Advertisement
E-Paper

সম্পাদক সমীপেষু: আধারের কৌশল

এখনও আধার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় ঝুলে আছে। অথচ কী অসাধারণ কৌশলে সরকার বাহাদুর আইনকে পাশ কাটানোর খেলায় নেমে পড়েছে।

শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০০:৪৩

আধার যখন সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন, তখন গ্যাস কোম্পানিগুলো কীভাবে আমাদের আধার আপডেট করতে চাপ দিচ্ছে! এখনও আধার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় ঝুলে আছে। অথচ কী অসাধারণ কৌশলে সরকার বাহাদুর আইনকে পাশ কাটানোর খেলায় নেমে পড়েছে। কিছু দিন আগে হঠাৎ টেলিফোনে (আইভিআর পদ্ধতি) গ্যাস বুক করতে গিয়ে জানতে পারলাম, আমার কেওয়াইসি আপডেট করতে হবে। দৌড়লাম ডিস্ট্রিবিউটরের দরজায়। কেওয়াইসি ফর্ম জোগাড় করলাম। ওই ফর্মে দুটো বিভাগ। ১) ঠিকানার প্রমাণপত্র। ২) সচিত্র পরিচয়পত্র। এবং সেখানে দুটি ক্ষেত্রেই প্রথম অপশন আধার কার্ড। তার পর অন্য পরিচয়পত্রের উল্লেখ আছে। আমার আধার কার্ডে কিছু ভুল আছে, যেগুলো সংশোধনের প্রয়োজন। সেই জন্য আমি আধার বাদ দিয়ে অন্যগুলো দিতে (ড্রাইভিং লাইসেন্স, প্যান কার্ড) গেলাম, কিন্তু কাউন্টারে বসা এক জন বললেন, ‘না, আধার ছাড়া অন্য কোনও প্রমাণপত্র গ্রহণ করা হবে না।’ আমি তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করলাম, ফর্মের পিছনে অন্য অপশনগুলো আছে। তিনি তখন বললেন, ‘আমি নেব না, আপনি (গ্যাস কোম্পানির) হেড অফিসে গিয়ে কথা বলুন।’ এ-দিকে, তখন লাইনে দাঁড়ানো অনেক লোক। আমি নিরুপায় হয়ে ভুল আধার দিয়েই আপডেট করে দিলাম। ভাবলাম, কী অসাধারণ কৌশলে সাধারণ মানুষের তথ্য জোগাড় চলছে।

প্রদ্যোৎ চট্টোপাধ্যায়, চিতারু, উত্তর ২৪ পরগনা

ফুটপাত দরকার

টালিগঞ্জ করুণাময়ী থেকে সিরিটি হয়ে মুচিপাড়া পর্যন্ত, এবং সিরিটি থেকে মহাবীরতলা পর্যন্ত মানুষের হাঁটার উপযুক্ত ফুটপাত অত্যন্ত প্রয়োজন। উপযুক্ত ফুটপাত না থাকায় ছোটখাটো দুর্ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। অফিস টাইমে অটো বা বাসে ওঠা প্রায় অসম্ভব। স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী, হাসপাতালে যাওয়ার অসুস্থ মানুষ এবং বৃদ্ধবৃদ্ধাদের কোনও যানবাহনে ওঠাই কঠিন। করুণাময়ী ও সিরিটি মোড় বেহালার বৃহৎ অঞ্চলের প্রবেশদ্বার। ক্রমশ মানুষ ও গাড়ির সংখ্যা বাড়ছে, আবাসন ও বহুতল বাড়ির সংখ্যাও। ব্যস্ত রাস্তার পাশ থেকে জলের কলও সরাতে হবে। বড় রাস্তার ধারে ১০-১৫ ফুট রাস্তা দখল করে ব্যবসা এবং রাস্তায় স্থায়ী গাড়ির গ্যারাজ কবে বন্ধ হবে? এ ছাড়া আছে যত্রতত্র নানা দেবতার স্থান।

প্রতুল মুখোপাধ্যায়, সিরিটি

জনাই-ডানকুনি

সড়কপথে জনাই থেকে ডানকুনি পর্যন্ত যাতায়াতের কোনও বাস, ট্রেকার বা অন্যান্য যানবাহন নেই। ডানকুনি যেতে হলে জনাই থেকে মিনিবাস, ট্রেকারে অথবা অটোতে চণ্ডীতলা পর্যন্ত এবং ওখান থেকে বাস, ট্রেকার কিংবা অটোতে ডানকুনি যাওয়া যায়। যাত্রীদের সুবিধার্থে শ্রীরামপুর-চণ্ডীতলা ট্রেকারটি ডানকুনি পর্যন্ত এবং ডানকুনি থেকে বাসগুলির রুট জনাই পর্যন্ত সম্প্রসারিত করা হলে ভাল।

শেখ সিরাজ, ধনিয়াখালি, হুগলি

স্বাস্থ্য কেন্দ্র

খাতড়া ব্লকের আড়কামা বাজারের কয়েকশো মিটার দূরে প্রত্যন্ত গ্রাম চাকা, বেনা, সিমলা, বৈদ্যনাথপুর, কেশিয়া গ্রামের হাজার হাজার দরিদ্র মানুষের একমাত্র সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবার কেন্দ্র সিমলা ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্র। প্রতি দিন প্রায় এক হাজার মানুষ আসেন এখানে, কিন্তু এখানকার পরিষেবার কোনও উন্নয়ন ঘটেনি। এক জন ডাক্তার, হাতে গোনা নার্সিং স্টাফ, এক জন ফার্মাসিস্ট দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে এই কেন্দ্র। রোগীদের ব্যবহারের জন্য পরিস্রুত পানীয় জল, শৌচাগার কিছুই নেই। যোগাযোগ ব্যবস্থা নিম্ন মানের, রাত্রে নাইট গার্ড না থাকায় নিরাপত্তার অভাব।

মিন্টু পতি, চাকা, খাতড়া, বাঁকুড়া

নার্সারি, কেজি

এই মুহূর্তে রাজ্যের বেসরকারি প্রায় ৩০ হাজার নার্সারি এবং কেজি স্কুলে প্রায় ৬৫ লক্ষ ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করে। এই স্কুলগুলি সরকারি স্বীকৃতি লাভ করার জন্য, সরকারি গেজেট প্রকাশিত নির্দেশনামা অনুযায়ী, ৩ হাজার টাকা ও ৫ হাজার টাকা এবং প্রয়োজনীয় নথিসহ আবেদনপত্র ৫ বছর পূর্বে জমা দেয়। দুঃখের বিষয়, আজ পর্যন্ত শিক্ষা দফতর একটিও বেসরকারি স্কুলকে সরকারি স্বীকৃতি প্রদান করেনি। বরং একটি সরকারি নির্দেশনামায় জানানো হচ্ছে, এই রাজ্যের এই ধরনের বেসরকারি স্কুল সরকারি অনুমোদন ব্যতীত চালানো যাবে না। যদি চালানো হয়, এই সব স্কুলের বিরুদ্ধে শিক্ষার অধিকার আইন লঙ্ঘনের কারণে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অনুরোধ করি, এই সব বেসরকারি নার্সারি এবং কেজি স্কুলকে কোনও অনুদান ছাড়াই সরকারি অনুমোদন দেওয়া হোক। মূলত দুটি কারণে এই অনুরোধ।

১) পাঁচ বছর আগে রাজ্য সরকারের শিক্ষা দফতর নিজেদের উদ্যোগেই, সরকারি অনুমোদন দেওয়ার জন্য, বেসরকারি স্কুলগুলির কাছে নির্দিষ্ট অর্থসহ আবেদনপত্র আহ্বান করেছিল।

২) এই রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে এই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভূমিকা অনস্বীকার্য।

অশ্বিনীকুমার গায়েন, সাগর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা

সাবওয়ে

হাওড়া স্টেশনের সাবওয়ে দিয়ে অসংখ্য যাত্রী যাতায়াত করেন। ভিড় লেগেই থাকে। কিন্তু সাবওয়ের সিঁড়িগুলি হকারদের দখলে চলে গেছে বহু কাল ধরে। সিঁড়িগুলির ধারে, হকাররা হরেক জিনিস নিয়ে বসে থাকেন, সন্ধ্যাবেলায় আরও বেশি জায়গা দখল করে। ফলে বয়স্ক, প্রতিবন্ধী বা কমজোরি মানুষেরা, ধারের দেওয়াল ধরে যাতায়াত করতে পারেন না।

অভিজিৎ দাস, বালি, হাওড়া

শাশপুর-বর্ধমান

বাঁকুড়া জেলার শাশপুর থেকে বর্ধমান শহরের দূরত্ব ৩৫ কিমি। জেলা বাঁকুড়া হলেও এলাকাবাসীর প্রায় সব প্রয়োজনেই বাঁকুড়ার চেয়ে বর্ধমানেই বেশি যাওয়া-আসা করতে হয়। কিন্তু যোগাযোগ ব্যবস্থা ভয়াবহ। সকালে বর্ধমান থেকে শাশপুর আসার প্রথম বাস ৮:১৫-য় আলিশা বাসস্ট্যান্ড ছেড়ে শাশপুর পৌঁছয় ১০:১০-এ। শাশপুর থেকে বর্ধমানগামী বাস পাওয়া যায় সকালে ৯টার পর আবার আড়াই ঘণ্টা বাদে, বেলা সাড়ে ১১টায়; দুপুরে ২:১০-এর পর দেড় ঘণ্টা বাদে বিকেল ৩:৪০-এ। নির্ধারিত সময়ে অনেক বাসই পৌঁছয় না। খুবই অসুবিধায় পড়তে হয়। ফলে মোটরভ্যান, ব্যক্তিগত গাড়িই যোগাযোগের মাধ্যম হয়ে উঠেছে।

সুমন্ত কোঙার, ই-মেল মারফত

আট নম্বর গেট

হাওড়া স্টেশনের আট নম্বর গেট দিয়ে বের হয়ে ফুটপাত দিয়ে হাঁটা দিন দিন যন্ত্রণাদায়ক হয়ে উঠছে। সোম ও মঙ্গলবার মংলাহাটের জিনিসপত্র এই পথ দিয়েই ভিতরে প্রবেশ করে, যাতায়াত আরও কষ্টকর হয়ে ওঠে। এখন এই ফুটপাত সংলগ্ন অঞ্চলে রেলের কনস্ট্রাকশন হচ্ছে। পথটি সামান্য চওড়া করার সুযোগ রয়েছে। এক নম্বর প্ল্যাটফর্মের মাথায় (বহিরাংশে) অঘোষিত ইউরিনালটি যাতায়াতের পথে বড়ই দৃষ্টিকটু।

লক্ষ্মণ সাঁতরা, ই-মেল মারফত

ঘোষণা নেই

খড়্গপুর-হাওড়া রেলওয়ের মৌড়িগ্রাম স্টেশনে ট্রেন ঢুকছে-বেরচ্ছে, কোনও ঘোষণা ছাড়াই।

পুষ্পা জানা, পূর্ব মেদিনীপুর

চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা

সম্পাদক সমীপেষু,

৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।

ই-মেল: letters@abp.in

যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়

tactic Aadhaar Card
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy