৪) পড়লাম। জস বাটলারকে রবিচন্দ্রন অশ্বিন যে ভাবে আউট করলেন, সেই নিয়ে বিশ্ব তোলপাড়। প্রসঙ্গত, ১৯৪৭ সালে কুইন্সল্যান্ডে অস্ট্রেলিয়ার বিল ব্রাউনের বিরুদ্ধে বল করছিলেন ভারতের বিনু মাঁকড়। ব্রাউন বার বার ক্রিজ়ের বাইরে চলে যাচ্ছিলেন, মাঁকড় তাঁকে সতর্কও করেছিলেন। তা সত্ত্বেও ব্রাউন যখন আবার ক্রিজ় ছাড়লেন, মাঁকড় তাঁকে আউট করেন।
বিনু মাঁকড়ের ছেলে রাহুল মাঁকড়, যিনি রঞ্জিতে মুম্বইয়ের হয়ে খেলেছেন, এক সাক্ষাৎকারে বলেন, এই ধরনের আউটকে ‘মাঁকড়ীয় আউট’ বলে ওঁর বাবাকে অসম্মান করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে তিনি বিল ব্রাউনের (যিনি ২০০৮-এ মারা যান) সঙ্গে দেখা করে তাঁকে সেই দিনের আউটটা নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। ব্রাউন বলেন, এতে তিনি অন্যায় কিছু দেখেননি। ওটা আউটই ছিল। রাহুলের মতে, এই আউটটা ‘মাঁকড়ীয়’, বা এই ধরনের আউট করাকে 'Mankading' বললে, বিশ্ববরেণ্য ভারতীয় ক্রিকেটার বিনুকে অসম্মান করা হয়।
অখিল বন্দ্যোপাধ্যায়
কলকাতা-৮৯
তার বেলা?
আইপিএল-এর একটি ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালস-এর জস বাটলারকে যে ভাবে অশ্বিন আউট করেছিলেন, তা নিয়ে বেশ নিন্দামন্দ চলছে। এই ঘটনার দিন দুয়েক পরের একটি খেলায় (কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম কিংস ইলেভেন পঞ্জাব) মহম্মদ শামির এক সুন্দর ডেলিভারিতে আন্দ্রে রাসেল বোল্ড আউট হয়ে যান। কিন্তু টিভি আম্পায়ার এটিকে নট আউট ঘোষণা করেন, কারণ নিয়ম অনুসারে সেই ওভারে চার জন ফিল্ডারের বদলে মাত্র তিন জন বৃত্তের মধ্যে ছিলেন।
প্রশ্ন হচ্ছে, রাসেল বোল্ড আউট হয়েছিলেন, অর্থাৎ বৃত্তের বাইরে কোনও ফিল্ডারের এই আউটে কোনও অবদানই ছিল না। রাসেলের উচিত ছিল ক্রিকেটীয় স্পিরিট দেখিয়ে প্যাভেলিয়নে ফিরে যাওয়া। কারণ তিনি নৈতিক ভাবে আউটই ছিলেন।
আগের ঘটনায় অশ্বিন ম্যাচ জিতে যান, পরের ঘটনায় হেরে যান। দু’টি ঘটনাই ক্রিকেটীয় নিয়মে ঠিক সিদ্ধান্ত, কিন্তু স্পোর্টিং স্পিরিট বা সৌজন্যের বিচারে একদমই নয়।
নৃপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়
কলকাতা-৫৪
হালনাগাদ
‘ওঁদের কথা ভাবুন: শঙ্খ’ (১৮-৩) শীর্ষক সংবাদ প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, ‘‘শূন্য পদের বিষয়টি ‘আপডেট’ বা হালতামামি করা হচ্ছে না।’’ আমি জানতাম, ‘তামামি’ মানে ‘সমাপ্তি’। দু’টি অভিধান ঘেঁটে তার সমর্থন পেলাম। তা হলে এখানে এর ব্যবহারটা কি ঠিক হল? বৈদ্যুতিন মাধ্যমে অনেক জায়গায় দেখেছি ‘হালনাগাদ’, সেটা অনেক ভাল। ‘নাগাদ’ কথাটার একটা অর্থ ‘পর্যন্ত’, যেমন রবীন্দ্রনাথের এই কবিতার লাইনে— ‘‘পাগল করে দিল পলিটিক্সে/কোনটা সত্য কোনটা স্বপ্ন আজকে নাগাদ হয়নি জানা ঠিক সে।’’ তাই ‘আপডেট’-এর যথার্থ প্রতিশব্দ ‘হালনাগাদ’ই। প্রসঙ্গত আর একটি শব্দ প্রস্তাব করতে চাই। এটা কোথাও দেখিনি। ‘রিনিউয়াল’-এর বাংলা, একই ভাবে, ‘হালফেরত’ করলে কেমন হয়? ‘নবীকরণ’-এর মতো তৎসম শব্দের চেয়ে এটা মুখের কথার অনেক কাছাকাছি।
পলাশ বরন পাল
কলকাতা-৬৪
চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা
সম্পাদক সমীপেষু,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা-৭০০০০১।
ইমেল: letters@abp.in
যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।
ভ্রম সংশোধন
‘মৃতদেহ আগলে আর কত দিন’ (কলকাতা, পৃ ২০, ৬-৪) শীর্ষক সংবাদ প্রতিবেদনে বি এন সরকারের সঙ্গে হেমন্তকৃষ্ণ মিত্রের চুক্তির কথা রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে চুক্তিটি হয়েছিল নরেন্দ্রকৃষ্ণ মিত্রের সঙ্গে, যিনি মিত্রা সিনেমা হলের বর্তমান মালিক দীপেন্দ্রকৃষ্ণ মিত্রের ঠাকুরদা। হেমন্তকৃষ্ণ মিত্র দীপেন্দ্রবাবুর বাবা।
‘চা নিয়েই হিসেব চাওয়া-পাওয়ার’ শীর্ষক সংবাদ প্রতিবেদনে (দিল্লির দৌড়/রাজ্য, পৃ ৫ ৯-৪) ব্যবহৃত ‘কেন্দ্র এক নজরে’ গ্রাফিকে আলিপুরদুয়ারের পরিবর্তে কোচবিহার কেন্দ্রের তথ্য ছাপা হয়েছে।
অনিচ্ছাকৃত এই ভুলগুলির জন্য আমরা দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী।