যমজ দুই ভাইয়ের রেজাল্টে ফারাক ২ নম্বরের। নিজস্ব চিত্র।
অরুণাভ দাস এবং অভিষেক দাস। মাধ্যমিক পাশ করেছে এ বারেই। দু'জনেরই জন্মের ব্যাবধানে ফারাক ছিল দু'মিনিটের। একই ফারাকের ছবি ধরা পড়ল মাধ্যমিকের ফলাফলের তালিকাতেও। ২ নম্বরের জন্য দাদা অরুণাভ দাস এগিয়ে গেল মাধ্যমিকে। ভাই পেয়েছে ৬৮০। অরুণাভর নম্বর ৬৮২।
মাধ্যমিকে নজরকাড়া রেজাল্ট করেছে মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দির ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ছাতিনা কান্দির বাসিন্দা এই যমজ। মাধ্যমিক পাশ করেছে কান্দি রাজ হাইস্কুল থেকে। মা সারদা দাস। পেশায় গৃহবধূ, বাবা পশু চিকিৎসক। প্রথম দশের মেধাতালিকায় নাম না থাকলেও ছেলেদের এই রেজাল্টে খুশি স্কুল এবং পরিবার-সহ এলাকাবাসী।
কান্দি রাজ হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ভূমানন্দ সিন্হা জানিয়েছেন, ‘‘প্রথম থেকে দুই ভাইয়ের প্রতিযোগিতা খুব উপভোগ করতাম। আশা করেছিলাম, ওরা রাজ্য মেধাতালিকায় স্থান পাবে, এক নম্বরের জন্য হাতছাড়া হওয়ায় একটু আফসোস হচ্ছে। তবে এই ফলও নিঃসন্দেহে শ্লাঘার।’’
দু'জনেরই স্বপ্ন চিকিৎসক হওয়ার। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ছোট থেকেই দুই ভাইয়ের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলে এসেছে। কখনও দাদা অরুণাভ, কখনও ভাই অভিষেক কয়েক নম্বরে এগিয়ে যেত। ছেলেদের চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্নপূরণের জন্য সব সময় পরিবার পাশে রয়েছে বলেই জানিয়েছেন তাঁরা।
সকাল ১০টায় সাংবাদিক বৈঠকে পর্ষদের তরফ থেকে প্রকাশিত হয়েছে মাধ্যমিকের ফলাফল। এই বছর পরীক্ষার্থী ছিল ৬ লক্ষ ৩৭ হাজার ১০৫ জন। এর মধ্যে পাশ করেছে ৫,৪৮,৯০৯ জন।
এ বার পাশের হার কমেছে। গত বছর ছিল ৮৬.৬০ শতাংশ। এই বছর কমে হয়েছে ৮৬.১৫ শতাংশ। মাধ্যমিকে প্রথম হয়েছেন দেবদত্তা মাঝি। যুগ্ম দ্বিতীয় বর্ধমানের শুভম পাল এবং মালদহের রিফাত হাসান সরকার। তৃতীয় হয়েছেন ৬ জন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy