যাদবপুরের পর এ বার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। স্নাতকোত্তরের ভর্তি প্রক্রিয়া হবে ২০১০ সালের আগে ওবিসি আইনকে মান্যতা দিয়ে। অর্থাৎ ওবিসিদের জন্য সংরক্ষিত ৭ শতাংশের জন্য ৬৬টি সম্প্রদায়ভুক্ত পড়ুয়ারাই স্নাতকোত্তরের ভর্তির আবেদন করতে পারবেন। অতিমারির আগে ভর্তি প্রক্রিয়ায় এই নিয়মই বলবৎ ছিল। সেই নিয়ম ফিরিয়ে আনলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের জন্য ৬০ শতাংশ এবং অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে আগত পড়ুয়াদের জন্য ৪০ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করা হল। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়াদের জন্য থাকছে অতিরিক্ত সুবিধা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের পড়ুয়াদের প্রবেশিকা পরীক্ষা দেওয়া বাধ্যতামূলক। যাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া তাঁরাও চাইলে প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে তাঁদের মেধাতালিকা দু'টি প্রকাশিত হবে। যেটায় ভাল ফল করবেন সেই অনুযায়ী ভর্তি হতে পারবেন।
আরও পড়ুন:
স্নাতকস্তরের ফলের আগেই স্নাতকোত্তরের ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করে দিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। কলা, বাণিজ্য এবং বিজ্ঞান বিভাগের আট হাজারেরও বেশি আসনে আবেদন গ্রহণ করা হবে। স্নাতক স্তরে চূড়ান্ত ফল প্রকাসিত হবে অগস্ট মাসের প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহে। তার আগেই আবেদন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে ফেলছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন:
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শান্তা দত্ত দে বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে ভর্তির ক্ষেত্রে মারাত্মক জটিলতা ও স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। তাঁর ফলে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তার সামনে এসে দাঁড়িয়েছে পড়ুয়ারা। রাজনৈতিক দলের ভুল পদক্ষেপের জন্য সাধারণ মানুষ ভুগছে। ভাল ছেলেমেয়েরা বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলে যাচ্ছে। যা আমরা চাই না। তাই আমরা আইনি পরামর্শ নিয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করলাম।’’
স্নাতকোত্তরে ভর্তির ক্ষেত্রে আবেদন গ্রহণ শুরু হয়ে গিয়েছে ২২ ও ২৪ জুলাই থেকে। বিজ্ঞান বিভাগে ১ অগস্ট। কলা ও বাণিজ্য বিভাগে ৮ অগস্ট পর্যন্ত আবেদন নেওয়া হবে। রেজিস্ট্রার দেবাশিস দাস বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশকে মান্যতা দেওয়া হয়েছে। যদি কোনও পরিবর্তন হয় আমরা 'সুপার নিউমেরিক' পোস্ট তৈরি করে ভর্তি করব পড়ুয়াদের। একাডেমিক ক্যালেন্ডার সঠিক রাখতেই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’
কলা এবং বাণিজ্য বিভাগ মিলিয়ে মোট আসন রয়েছে ৫৪২৫। তার মধ্যে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় অধীনস্থ কলেজ গুলিতে আসন রয়েছে ১,৯৬০। অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয় আসন রয়েছে ৩৮৬৫। বিজ্ঞান বিভাগের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন সংখ্যা ১৩৭৯। বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদিত কলেজে আসন রয়েছে ১৪৬৮। সব মিলিয়ে বিভাগে মোট আসন ২৮৪৭।
কলাও বাণিজ্য মিলিয়ে মোট ২৭ বিভাগ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদিত ২৫ কলেজে স্নাতকোত্তর পড়ানো হয়ে থাকে। বিজ্ঞান বিভাগের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয় ৩৫টি বিষয়। বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদিত কলেজে পড়ানো হয় ৫১ বিষয়।