প্রকাশিত হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি। ১৩,৪২১টি শূন্য পদে এই নিয়োগ করা হবে। সে ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। জাল নথি দিয়ে চাকরি পাওয়ার রুখতে, তিন দফায় নথি যাচাই করা হবে পর্ষদের তরফে।
ডিসেম্বরে দ্বিতীয় সপ্তাহে থেকে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শুরু হবে। তার আগে নথি যাচাইয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চলেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। নথি যাচাই থেকে শুরু করে ইন্টারভিউ— সম্পূর্ণ প্রক্রিয়ায় ভিডিওগ্রাফি করা হবে। তা ছাড়া, তিন দফায় নথি যাচাই করবে পর্ষদ।
আরও পড়ুন:
জেলাভিত্তিক বা আঞ্চলিক ভাবে নয়, নথি যাচাই থেকে ইন্টারভিউ সমস্তটাই হবে কেন্দ্রীয় ভাবে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের এক কর্তা বলেন, “নথি যাচাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে সমস্ত আবেদন নেওয়া হচ্ছে অনলাইনে। সেখানে অনেক সময় ভুল তথ্য দেওয়া হচ্ছে আবেদনকারীদের তরফে। তাই তথ্য যাচাইয়ের ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়া সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছি।”
ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার রাখার জন্য প্রত্যেক প্রার্থীর ইন্টারভিউয়ের সময় আলাদা আলাদা করে ভিডিওগ্রাফি করা হবে। ইন্টারভিউ বোর্ডে যে বিশেষজ্ঞেরা কোন প্রার্থীকে কত নম্বর দিলেন, তা পরস্পরকে জানাতে পারবেন না। সরাসরি সার্ভারের মাধ্যমে তা আপলোড করা হবে।
নিয়োগের আগে প্রাথমিক ভাবে শিক্ষা দফতর আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ১৯ নভেম্বর বিকেল ৩টে থেকে ৯ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯মিনিট পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করবে পর্ষদ।