ইঞ্জিনিয়ারিং কিংবা কারিগরি বিদ্যায় শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থান ও নিয়োগে গতি আনতে বিশেষ পদক্ষেপ করছে কেন্দ্রীয় সরকার। সর্বভারতীয় কারিগরি শিক্ষা পরিষদের (অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন) তরফে কলেজগুলিতে পঠনপাঠন এবং গবেষণার উন্নতি, পড়ুয়াদের চাকরি সুনিশ্চিত করতে একাধিক প্রকল্প চালু করা হয়েছে।
প্রজেক্ট ‘প্র্যাকটিস’:
২০ লক্ষেরও বেশি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াকে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে শুরু হয়েছে ‘প্র্যাকটিস’ (প্রজেক্ট ফর অ্যাডভান্সিং ক্রিটিক্যাল থিঙ্কিং, ইন্ডাস্ট্রি কানেক্ট অ্যান্ড এমপ্লয়বিলিটি) নামে একটি প্রকল্প। পঠনপাঠনে পিছিয়ে থাকা কিংবা কর্মসংস্থানের সমস্যা ভুগছে, এমন হাজারেরও বেশি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই সমস্ত প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়াদের দিশা দেখাতে বিশেষ প্রশিক্ষণ, প্রজেক্ট বেসড লার্নিং-এর ব্যবস্থা করবে কারিগরি শিক্ষা পরিষদ।
জাতীয় ইঞ্জিনিয়ার দিবসে সমস্ত প্রকল্প উদ্বোধন করা হয়েছে। ছবি: এআইসিটিই
ইন্টার্নশিপ পোর্টাল:
সর্বভারতীয় কারিগরি শিক্ষা পরিষদের অধীনে ৫,৮৬৮টি ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ডিপ্লোমা কলেজে ৩০ লক্ষেরও বেশি পড়ুয়া পাঠরত। সাম্প্রতিক সমীক্ষার রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ৮৩ শতাংশের বেশি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক কর্মহীন। তাঁদের কর্মসংস্থানের বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে ইন্টার্নশিপের বিশেষ পোর্টাল চালু করেছে সর্বভারতীয় কারিগরি শিক্ষা পরিষদ। ওই পোর্টালের মাধ্যমেই ইঞ্জিনিয়ারিং এবং টেকনোলজিক্যাল শাখার পড়ুয়ারা প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের অধীন বিভিন্ন সংস্থা এবং বেসরকারি বহুজাতিক সংস্থাগুলিতে।
কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান জানিয়েছেন, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক স্তরে দেশের ইঞ্জিনিয়ারদের গ্রহণযোগ্য করে তুলতে রোবোটিক্স, কৃত্রিম মেধা, ডেটা সায়েন্সের বিষয়গুলির সংযোজন প্রয়োজন। সর্বভারতীয় কারিগরি শিক্ষা পরিষদের তরফে যে প্রকল্প চালু করা হয়েছে, তাতে ১০ হাজারেরও বেশি শিক্ষক সমান ভাবে নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধির সুযোগ পেতে চলেছেন। জাতীয় ইঞ্জিনিয়ার দিবসে (১৫ সেপ্টেম্বর) এই সমস্ত প্রকল্প উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব বিনীত জোশি।