E-Paper

তৃতীয় সিমেস্টারের ফল নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই

তৃতীয় সিমেস্টার পরীক্ষা দিয়েছে ৬ লক্ষ ৬০ হাজার ৩৪৩ জন পরীক্ষার্থী। তবে তৃতীয় সিমেস্টারের ফল নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বেরোলেও সামগ্রিক ফলের জন্য পরীক্ষার্থীদের অপেক্ষা করতে হবে চতুর্থ সিমেস্টারের ফলের জন্য।

আর্যভট্ট খান

শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২৫ ০৯:২৮

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

উচ্চ মাধ্যমিকের তৃতীয় সিমেস্টারের ফল বেরোবে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। রবিবার এ কথা জানালেন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য।

এ বছর তৃতীয় সিমেস্টার পরীক্ষা দিয়েছে ৬ লক্ষ ৬০ হাজার ৩৪৩ জন পরীক্ষার্থী। তবে তৃতীয় সিমেস্টারের ফল নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বেরোলেও সামগ্রিক ফলের জন্য পরীক্ষার্থীদের অপেক্ষা করতে হবে চতুর্থ সিমেস্টারের ফলের জন্য। তৃতীয় সিমেস্টারে এক জন পরীক্ষার্থী কোন বিষয়ে কত নম্বর পেয়েছে এবং মোট নম্বর কত, তা ওয়েবসাইটে দিয়ে দেওয়া হবে। তবে কোনও মেধা তালিকা দেওয়া হবে না। চূড়ান্ত মেধা তালিকা চতুর্থ সিমেস্টারের পরেই দেওয়া হবে। তখন মার্কশিটের হার্ড কপিও পরীক্ষার্থীরা পাবে।

এ দিন চিরঞ্জীব বলেন, ‘‘তৃতীয় সিমেস্টার শেষ হয়েছে গত ২২ সেপ্টেম্বর। পরীক্ষা শেষ হওয়ার দেড় মাস‌ের আগেই ফল বেরিয়ে যাচ্ছে। তৃতীয় সিমেস্টার ওএমআর শিটে উত্তর দিয়েছে পড়ুয়ারা। সেই মূল্যায়ন কম্পিউটারের মাধ্যমে হচ্ছে। তাই দ্রুতও হচ্ছে। ফলাফল নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ঠিক কবে বেরোবে, তা ২২ অক্টোবর নাগাদ আমরা জানিয়ে দেব।’’

এ বছর তৃতীয় সিমেস্টারে অনুপস্থিত ছিল ৭৯ হাজার ৫২৮ জন পরীক্ষার্থী। এই অনুপস্থিত থাকা পরীক্ষার্থীদের তৃতীয় সিমেস্টারের পরীক্ষাগুলি চতুর্থ সিমেস্টারের সময়ে সাপ্লিমেন্টারি হিসাবে দেওয়ার সুযোগ থাকছে। ফলে চতুর্থ সিমেস্টারের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা অনেকটাই বাড়তে পারে, এমনটাই অনুমান সংসদের। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে চতুর্থ সিমেস্টারের পরীক্ষা শুরু। শেষ হবে ২৭ ফেব্রুয়ারি। সেই সময়ে পাশাপাশি তৃতীয় সিমেস্টারের সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষাও চলবে।

এ দিকে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি জানিয়েছেন, চতুর্থ সিমেস্টারের জন্য পরীক্ষার্থীরা প্রস্তুতির সময় কম পাবে বলে পাঠ্যক্রম কমানোর প্রস্তাব এসেছিল কিছু শিক্ষক সংগঠন এবং অভিভাবকদের তরফ থেকে। কিন্তু আমরা পর্যালোচনা করে দেখেছি, এই বছর পাঠ্যক্রম কমানো সম্ভব নয়। চিরঞ্জীব বলেন, ‘‘করোনার সময়ে সর্বভারতীয় ভাবে বিভিন্ন পরীক্ষার পাঠ্যক্রম কমেছিল। তখন পাঠ্যক্রম আমরাওকমিয়েছিলাম। এখন সেটা আর সম্ভব নয়। এখন পাঠ্যক্রম কমলে উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে পড়ুয়াদের অসুবিধা হতে পারে।’’

বর্তমান নিয়মে প্রথম ও তৃতীয় সিমেস্টারে এমসিকিউ এবং দ্বিতীয় ও চতুর্থ সিমেস্টারে ব্যাখ্যামূলক উত্তর দিতে হয়। সেই নিয়ম বদলে প্রথম ও তৃতীয় সিমেস্টারে বড় প্রশ্ন এবং দ্বিতীয় ও চতুর্থ সিমেস্টারে এমসিকিউ করার যে প্রস্তাব উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের কাছে এসেছিল, তা পুরোপুরি নাকচ করা হয়েছে বলেও এ দিন জানান চিরঞ্জীব। সভাপতি বলেন, ‘‘সিমেস্টারের মাধ্যমে সম্পূর্ণ নতুন পদ্ধতিতে উচ্চ মাধ্যমিকের মূল্যায়ন শুরু করা হয়েছে। প্রথম ও তৃতীয় সিমেস্টার এমসিকিউ এবং দ্বিতীয় এবং চতুর্থ সিমেস্টারে ব্যাখ্যামূলক উত্তরই দিতে হবে পরীক্ষার্থীদের। সেই অনুযায়ী পাঠ্যক্রমও তৈরি হয়েছে। ওই পদ্ধতিতে এক বছর যেতেই তা পাল্টে দেওয়া সম্ভব নয়। তা হলে পাঠ্যবই এবং পাঠ্যক্রম অনেককিছুই পাল্টাতে হবে। এই পরিবর্তন এখন কোনও ভাবেই সম্ভব নয়। এখন যে পদ্ধতিতে উচ্চ মাধ্যমিকের মূল্যায়ন চলছে, সেই পদ্ধতিতেই কয়েক বছর চলবে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

HS HS Result

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy