হাতে আর দু’দিন। এখনও অ্যাডমিট কার্ড পায়নি ১৮১ জন পড়ুয়া। কলকাতা হাইকোর্টের কোর্টের নির্দেশের পর পুনরায় পোর্টাল চালু করেছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সেখানে ১৩৬টি স্কুলে ১৮১ জন রেজিস্ট্রেশন করেছে। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে এমনই জানিয়েছেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, ‘‘অ্যাডমিট কার্ড না পাওয়াটা সম্পূর্ণ স্কুলের ভুল। ৯৬৪৫টি স্কুল নিয়ম মেনে কাজ করেছে। মুর্শিদাবাদের একটি স্কুলের ক্লাসে দ্বিতীয় হওয়া এক ছাত্রীরও রেজিস্ট্রেশন করেনি স্কুল। এটি একটি নজিরবিহীন ঘটনা। পর্ষদ জানতে পেরে চেষ্টা করছে ছাত্রীটি যাতে পরীক্ষা দিতে পারে।’’
আরও পড়ুন:
চলতি বছর ১০ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক শুরু। পরীক্ষা দিচ্ছে মোট ৯৮৪৭৫৩ জন পড়ুয়া। যা গত বছরের থেকে ৬২ হাজার বেশি। এর মধ্যে ৪২৮৮০৩ জন ছাত্র এবং ৫৫৫৯৫০ ছাত্রী। রাজ্য জুড়ে পরীক্ষা হবে মোট ২৬৮৩টি পরীক্ষাকেন্দ্রে। ৪২৩ জন কাস্টোডিয়ান থাকছেন। তাঁদের কাছে ইতিমধ্যেই প্রশ্নপত্র চলে গিয়েছে। পরীক্ষা শেষ হবে ২২ ফেব্রুয়ারি। গত বছরের মতো এ বছরেও কড়া নজরদারিতে পরীক্ষা হবে। মোবাইল বা ইলেক্ট্রনিক গ্যাজেট নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ। গত বছর এই কারণে ১৪৫ জনের পরীক্ষা বাতিল হয়েছিল। তবে, সিবিএসই বোর্ড যেমন জানিয়েছে, কোনও পড়ুয়া নকল করতে গিয়ে ধরা পড়লে দু’বছর ওই পড়ুয়ার পরীক্ষা বাতিল করা হবে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ তেমন সিদ্ধান্ত নেয়নি। পর্ষদ সভাপতি বলেন, ‘‘এত নিরাপত্তার পরে যদি কেউ ধরা পড়ে, তা হলে তার এক বছরই পরীক্ষা বাতিল করা হবে।’’
মালদা জেলা অত্যন্ত স্পর্শকাতর, তাই সেখানে রাখা হচ্ছে অতিরিক্ত নিরাপত্তা। গত বছর প্রায় ৪০ থেকে ৪২ জন পড়ুয়া ওই জেলার বিভিন্ন স্কুল থেকে নকল করতে গিয়ে বা মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশের কারণে ধরা পড়ে। পরীক্ষাও বাতিল হয়ে যায় পরে। সে কারণেই চলতি বছর ওই জেলার পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে দু’জন করে অ্যাডিশন্যাল সুপারভাইজ়র রাখা হবে। কোনও সমস্যা হলে তাঁরা দ্রুত ফোনে পর্ষদকে সে বিষয়ে জানবেন।