Advertisement
E-Paper

মাধ্যমিকের শেষ দিনে কলকাতার স্কুলে ভাঙচুর, প্রাকৃতিক দুর্যোগে মিলল বাড়তি সময়

পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে যে স্কুলের পড়ুয়ারা ভাঙচুর চালিয়েছে সেই স্কুলের কর্তৃপক্ষকে দায়ভার নিতে হবে। যতক্ষণ না পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট স্কুল ক্ষতিপূরণ করছে ততক্ষণ ওই স্কুলের পরীক্ষার্থীদের ফলাফল প্রকাশিত করা হবে না।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:২৪
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

মাধ্যমিকের পরীক্ষা নির্বিঘ্নে মিটলেও শেষ দিনে স্কুলে ভাঙচুর চালায় পরীক্ষার্থীরা। কলকাতার নারকেলডাঙ্গা দেশবন্ধু বিদ্যাপীঠের পড়ুয়ারা পরীক্ষার শেষে ফ্যান ভেঙে ফেলে এবং তান্ডবও চালায় বলে সূত্রের খবর। পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, যে স্কুলের পড়ুয়ারা ভাঙচুর চালিয়েছে সেই স্কুলের কর্তৃপক্ষকেই দায়ভার নিতে হবে। যতক্ষণ না পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট স্কুল ক্ষতিপূরণ করছে ততক্ষণ ওই স্কুলের পরীক্ষার্থীদের ফলাফল প্রকাশ করা হবে না।

অন্য দিকে, বৃহস্পতিবার মাধ্যমিকের মূল বিষয়গুলি পরীক্ষার শেষ দিন ছিল। ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষায় পড়ুয়াদের প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হতে হল। জেলায় জেলায় ঝড়-বৃষ্টির ফলে বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্র বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। হাওড়া, হুগলি, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বেশ কিছু পরীক্ষা কেন্দ্রে ঝড়-বৃষ্টির কারণে সাময়িক ভাবে ব্যাহত হয় পরীক্ষা। এমন পরিস্থিতিতে বিশেষ ব্যবস্থা নেয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এই পাঁচ জেলার বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রে কোথাও ১০ মিনিট আবার কোথাও ৩০ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়। পর্ষদের নির্দেশ অনুযায়ী এই সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এক আধিকারিক জানান, পরীক্ষার্থীদের স্বার্থে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ কারও হাতে নেই। তাই পড়ুয়ারা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তাই অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, এক দশকের কাছাকাছি এই প্রথমবার কোনও প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি। শেষ কিছু বছরে দেখা গিয়েছে হয় পরীক্ষার আগেই প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়েছে, না হলে পরীক্ষার ঘণ্টাখানেকের মধ্যে মোবাইলে ছবি তুলে প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। যদিও বেশ কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে। কখনও খাতা ছিঁড়ে ফেলা কখনও আবার মোবাইল নিয়ে ধরার পড়ার ঘটনাও সামনে এসেছে। শেষ দিনে মোবাইল-সহ ধরা পড়ল তিন জন পরীক্ষার্থীর। আলিপুরদুয়ার, বাঁকুড়া এবং ঝাড়গ্রাম জেলার পড়ুয়া তাঁরা। বাতিল হয়েছে তাঁদের পরীক্ষাও। চলতি বছরে মোট ২০ জনের কাছ থেকে মোবাইল ফোন পাওয়া গিয়ছে। এরা সকলেই পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোন ব্যবহার করছিল। তাদের পরীক্ষা বাতিল করা হয়। দু’জনের পরীক্ষা 'আরএ' হয় খাতা ছিঁড়ে ফেলার জন্য। কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া চলতি বছরে নির্বিঘ্নেই মিটল মাধ্যমিক।

WBBSE Madhyamik 2025
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy