আলোড়ন উঠেছে একটা। আক্ষরিক অর্থেই আলোড়ন। ‘আমিও’— এই ছোট্ট একটা হ্যাশট্যাগ যেন শত-সহস্র ম্লান, মূক মুখে লহমায় দৃপ্ত ভাষা জুগিয়ে দিয়েছে। এক মার্কিন অভিনেত্রী স্ফুলিঙ্গটা ছুড়লেন, বারুদের সুবিশাল স্তূপ অলক্ষ্যে যেন প্রস্তুতই ছিল, চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে এ মহাপৃথিবীর প্রায় সব প্রান্ত থেকে আওয়াজ উঠল— ‘মি টু’।
যে হলিউডি প্রযোজক দীর্ঘ দিন ধরে একের পর এক অভিনেত্রীকে বা সহকর্মীকে নিজের যৌন লালসার শিকার বানিয়ে গিয়েছেন বিনা বাধায়, প্রতিবাদের দমকা ঝড় সেই হার্ভি ওয়াইনস্টেইনকে বিশ্ব মঞ্চে বেপর্দা তো করলই, হার্ভি রাতারাতি হারালেন একাধিক আন্তর্জাতিক মর্যাদাও। তবে এই লোলুপদের তালিকা কিন্তু হার্ভিতে শুরু হয় না, হার্ভিতে শেষও হয় না। হঠাৎ উৎসারিত প্রতিবাদে মর্যাদার মঞ্চ থেকে হার্ভি ওয়াইনস্টেইনের বিতাড়ন নিঃসন্দেহে ইতিবাচক মোড় এনে দিল লজ্জার সুদীর্ঘ ইতিহাসটায়। কিন্তু জঞ্জাল ইতিউতি ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে আরও অনেক। সে সবও এই বানের তোড়েই যত বেশি সম্ভব ভাসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
আরও পড়ুন:#আমিও ঝড়ে নড়ে বসল কলকাতা পুলিশও