আজ সাজা ঘোষণার পালা। ছবি: সংগৃহীত।
দীর্ঘ দেড় দশকের অপেক্ষা শেষ হওয়ার পালা। ধর্ষণ সাব্যস্ত হয়েছে আগেই। আজ সাজা ঘোষণার পালা। গোটা দেশের কিন্তু আগ্রহ রয়েছে, সব চোখ হরিয়ানার দিকে থাকছে। কী উচ্চারণ অপেক্ষায় গুরমিত রাম রহিম সিংহের জন্য, আগ্রহ তা নিয়ে তো বটেই। আগ্রহ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও।
শুক্রবার আদালত রাম রহিমকে দোষী ঘোষণা করতেই যে ভাবে সম্পূর্ণ নৈরাজ্যের কবলে চলে গিয়েছিল হরিয়ানা-পঞ্জাবের বিস্তীর্ণ অঞ্চল, যে ভাবে প্রশাসনিক ব্যর্থতার (মতান্তরে নিষ্ক্রিয়তার) নজির তৈরি হয়েছিল, সোমবারও কি তেমনই দৃশ্য দেখতে হবে? এই প্রশ্নের উত্তরও চাইছে দেশ। আর এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার দায় আজ শুধু হরিয়ানা বা পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীদের নয়। এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার দায় প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীরও।
ডেরা সচ্চা সৌদা তথা গুরমিত রাম রহিম সিংহের অনুগামীদের তাণ্ডবে অত্যন্ত অসন্তুষ্ট পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট। তাণ্ডবকারীদের কঠোর নিন্দা করেছে আদালত, ডেরার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছে। আদালতের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়ছে রাজ্য প্রশাসন, প্রধানমন্ত্রী তথা কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা নিয়েও আদালত প্রবল অসন্তোষ ব্যক্ত করেছে। তাণ্ডবকারীদের কোনও সাংবিধানিক দায়বদ্ধতা নেই, আদালতের পর্যবেক্ষণকে সম্মান জানানোর বাধ্যবাধকতাও তাই নেই তাদের। কিন্তু প্রশাসন সংবিধানের কাছে দায়বদ্ধ। হাইকোর্টের উষ্মা প্রশাসনের পক্ষে খুব একটা সম্মানজনক নয়। রাজ্য এবং কেন্দ্র, দুই সরকারই এ বার তাই তৎপর অনেকটা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মুখ খুলেছেন শুক্রবারের তাণ্ডব প্রসঙ্গে। তীব্র নিন্দা করেছেন হিংসাত্মক ঘটনার। আইন যাঁরা হাতে তুলে নিয়েছেন, তাঁরা কেউ ছাড় পাবেন না বলে আশ্বাস দিয়েছেন। হরিয়ানা এবং পঞ্জাবকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। কিন্তু নিরাপত্তা সত্যিই নিশ্ছিদ্র ছিল কি না, আজ দিনভর তার পরীক্ষা চলবে। প্রধানমন্ত্রী নিঃসন্দেহে কড়া বার্তা দিয়েছেন। কিন্তু শুধু বার্তাতেই কড়া হচ্ছে সরকার, নাকি কার্যক্ষেত্রেও, আজ তারও প্রমাণ পাওয়ার দিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy