ওবিসি সংরক্ষণ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকার পরে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সময়সীমা আর বৃদ্ধি করল না সরকার। প্রথম পর্যায়ে মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে ৭ অগস্ট। নিজের এক্স হ্যান্ডলে জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শেষ পাঁচ দিনে ভর্তির জন্য আবেদন করেছেন প্রায় ৩০০০ হাজার ছাত্রছাত্রী।
ব্রাত্য তাঁর পোস্টে লিখেছেন, অভিন্ন পোর্টালের মাধ্যমে ভর্তির শেষ দিন ছিল আজ। সন্ধ্যা ৬টা অবধি তিন লক্ষ ৫৯ হাজার ১১৪ জন ছাত্রছাত্রী নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেছেন। অভিন্ন পোর্টালে মোট আবেদন করেছেন ২০ লক্ষ ৫৯ হাজার ৭৬০জন। নথিভুক্ত বা রেজিস্টার্ড ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ভিন্ রাজ্যের পড়ুয়া ৪৩১১ জন। ‘চ্যাটবট’ বীণা ৫২,৫২৫টি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে বলেও জানান তিনি। এ ছাড়া যে সমস্ত আবেদনকারী তাঁদের জাতিগত অবস্থান উল্লেখ করেননি, তাঁদের অবিলম্বে তা করার অনুরোধ জানিয়েছেন পোর্টালের মাধ্যমে।
অভিন্ন পোর্টাল নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বসুর এক্স হ্যান্ডেল এ পোস্ট। নিজস্ব চিত্র।
উল্লেখ্য, ২৯ তারিখ মঙ্গলবার রাত ১২ থেকে বৃহস্পতিবার ১ অগস্ট রাত ১১: ৫৯:৫৯ পর্যন্ত আবেদনকারীরা অভিন্ন পোর্টালের মাধ্যমে তাঁদের জাতি শংসাপত্র ও ভর্তির পছন্দক্রম পরিবর্তন করতে পারবেন। এই বিষয়ে ছাত্রছাত্রীদের কোনও অসুবিধা হলে তাঁরা 'চ্যাটবট' বীণা এবং উচ্চশিক্ষা দফতরের দেওয়া কল সেন্টারের সাহায্য নিতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে।
উচ্চশিক্ষা দফতর স্নাতকে ভর্তির অভিন্ন পোর্টালের (ক্যাপ) মাধ্যমে আবেদনের দিনক্ষণ ৩০ জুলাই শেষ হচ্ছে বলে শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর। শেষবার আবেদনের সময়সীমা বৃদ্ধির ১০ দিন পর দেখা যাচ্ছে প্রায় ৮০০০ নাম নথিভুক্ত হয়েছে রাজ্যের কলেজগুলিতে। ১৪ জুলাই সন্ধ্যা পর্যন্ত যে তথ্য বিকাশ ভবন দিয়েছিল তাতে দেখা যাচ্ছে, ৩ লাখ ৪৮ হাজার ২৯৪ জন ছাত্রছাত্রী নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেছেন। ২৫ জুলাই আরও পাঁচ দিনের সময়সীমা বৃদ্ধি করেছিল উচ্চশিক্ষা দফতর। সেদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত আবেদন করেছিলেন ৩ লাখ ৫৬ হাজার ২০২ জন। আর বুধবার দেখা গেল আবেদন করেছেন ২৯১২ জন।
আরও পড়ুন:
রাজ্যে এই মুহূর্তে ৪৭৭ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯ লাখ ৪৮ হাজার ৭৩৭ আসন রয়েছে। ফলে বিপুল সংখ্যক আসন ফাঁকা থাকবে, তা নিয়ে একরকম নিশ্চিত ওয়াকিবহাল মহল। কারণ, এ বার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় নিয়মিত পরীক্ষার্থী পাশ করেছে ৪ লাখ ৩০ হাজার ২৮৬ জন। গত বছর সেই সংখ্যা ছিল ৬ লাখ ৭৯ হাজার ৭৮৪ জন। তারপরও স্নাতকে ক্যাপের মাধ্যমে ভর্তি হয়েছিলেন ৪ লাখ ৪৪ হাজারের কিছু বেশি।