Advertisement
E-Paper

ছুটির দিনে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা! প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সিদ্ধান্তে নতুন করে বিতর্ক

১ জানুয়ারি সরকারি ছুটি। ২ জানুয়ারি সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুলগুলিতে ‘বই দিবস’ পালিত হয়। ওই দিন প্রাক্‌-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের পাঠ্যবই দে‌ওয়া হয় । এই দু’দিনে কলকাতা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে জেলাস্তরের স্কুলগুলির বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সূচি রাখা হয়েছে।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৬:০৫
প্রতীকী চিত্র।

প্রতীকী চিত্র।

কলকাতা সার্কলের প্রাথমিকের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা নিয়ে জটিলতা যেন কাটতেই চাইছে না। এর আগে ডিসেম্বরে এই প্রতিযোগিতা হওয়ার কথা ছিল। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব থাকায় সে সময় বিতর্ক হয়েছিল শিক্ষকদের কাজ নিয়ে। পরে তা ১ ও ২ জানুয়ারি ২০২৬-এ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। কিন্তু বছরের প্রথম দু’দিনে প্রতিযোগিতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন শিক্ষকদের একাংশ।

১ জানুয়ারি সরকারি ছুটি। ২ জানুয়ারি সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুলগুলিতে ‘বই দিবস’ পালিত হয়। ওই দিন প্রাক্‌-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের পাঠ্যবই দে‌ওয়া হয় । এই দু’দিনে কলকাতা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে জেলাস্তরের স্কুলগুলির বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সূচি রাখা হয়েছে। এতেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

ইতিমধ্যেই এই সূচি পরিবর্তনের দাবি তুলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে চিঠি দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষকদের সংগঠন ‘উস্থি ইউনাইটেড প্রাইমারি টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’। সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক ভাস্কর ঘোষ বলেন, “ক্রীড়া প্রতিযোগতায় যোগ দেবে কারা? ১ জানুয়ারি সরকারি ছুটি, বেশির ভাগ পড়ুয়াই হয়তো আসতে চাইবে না। পর দিন, বই দিবস। ফলে এই দু’টি দায়িত্ব কী ভাবে পালন করবেন শিক্ষকেরা? পড়ুয়ারাই বা কী করে আসবে?”

এ বছর কলকাতা জেলার প্রাথমিক স্কুলগুলির খেলা হবে শ্যামবাজারে দেশবন্ধু পার্কে। ১ জানুয়ারি ওই চত্বরে এমনিতেই ভিড় থাকে। ফলে প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে আসা পড়ুয়া ও অভিভাবকেরা সমস্যায় পড়তে পারেন।

‘আমরা দ্য টিটার সোসাইটি’র আহ্বায়ক পৃথা বিশ্বাস বলেন, “বছরের প্রথম দিন ছুটির দিনে কেন খেলা রাখা হল? তা ছাড়া শ্যামবাজারে কাছে মাঠে খেলা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখানে কল্পতরু উৎসবের জন্য বহু মানুষ জড়ো হন। সকলেরই অসুবিধা হবে।”

এই প্রতিযোগিতা কলকাতা জেলার সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত এবং সরকার পোষিত প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়াদের পাশাপাশি মাদ্রাসা, প্রাথমিকের বিশেষ চাহিদা সম্পূর্ণ পড়ুয়া ও শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের পড়ুয়ারও যোগ দেয়।

যদিও এ বিতর্কে কর্ণপাত করতে নারাজ পর্ষদ। কলকাতা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান কার্তিক মান্না বলেন, “অন্য দিন মাঠ পাওয়া যায়নি বলেই ১ জানুয়ারি খেলা রাখতে হয়েছে। তা ছাড়া, প্রাথমিক স্কুলগুলি চলে সকালে। ২ জানুয়ারি সকালে বই দিবস পালিত হলেও দুপুরে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা সম্ভব।”

একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ১ জানুয়ারি ক্রীড়া প্রতিযোগিতার দায়িত্বে থাকা শিক্ষক-শিক্ষিকারা পরে এক দিন ছুটির আবেদন করতে পারবেন।

Sports WBBPE
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy