এক জন গোয়েন্দা গল্পের পোকা, অন্য জন গানবাজনা ভালবাসে। অনুভব বিশ্বাস এবং সৌম্য পাল। দু’জনের পছন্দ আলাদা হলেও মিল একটাই। এ বারের মাধ্যমিকে দু’জনেই দখল করে নিয়েছে দ্বিতীয় স্থান। ৭০০ নম্বরের মধ্যে প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৪।
শুক্রবার সকাল ৯টায় আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করা হল মাধ্যমিকের ফল। প্রথম দশের তালিকায় এ বার রয়েছে ৬৬ জন। এই তালিকাতেই মালদহ এবং বাঁকুড়া জেলা থেকে এই দুই কৃতী দ্বিতীয় স্থান দখল করে নিয়েছে।
মালদহের ইংরেজবাজারের বাসিন্দা অনুভব বিশ্বাস। রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দির থেকে মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হয়েছে। অন্য দিকে, বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করেছে সৌম্য পাল। দু’জনেরই বক্তব্য, ভাল ফলের আশা থাকলেও দ্বিতীয় হবে, ভাবেনি। তাই উচ্ছ্বসিত দু’জনেই।
মধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে ওঠা অনুভব এবং সৌম্যের মা গৃহবধূ। অনুভবের বাবা ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার সেল্স ম্যানেজার। অন্য দিকে, সৌম্যের বাবা একটি ল্যাবরেটরিতে কেমিস্ট পদে কর্মরত। দু’টি পরিবারই এখন সন্তানের সাফল্যে আনন্দে উদ্বেল।
কিন্তু কোন পথে এমন সাফল্য? অনুভব এবং সৌম্য দু’জনেই জানিয়েছে, ঘড়ি ধরে তারা পড়ত না। বরং যতটুকু পড়ত, মন দিয়ে পড়ত। পড়ার ফাঁকে অনুভব গোয়েন্দা গল্পে মগ্ন হয়ে খানিক বিরতি নিত। অন্য দিকে, পড়ার চাপ দূরে রাখতে সৌম্য গানবাজনার তালে নিজের মন হালকা করতে।
নিজস্ব চিত্র।
দু’জনেই বিজ্ঞান শাখায় উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হতে চায়। অনুভবের ইচ্ছে চিকিৎসক হওয়ার। এ দিকে সৌম্য ইঞ্জিনিয়ারিং বা গবেষণার পথে পা বাড়াতে চায়।