Advertisement
E-Paper

উচ্চ প্রাথমিকের কাউন্সেলিংয়ের শেষে অনুপস্থিত এবং প্রত্যাখ্যানকারী ২০৭২ জন

মঙ্গলবার ছিল বাংলা মাধ্যমের কাউন্সেলিংয়ের শেষ দিন। যেখানে ডাকা হয়েছিল ৫০৮ জন তালিকাভুক্ত চাকরিপ্রার্থীকে। এর মধ্যে অনুপস্থিত এবং প্রত্যাখ্যানকারীর সংখ্যা ছিল ৮৩।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ১৯:৫৬

সংগৃহীত চিত্র।

শেষ হল উচ্চ প্রাথমিকের কাউন্সেলিং। প্যানেলভুক্ত ৮,৭৪৯ জন চাকরিপ্রার্থীকে ডাকা হয়েছিল। এঁদের মধ্যে অনুপস্থিত এবং প্রত্যাখ্যানকারীর সংখ্যা ২০৭২। যা শতাংশের নিরিখে প্রায় ২৪।

স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, ‘‘প্যানেলভুক্ত সমস্ত চাকরিপ্রার্থীর কাউন্সেলিং দ্রুত এবং সুস্থ ভাবে সম্পন্ন করা গিয়েছে। তবে বেশ কিছু প্রার্থী অনুপস্থিত ছিলেন, অনেকে চাকরি প্রত্যাখ্যানও করেছেন। অপেক্ষমাণ চাকরিপ্রার্থীদের কাউন্সেলিং শুরু করার কাজ আমরা দ্রুত শুরু করার চেষ্টা করব।’’

মঙ্গলবার ছিল বাংলা মাধ্যমের কাউন্সেলিংয়ের শেষ দিন। যেখানে ডাকা হয়েছিল ৫০৮ জন তালিকাভুক্ত চাকরিপ্রার্থীকে। এর মধ্যে অনুপস্থিত এবং প্রত্যাখ্যানকারীর সংখ্যা ছিল ৮৩। দ্বিতীয় পর্যায়ের কাউন্সেলিং শুরু হয় ১১ নভেম্বর থেকে। এই পর্বের কাউন্সেলিং শুধু বাংলা মাধ্যমের শিক্ষকদের জন্যই ধার্য করা হয়েছিল। পুজোর আগে প্রথম পর্বের তালিকায় ৮,৭৪৯ জনের নাম প্রকাশ করা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে কাউন্সেলিংয়ে ডাকা হয়েছিল ৬৫৮ জনকে। এঁদের মধ্যে আবার অনুপস্থিত ছিলেন ১৪৭ জন এবং কাউন্সেলিংয়ে এসেও সুপারিশপত্র নেননি দু’জন। উপস্থিত ছিলেন মোট ৫০৯ জন।

পশ্চিমবঙ্গ আপার প্রাইমারি চাকরি প্রার্থী মঞ্চের সভাপতি সুশান্ত ঘোষ বলেন, ‘‘এত সংখ্যক অনুপস্থিত থাকায় অবিলম্বে ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের কাউন্সেলিং সম্পন্ন করতে হবে, তাঁদের ৩১ ডিসেম্বর মধ্যেই বিদ্যালয়ে যোগদানের ব্যবস্থা করতে হবে।’’

২৮ অগস্ট ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ এবং ২৫ অক্টোবর শীর্ষ আদালত সেই রায় বহাল রাখে। সেখানে ১৪,০৫২ জন প্রার্থীর কাউন্সেলিংয়ের কথা জানায়। সেই মতো পুজোর আগে ৩ অক্টোবর কাউন্সেলিং শুরু করে এসএসসি।

অন্য দিকে, কমিশনের সুপারিশপত্র পেয়েও চাকরির অপেক্ষায় থাকা শিক্ষক–শিক্ষিকারা অনেকেই স্কুলে যোগ দিতেই পারছেন না। স্কুল এবং চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগে জেরবার কমিশন, বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক–ডিআই) এবং বিকাশ ভবনও। স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) আর্জি মেনে ৭৫০টি পদে নানা রকমের সংশোধন করেছিল স্কুলশিক্ষা দফতর। তাতেও সমস্যা মেটেনি।

মালদহ, হুগলি, হাওড়া, দুই ২৪ পরগনা–সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় এই সঙ্কট প্রকাশ্যে এসেছে। উচ্চ প্রাথমিকে কেন্দ্রীয় রস্টার ও জেলা রস্টারের মধ্যে বিস্তর ফারাক থাকেয় বড়সড় সমস্যায় চাকরিপ্রার্থীরা। পাশাপাশি স্কুল ও অতিরিক্ত বিদ্যালয় পরিদর্শক (এডিআই) নতুন পদে কেউই নিয়োগে অনুমোদন দিতে পারবে না—এই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় সঙ্কট আরও বেড়েছে।

SSC Counseling
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy