এক দশকের মধ্যে রেল বিভাগের চাকরি পেয়েছন ৫ লক্ষের বেশি মানুষ। একই সঙ্গে চলছে আরও ১ লক্ষ শূন্যপদে নিয়োগের প্রক্রিয়া। পরিষেবা বজায় রাখতে যে লাগাতার নিয়োগ করা হবে, তা-ও জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০০৪-২০০৫ থেকে ২০১৩-২০১৪ পর্যন্ত রেলে নিয়োগে হয়েছিল ৪ লক্ষ ১১ হাজার। পরবর্তী এক দশকে অর্থাৎ, ২০২৪-২০২৫ এর মধ্যে নিয়োগ হয়েছে ৫ লক্ষ ৮ হাজার। ২০২৬-এ অ্যাসিস্ট্যান্ট লোকো পাইলট, টেকনিশিয়ান, সুপারভাইজ়ার, ক্লার্ক, জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার, হেল্থকেয়ার অ্যান্ড অ্যালায়েড (সাবেক প্যারামেডিক্যাল) এবং গ্রুপ ‘ডি’ পদের জন্য আরও ১,২০,৫৭৯ জনকে নিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে রেলের।
আরও পড়ুন:
২০২৪-এ সেন্ট্রালাইজ়ড এমপ্লয়মেন্ট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন ডিভিশনে কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। তাতেই অ্যাসিস্ট্যান্ট লোকো পাইলট হিসাবে আবেদন জমা পড়েছে ১৮,৪০,৩৪৭ জনের, জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার বিভাগে ১১,০১,২৬৬ জন এবং নন টেকনিক্যাল পপুলার ক্যাটাগরি গ্র্যাজুয়েট বিভাগে ৫৮,৪১,৭৭৪ এবং আন্ডার গ্র্যাজুয়েট বিভাগে ৬৩,২৭,৪৭৩ জন আবেদন করেছেন।
রেল মোট ১৫ টি ভাষায় নিয়োগের পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেয়। তাতে দেশের ৮৪ থেকে ১৫৬টি শহরে কম্পিউটার বেসড টেস্ট (সিবিটি) দিতে পারেন পরীক্ষার্থীরা। বর্তমানে অ্যাসিস্ট্যান্ট লোকো পাইলট বিভাগে নিয়োগের পরীক্ষা শুরু হলেও অন্য বিভাগের আবেদন প্রক্রিয়া জারি রয়েছে। তাই ২০২৬-এ সেই সমস্ত পদে নিয়োগের পরীক্ষা শুরু হতে চলেছে বলেই জানিয়েছে রেল।