নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মাধ্যমিকের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না করায় স্কুলগুলির উপর পড়ুয়া পিছু আর্থিক জরিমানা ধার্য করেছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। পড়ুয়া পিছু ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা দেওয়ার কথা জানান হয়েছিল মধ্য শিক্ষা পর্ষদের তরফে। আর মাধ্যমিক বোর্ডের এই সিদ্ধান্ত হস্তক্ষেপ করল না শিক্ষা দফতর।
সোমবার নিউটাউনে ভাষা মেলার উদ্বোধনে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‘স্কুলের পড়ুয়াদের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা করে চাওয়া হচ্ছে। আমি বোর্ডের কাছ থেকে রিপোর্ট চাই। পর্ষদ জানিয়েছে হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল। সেই মতো তারা জরিমানা ধার্য করেছে। হাইকোর্টের নির্দেশে ২০ হাজার টাকা উল্লেখ ছিল জরিমানা হিসাবে। পর্ষদ তা কমিয়ে পাঁচ হাজার টাকা করেছে। এ বার মাত্র ৫০টি স্কুল রয়েছে। এটা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের বিষয়, দফতর এখানে হস্তক্ষেপ করবে না।’’
আরও পড়ুন:
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নির্দেশ অনুযায়ী আজকেই ছিল এই জরিমানা দেওয়ার শেষ দিন। পর্ষদ সূত্রের খবর, যে সমস্ত স্কুল সময় মতো পড়ুয়াদের নাম নথিভুক্ত করেনি তারাই জরিমানার অঙ্কের টাকা জমা করে দিয়েছে। পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা বারবার জানিয়েছি স্কুলগুলিকে। একাধিকবার সময় দেওয়া হয়েছে, ভুল সংশোধনের। তারপরেও তারা করেনি। এই জিনিস বারংবার চলতে পারে না।’’
আরিয়াপাড়া হাইস্কুলের প্রধানশিক্ষক কেতক বড়াল বলেন, ‘‘পড়ুয়ারা যাতে পরীক্ষায় বসতে পারে স্কুল কোনও রকমে এই টাকা জোগাড় করে পর্ষদের কাছে জমা দিয়েছে। তবে সব ক্ষেত্রে স্কুলের দায় নয়। অনেক ক্ষেত্রে পড়ুয়ারাও এই ধরনের পরিস্থিতির জন্য দায়ী।’’