স্কুল সার্ভিস কমিশনের একাদশ দ্বাদশ শ্রেণির ফল প্রকাশ হয়েছে। তাতে ডাক পাননি অনেক নতুন চাকরিপ্রার্থীরা। শূন্যপদ বৃদ্ধি ও অভিজ্ঞতার ১০ নম্বর বাতিলের দাবিতে সোমবার বিকাশ ভবন অভিযানের ডাক দিলেন নতুন চাকরিপ্রার্থীরা।
কেউ লিখিত পরীক্ষায় ৬০ নম্বরের মধ্যে ৬০ পেয়েছেন আবার কেউ ৫৮। তাও তাঁরা ইন্টারভিউ জন্য ডাক পাননি। তাঁদের দাবি, অভিজ্ঞ শিক্ষকদের ১০ নম্বর করে দেওয়ার ফলে এই পরিণতি হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রীর বার্তা চাকরিপ্রার্থীদের উদ্দেশ্যে।
নতুন চাকরিপ্রার্থী শফিউল হাসান বলেন, ‘‘অভিজ্ঞদের যে নম্বর সেটা শুধু ২০১৬ চাকরিহারাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। পার্শ্বশিক্ষকের অভিজ্ঞতা যাঁদের রয়েছে তাঁদেরও এই নম্বর দেওয়া হয়েছে। তার ফলে আমরা নতুনেরা বঞ্চিত। আমরা আসন বৃদ্ধি করে এক লক্ষ করার দাবি জানাচ্ছি।"
আন্দোলনকারীদের মূল তিনটি দাবি রয়েছে, অভিজ্ঞতা ১০ নম্বর বাদ দিতে হবে। স্বচ্ছতা আনতে সকল প্রার্থীদের ওএমআর প্রকাশ করতে হবে। আর একাদশ দ্বাদশ ও নবম দশম শূন্য আসন বৃদ্ধি করতে হবে। এই দাবি পূরণ না হলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন তারা।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করে জানিয়েছেন, ‘‘ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা আমাদের অঙ্গীকারের স্বচ্ছ, সুদৃঢ ও দায়বদ্ধতার আরেকটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তাই চাকরিপ্রার্থীদের প্রতি আমাদের আন্তরিক বার্তা ভরসা রাখুন, ভরসা থাকুক।’’
যদিও ‘যোগ্য’ চাকরিহারা শিক্ষকেরা যে বঞ্চিত হওয়ার কথা বলছেন তা কিছু বিষয়ে হয়ে থাকতে পারে। কারণ, প্রায় ২০ হাজার ৫০০ চাকরিপ্রার্থীকে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হয়েছে। যার মধ্যে প্রায় ৯,৫০০ নতুন পরীক্ষার্থী রয়েছেন।