বয়ঃসন্ধিকাল বড় সংবেদনশীল সময়। উঠতি বয়সে নানা শারীরিক পরিবর্তন, আবেগ নিয়ন্ত্রণে না রাখতে পারা— এমন নানা টালমাটাল অনেক সময় অন্ধকারে ঠেলে দেয় পড়ুয়াদের। মানসিক অবসাদ অথবা কৌতূহলে পড়ে নেশার কবলে পড়ে কেউ কেউ। তামাক থেকে ড্রাগ বিভিন্ন নেশার কবলে পরে ধীরে ধীরে নিজের জীবনকে অন্ধকারের পথে এগিয়ে নিয়ে যায় আগামীর উজ্জ্বল নক্ষত্রেরা। তাই স্কুল জীবন থেকেই নেশামুক্তির সচেতনতা গড়ে তুলতে এগিয়ে এল কেন্দ্রীয় সরকারের শিক্ষামন্ত্রক।
৩১ মে বিশ্ব তামাকবিরোধী দিবস উদ্যাপন করা হয়। ওই দিনকে কেন্দ্র করে বিশেষ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। এই সংক্রান্ত বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, দেশ জুড়ে ৩১ জুলাই পর্যন্ত বিশেষ প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে হবে সরকারি স্কুলগুলিকে। র্যালি, পথনাটিকা, পোস্টার বানানো, স্লোগান অথবা কবিতা লিখতে হবে স্কুলের পড়ুয়াদের। এর পর পড়ুয়াদের তৈরি করা সেই সমস্ত নথি রাজ্য নোডাল অফিসারকে পাঠাতে হবে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের কাছে। যে সমস্ত স্কুল প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হবে তাদের বিশেষ পুরষ্কার দেওয়া হবে। পাশাপাশি পিএম-ই বিদ্যালয়ের চ্যানেলে প্রতিযোগীদের কাজ দেখানো হবে।
আরও পড়ুন:
২৬ জুন ছিল মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস। ড্রাগবিরোধী দিন হিসাবে বিশ্ব জুড়ে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয় ওই দিনে। উত্তর কলকাতার দ্য পার্ক ইনস্টিটিউশনের পড়ুয়ারাও বিশেষ কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে সচেতনতার বার্তা দিল। স্কুলের আশপাশের দোকানে এবং সাধারণ মানুষের হাতে পোস্টার বিলির মাধ্যমে সচেতনতার কথা তুলে ধরে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুপ্রিয় পাঁজা বলেন, ‘‘আমরা প্রতি বছরই নেশামুক্ত সমাজ গড়ার লক্ষ্যে স্কুল পড়ুয়াদের নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির কর্মসূচি করে থাকি। বিশেষ করে স্কুলের আশেপাশের দোকানে এই সচেতনতা প্রয়োজন।’’
আগামী ২৮ জুন দক্ষিণ কলকাতার যাদবপুর বিদ্যাপীঠেও নেশামুক্তর বার্তা দেওয়া হবে। স্কুলে সকালের প্রার্থনার সময় এই নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন স্কুল প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতিম বৈদ্য। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের স্কুল পড়ুয়াদের সব সময় সমাজ সচেতনতামূলক কাজে এগিয়ে রাখে। নেশামুক্ত সমাজ গড়ে তোলা খুবই প্রয়োজন। সেই লক্ষ্যে আমাদের পড়ুয়ারাও নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে’’।