Advertisement
E-Paper

সাহিত্য বা ভাষাতত্ত্বের ছাত্রও হতে পারেন প্রম্পট ইঞ্জিনিয়ার! সাধারণ ডিগ্রিতেই বশে আসবে কৃত্রিম মেধা

কৃত্রিম মেধা কিংবা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে কাজের ক্ষেত্রে সুযোগ পেতে পারেন সকলেই। কিন্তু সঠিক পথ বেছে নেওয়ার জন্য জেনে নিতে হবে বিষয়বস্তুর খুঁটিনাটি।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২৫ ০৯:০৮

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

কৃত্রিম মেধা কি আসলে মানুষের ইচ্ছে পূরণ করে! হুগলি অরিত্র নির্দেশ দিলেই প্রযুক্তি কাল্পনিক ক্যানভাসে প্যারিসের আইফেল টাওয়ারে পৌঁছে দেয়। কিন্তু এই ভার্চুয়াল সফর কী ভাবে সম্ভব হচ্ছে? যন্ত্রমেধার নিত্য উন্নতি নেপথ্যর কারিগর যাঁরা, তাঁরা যন্ত্র নন, রক্তমাংসের মানুষ। কৃত্রিম মেধাকে যে কোনও বিষয়ে দক্ষ করে তোলেন প্রম্পট ইঞ্জিনিয়াররা।

প্রম্পট অর্থাৎ নির্দেশ। তার খুঁটিনাটি বুঝে সঠিক এআই মডেল তৈরি করা এবং কাজের মূল্যায়ন করাই প্রম্পট ইঞ্জিনিয়ারদের কাজ। সৃজনশীল ভাবনা এবং লেখার ক্ষমতা থাকলে এই কাজে যোগদানের সুযোগ পেতে পারেন কলা বিভাগের পড়ুয়ারাও। এ জন্য তাঁদের ভাষাতত্ত্ব, তথ্য বিশ্লেষণ, মেশিন লার্নিং, লজিক এবং প্রবেলম সলভিং-এর মতো বিষয়ে জ্ঞান থাকা প্রয়োজন।

ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (আইআইইএসটি), শিবপুরের ইনফরমেশন টেকনোলজির অধ্যাপক অরিন্দম বিশ্বাসের কথায়, ব্যবহারকারী যে কোনও ভাষায় যে কোনও ধরনের নির্দেশ দিতে পারে। চ্যাটবটগুলিকে সেই সমস্ত কিছু বুঝে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে উত্তর দিতে হয়। এ জন্য বিভিন্ন ধরনের সৃজনশীল বিষয়ভাবনা নিয়ে নিয়মিত চর্চার প্রয়োজন, যা কলা শাখার সাহিত্য এবং ভাষা নির্ভর পড়ুয়াদের জন্য সহজ। তবে, এ ক্ষেত্রে তাঁদের কৃত্রিম মেধার ‘বেসিক’ জানা অত্যন্ত প্রয়োজন।

— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

কী এই ‘বেসিক’?

প্রম্পট ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ক্ষেত্রে শুধু মানুষের ভাষা জানাই যথেষ্ট নয়। একই সঙ্গে যন্ত্রের ভাষাও জানতে হবে। এ ক্ষেত্রে জিপিটি, ক্লড-এর লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল জানা দরকার। এ ছাড়াও ন্যাচরাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং নিয়েও ওয়াকিবহাল থাকতে হবে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মানুষের ভাষা কম্পিউটারের বোধগম্য হয়ে ওঠে। তবেই নিয়মিত ভাবে প্রম্পট-এর বৈচিত্র্যের সঙ্গে কৃত্রিম মেধা সামঞ্জস্য বজায় রাখতে পারবে। এ ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের কোন নির্দেশ যন্ত্রমেধার বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে, তা চিহ্নিত করা এবং সহজে তার সমাধানের পথের সন্ধান করাও প্রম্পট ইঞ্জিনিয়ারের কাজ।

বিষয় ভেদে কোন ক্ষেত্রে কারা প্রম্পট লিখতে পারবেন, তারও প্রকারভেদ রয়েছে। যদিও প্রম্পট ইঞ্জিনিয়ার পদে হাজার হাজার মানুষ কাজ করলেও ওই বিষয় নিয়ে এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্ট ডিগ্রি কোর্স করানো হয় না এই ভারতে।

তাই, এই বিষয় নিয়ে চর্চার জন্য কৃত্রিম মেধা, মেশিন লার্নিং, ডেটা সায়েন্স, কম্পিউটার সায়েন্স-এর মতো বিষয়ে ডিগ্রি কোর্স করতে হয়। যাঁরা উপরোক্ত বিষয় নিয়ে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পর্বে পড়াশোনার সুযোগ পাননি, তাঁরা আইআইটি প্রতিষ্ঠান কিংবা কেন্দ্রীয় বৈদ্যুতিন ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের অধীনে স্বল্প সময়ের কোর্সের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুযোগ পেতে পারেন। ওই কোর্সগুলিতে বাস্তবসম্মত কাজের বিষয়গুলি শেখানো হয়ে থাকে।

তবে, বিদেশের কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিষয়গুলি নিয়ে পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়াও গুগল, মাইক্রোসফট-এর মতো বহুজাতিক সংস্থাগুলিও বিশেষ কোর্স করিয়ে থাকে। কোর্স সম্পূর্ণ হওয়ার পর প্রজেক্টের চাহিদা অনুযায়ী কাজের সুযোগ আসে। তবে, যাঁরা বিশেষজ্ঞ হতে চান, তাঁদের প্রতিনিয়ত চর্চা এবং পড়াশোনার মধ্যে থাকতে হবে। তবেই, কাজের ক্ষেত্রে উন্নতির সুযোগ পাওয়া যাবে।

AI Effect on Job Artificial Intelligence Course Literature transformation career prospects
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy