খানিক দেরি হলেও সমাজমাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। এ বার থেকে তাদের নানা প্রশাসনিক তথ্য পাওয়া যাবে সেখানেও। জানা গিয়েছে, ভর্তি সংক্রান্ত নিয়মাবলি, পাঠ্যক্রমের বিশদ তথ্যের পাশাপাশি কী ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজ করা হয়, তার ধারণাও পাওয়া যাবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যানেল এবং সমাজমাধ্যমের পাতায়। থাকবে, সাম্প্রতিক অনুষ্ঠান, আলোচনাচক্র, পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পর্কিতও ভিডিয়োও।
বর্তমানে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই প্রশাসনিক কাজ অনলাইনে সারা হয়। পড়ুয়া ও অভিভাবকদের শিক্ষা সংক্রান্ত কোনও বিষয়ে ২৪ ঘণ্টা তথ্য দিতে সমাজমাধ্যমকে ব্যবহার করে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। গত কয়েক বছরে সে পথেই হেঁটেছে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিও। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (আইআইটি), ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (এনআইটি), বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়মিত সক্রিয় তাদের সংশ্লিষ্ট চ্যানেল, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম পেজ-এ। এখানেই কাউন্সিলের সমস্ত কাজ, নির্দেশিকা, তথ্য প্রচারের কাজও সংক্রান্ত খবর পাওয়া সম্ভব। ২০২৫-এ সেই তালিকায় যুক্ত হল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়।
এ প্রসঙ্গে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেবাশিস দাস বলেন “বিশ্ববিদ্যালয় যে ধরনের সামাজিক কাজ করে থাকে, তা সাধারণত প্রচারের আলোয় আসে না। সেই বিষয়গুলি জনমানসে প্রচারের জন্যই বিশেষ ভাবে ইউটিউব চ্যানলটি শুরু করা হয়েছে।” পাশাপাশি তিনি জানান, এ ছা়ড়াও বেশ কিছু বিষয়ে নিয়মিত তথ্য প্রকাশের পরিকল্পনা রয়েছে। চ্যানেল-পেজ তৈরি করার জন্য প্রাথমিক ভাবে সমস্ত আর্থিক সাহায্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফেই করা হবে।
সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসাবে এ রাজ্যে প্রথম সমাজমাধ্যম ব্যবহার করতে শুরু করে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। ২০২৪-এর ৩১ জুলাই থেকে তারা নিয়মিত তথ্য প্রকাশ করে চলেছে এই পদ্ধতিতেই। এর পর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ও এ বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছে।
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সচিব প্রিয়দর্শিনী মল্লিক বলেন, “পড়াশোনা চালু রাখতে এই উদ্যোগ খুবই ফলপ্রসূ। স্কুল ছুটি থাকলেও সমাজমাধ্যমের সাহায্যেই নিয়মিত ভাবে ভিডিয়োর সাহায্যে বিশেষজ্ঞরা ক্লাসের বিষয়বস্তু বুঝিয়ে দিচ্ছেন।” তিনি জানিয়েছেন, ২০২৪-এ উচ্চ মাধ্যমিকে সেমেস্টার পদ্ধতি চালু হওয়ার পর থেকেই সমাজমাধ্যমে সক্রিয় হয়েছে শিক্ষা সংসদ। এর মাধ্যমে নতুন মডিউল সম্পর্কে বিশদ তথ্য দেওয়া, বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে পড়ুয়াদের বিষয়ভিত্তিক পাঠদানের কাজ করা হয়। ফর্ম পূরণ বা অন্য যে কোনও নির্দেশিকা বিশদে জানানো যাচ্ছে পড়ুয়াদের।