বিশেষ ভাবে সক্ষমদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য প্রয়োজন বিশেষ ডিগ্রি। স্পেশাল এডুকেশন নিয়ে বিভিন্ন কোর্স করা যায় তাঁদের পড়ানোর জন্য। এই মর্মে কেন্দ্র সরকার অধীনস্থ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউড ফর দ্য এমপাওয়ারমেন্ট অফ পার্সনস উইথ ইন্টেলেকচুয়াল ডিজ়াবিলিটিজ় (এনআইইপিআইডি)-র তরফে বেশ কিছু কোর্সে ভর্তির আবেদন গ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।
ডিভিআর (ডিপ্লোমা ইন ভোকেশন্যাল রিহ্যাবিলিটেশন), ডিপ্লোমা ইন এডুকেশন (ডিএড),
ব্যাচেলর অফ এডুকেশন (বিএড) এবং মাস্টার অফ এডুকেশন (এমএড)-এ ভর্তির আবেদন গ্রহণ প্রক্রিয়া চলছে। তবে সব ক’টি কোর্সই স্পেশাল এডুকেশন অর্থাৎ বিশেষ ভাবে সক্ষমদের পড়ানোর জন্য করানো হবে।
এনআইইপিআইডি কলকাতার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক দশরথ চৌধুরী জানিয়েছেন, এমএড কোর্সে ১২ জন ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন। বাকি সব ক’টি কোর্সের জন্য আসন সংখ্যা ২৫টি করে।
ডিভিআর এক বছরের কোর্স। আবেদনের জন্য দ্বাদশের শ্রেণি উত্তীর্ণ হওয়া চাই ন্যূনতম ৫০ শতাংশ নম্বর থাকতে হবে। ১৮ বছরের বেশি বিশেষ ভাবে সক্ষমদের কী ভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় তা এই কোর্সে শেখানো হয়।
ডিএড দু’বছরের কোর্স। এই ক্ষেত্রেও আবেদনের জন্য দ্বাদশ শ্রেণি উত্তীর্ণ হওয়া চাই ন্যূনতম ৫০ শতাংশ নম্বর থাকতে হবে। ডিএড করার পরই স্পেশাল টিচার হওয়ার নথি পাওয়া যাবে। আরসিআই (রিহ্যাব কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া)-এর লাইসেন্স পাওয়া যায়।
বিএড-ও দু’বছরের কোর্স। যে কোনও স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতক উত্তীর্ণ হওয়া চাই। এই ক্ষেত্রেও আরসিআই-এর লাইসেন্স পাওয়া যাবে। এই ডিগ্রির পর কোনও এনজিও, স্বাস্থ্য কেন্দ্র অথবা বিশেষ ভাবে সক্ষমদের পড়ানোর নথি মেলে।
এমএড দু’বছরের কোর্স। এই কোর্সে আবেদনের জন্য স্পেশাল বিএড ডিগ্রি থাকা চাই। এমএড ডিগ্রির পর বিশেষ ভাবে সক্ষমদের পড়ানোর যে কোনও প্রতিষ্ঠানে উচ্চ পদে কাজ করার সুযোগ পাওয়া যায়।
আবেদন করবেন কী ভাবে?
অনলাইন এবং অফলাইন— দু’ভাবেই আবেদন করতে হবে। এনআইইপিআইডি-র ওয়েবসাইটে যেতে হবে। ‘হোমপেজ’ থেকে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞপ্তিটি পাওয়া যাবে। সেখান থেকে প্রথমে আবেদনপত্র ডাউনলোড করতে হবে। এর পর ডিমান্ড ড্রাফট-এর মাধ্যমে টাকা জমা দিতে হবে। শেষে আবেদনপত্র এবং প্রয়োজনীয় নথি এনআইইপিআইডি-র বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জমা দিতে হবে। ১৫ জুলাই আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। এই সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য এবং শর্তাবলি জানতে এনআইইপিআইডি-র ওয়েবসাইটে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিটি দেখুন।