উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ্যক্রমে যোগ হয়েছে ডেটা সায়েন্স। কৃত্রিম মেধার মতোই এই বিষয়টিতেও কেরিয়ার গড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু দ্বাদশের পড়াশোনার পর উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে কী ভাবে শুরু করবেন? কোন বিষয় নিয়ে পড়লে কোন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর থাকছে প্রতিবেদনে।
উচ্চমাধ্যমিকের পাঠ্যক্রমে ডেটা সায়েন্স এবং কৃত্রিম মেধা একই সঙ্গে পড়ানো হয়। দ্বাদশে মূলত কম্পিউটার ফান্ডামেন্টালস, প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ, ডেটা অ্যানালিটিক্স এবং তার জন্য যে ম্যাথমেটিক্যাল এবং স্ট্যাটিস্টিক্যাল পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়— সেই সমস্ত বিষয়গুলি শেখানো হয়।
— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
কিন্তু স্নাতক স্তরে সেই বিষয়গুলি বিশদে জানার সুযোগ রয়েছে। তবে, এ ক্ষেত্রে কোন বিষয়ে কী শেখা যাবে, তার কিছু তথ্য জেনে নেওয়া প্রয়োজন।
১. গণিতে স্নাতক হওয়ার পরও ডেটা সায়েন্স নিয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ থাকছে। কারণ অঙ্কের জটিল সমস্যার বিশ্লেষণাত্মক সমাধানের কৌশল ডেটা সায়েন্সেও সমান ভাবে প্রয়োগ করা যায়।
২. কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে স্নাতক স্তরে পড়াশোনা করতে পারলে প্রোগ্রামিং-এ দক্ষ হওয়া যায়। অঙ্কের হিসাব নিকেশেও সাবলীল হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
৩. কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে ডিগ্রি কোর্সের ক্ষেত্রে সফট্অয়্যার সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন সম্ভব। সেই সঙ্গে ডেটা ডিরেকশন অর্থাৎ তথ্যের প্রবাহ সম্পর্কেও দক্ষ হতে পারবেন।
৪. ডেটা সায়েন্স-এ স্নাতক ডিগ্রি কোর্স করতে পারলে পাইথন প্রোগ্রামিং, ডেটা স্ট্রাকচার, লিনিয়ার অ্যালজ্রেবা, ডেটা ভিস্যুয়ালাইজ়েশন নিয়ে সরাসরি শেখার সুযোগ থাকছে।
তবে, পাঠ্যবই-এর পড়াশোনাই যথেষ্ট নয়, যা শেখানো হচ্ছে— তা হাতেকলমে অভ্যাস করার চেষ্টা করতে হবে। থিয়োরিকে হাতেকলমে প্রয়োগ করা যাচ্ছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে বিভিন্ন প্রকল্পের উপর। এ জন্য ইন্টারনেটের সাহায্যে কী ভাবে মডেল তৈরি করা যেতে পারে, তার ক্লাস অনলাইনে করতে পারবেন পড়ুয়ারা।
— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
দেশের আইআইটি প্রতিষ্ঠানগুলিতে ডেটা সায়েন্স স্নাতক স্তর থেকেই পড়ানো হয়। স্নাতকোত্তর স্তর কিংবা পরবর্তী পর্বের পড়াশোনার জন্য সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলি বেছে নিতে পারবেন পড়ুয়ারা। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে জয়েন্ট এন্ট্রানস্ এগ্জ়ামিনেশন (জেইই) পাশ করা আবশ্যক। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে সর্বভারতীয় স্তরের পরীক্ষা না-ও দিতে হতে পারে।
পড়াশোনার পর ডেটা অ্যানালিস্ট, জুনিয়র ডেটা সায়েন্স, মেশিন লার্নিং ইঞ্জিনিয়ার, বিজ়নেস ইন্টালিজেন্স অ্যানালিস্ট হিসাবে ফ্রিল্যান্সিং কিংবা ইন্টার্নশিপ শুরু করতে পারবেন। এরপর সংস্থার চাহিদা অনুযায়ী, বিভিন্ন প্রকল্পে নিজের দক্ষতা দেখাতে পারলে ধীরে ধীরে পদোন্নতির সম্ভাবনা রয়েছে।
এ ক্ষেত্রে নিয়মিত অভ্যাস, সঠিক ভাবে যোগাযোগ গড়ে তোলা, জটিল বিষয়ের যুক্তিসম্মত সহজ সমাধান, দলবদ্ধ ভাবে কাজ করতে পারার দক্ষতা থাকাও প্রয়োজন। তবেই কাজের ক্ষেত্রে উন্নতি কিংবা বিষয় বিশেষজ্ঞ হয়ে ওঠা সম্ভব।