আন্তর্জাতিক ‘কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং’-এ সেরার তালিকায় জায়গা করে নিল রাজ্যের বেশ কয়েকটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বৃহস্পতিবার প্রকাশ করা হয় এই তালিকা। সেখানে দেখা গিয়েছে গত বছরের তুলনায় প্রাদেশিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে বেশ খানিকটা এগিয়েছে যাদবপুর। র্যাঙ্কিং তালিকায় এগিয়েছে আইআইটি খড়্গপুরও। এ ছাড়াও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিড়লা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্স-ও এই তালিকা রয়েছে।
প্রতি বছরের মতো এ বারও প্রকাশ করা হল ২০২৬ সালের ‘কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং’। গত বছর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাঙ্ক ছিল ৭২১ থেকে ৭৩০-এর মধ্যে। এ বার বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাঙ্ক হয়েছে ৬৭৬। বিভিন্ন মাপকে তারা পেয়েছে ২৬.১ নম্বর।
আইআইটি খড়্গপুর গত বছর ছিল ২২২ তম স্থানে। এ বার তালিকায় আরও কিছুটা উঠে ২১৫ তম স্থান দখল করে নিয়েছে তারা। মোট নম্বর ৫৪.৫। বিড়লা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্স-এর গত বছরের র্যাঙ্ক ছিল ৮০১ থেকে ৮৫০-এর মধ্যে। এ বার বেশ খানিকটা উপরে উঠে তারা এ বার কিউ র্যাঙ্কিং তালিকার ৬৬৮ তম স্থানে রয়েছে।
তবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এ বারের র্যাঙ্কিং তালিকায় খানিকটা পিছিয়ে পড়েছে। গত বছর যেখানে তাদের র্যাঙ্ক ছিল ৭৫১ থেকে ৭৬০-এর মধ্যে। সেখানে এ বার তারা রয়েছে ৭৭১ থেকে ৭৮০-এর মধ্যে। এই প্রসঙ্গে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেবাশিস দাস বলেন, "আরও ভাল ফলাফল করা যেত। পরের বার আমরা সেই চেষ্টাই করব।"
কিউএস র্যাঙ্কিংয়ের প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী প্রথম ২০০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ভারতের তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই জায়গা করে নিয়েছে। তালিকার ১২৩ তম স্থানে রয়েছে আইআইটি দিল্লি। দেশের মধ্যে শীর্ষ স্থানাধিকারী তারাই। এর পর আইআইটি মুম্বই রয়েছে ১২৯ তম স্থানে এবং আইআইটি মাদ্রাজ রয়েছে ১৮০ তম স্থানে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার প্রকাশিত কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং ২০২৬-এ বিশ্বের ১,৫০০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠানকে র্যাঙ্কিং দেওয়া হয়েছে। পঠনপাঠনে সুনাম, ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়ারা যে সব সংস্থায় চাকরি পান সেগুলির মান, প্রতিটি গবেষণাপত্রের সাইটেশন কত, আন্তর্জাতিক শিক্ষক এবং আন্তর্জাতিক পড়ুয়ার সংখ্যা কত— এমন একাধিক মাপকাঠিতে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। এ বারের তালিকায় অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ই আমেরিকার। তবে, এশিয়া এবং ইউরোপের দেশগুলিও উল্লেখযোগ্য স্থানে রয়েছে।