প্রতীকী চিত্র।
সংরক্ষিত আসন পূরণ না হলে এ বছর থেকে সেই শূন্য আসন ভরতে বিকেন্দ্রীকরণের ক্ষমতা শিক্ষা দফতর নিজের হাতেই রাখতে চলেছে। কেন্দ্রীয় ভর্তির পোর্টালের মাধ্যমে সংরক্ষিত আসন ডি-রিজার্ভ করা হবে বলে উচ্চশিক্ষা দফতর সূত্রের খবর।
এ বছরই প্রথম চালু হয়েছে কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া। দুই দফায় এই ভর্তি প্রক্রিয়ায় আবেদন করতে পারবে সারা দেশের ছাত্রছাত্রীরা। গত বছর পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া হত কলেজ ভিত্তিক অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে। সেখানে দেখা গিয়েছে বহু ক্ষেত্রে সংরক্ষিত আসন পূরণ হয়নি। পরবর্তীকালে সেই সংরক্ষিত আসন বিকেন্দ্রীকরণ করে কলেজগুলি নিজেদের শূন্য আসন পূরণ করত।
কিন্তু এ বছর ভর্তির পুরো বিষয়টি উচ্চশিক্ষা দফতরের তত্ত্বাবধানে সম্পূর্ণ করা হচ্ছে। বিভিন্ন কলেজে অধ্যক্ষরাও দাবি তুলেছেন, সংরক্ষিত আসন বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে যে ভর্তি প্রক্রিয়া, সেটাও যেন সরকারি ভাবেই গ্রহণ করা হয়। তার পরেই শিক্ষা দফতর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দ্বিতীয় দফায় ভর্তির পর এই বিকেন্দ্রীকরণ করা হবে সরকারি পোর্টালের মাধ্যমেই।
এ প্রসঙ্গে লেডি ব্রেবোর্ন কলেজের অধ্যক্ষ শিউলি সরকার বলেন, “ভর্তি সংক্রান্ত বিষয়টি যখন সরকারি তরফেই করা হচ্ছে, তখন সংরক্ষিত আসন বিকেন্দ্রীকরণের প্রক্রিয়াও সরকারি ভাবেই করা হোক। এতে যেমন স্বচ্ছতা বজায় থাকবে, তেমনই সরকারের কাছেও তথ্য থাকবে কত আসন পূরণ হল।”
প্রতি বছরই রাজ্যের কলেজগুলিতে স্নাতক স্তরের মোট আসন সংখ্যার বড় অংশ ফাঁকা থেকে যায়। এর মধ্যে সংরক্ষিত আসনও রয়েছে। গত বছর ৪৬ শতাংশ পূরণ হয় এবং ৫৩ শতাংশ আসন ফাঁকা থেকে যায় বলে বিকাশ ভবন সূত্রের খবর। এ প্রসঙ্গে সুরেন্দ্রনাথ কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল কর বলেন, “আমাদের এ বারে কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে আবেদনের সংখ্যা প্রায় ৪৮ হাজারের মতো। আসন সংখ্যা রয়েছে ২৫০০-এর মতো। আসন পূর্ণ না হলে সংরক্ষিত আসনের বিকেন্দ্রীকরণ যদি সরকার করে, তবে স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পাবে। কলেজগুলি এই নতুন পোর্টালটি সম্পর্কেও ওয়াকিবহাল নয়। সেক্ষেত্রে সরকার ভার নিলে ভর্তি প্রক্রিয়াতেও অসুবিধা হবে না।”
কলেজে ভর্তির প্রথম ধাপের আবেদন গ্রহণ হয়েছে ইতিমধ্যে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, সাতটি কলেজের একটি করে বিভাগে একটি আবেদনও জমা পড়েনি। যে পাঠক্রমগুলিতে আবেদন জমা পড়েনি কলেজগুলিতে, সেই তালিকায় হিন্দি, উর্দু, অর্থনীতি ও উদ্ভিদবিদ্যার (উর্দু) মতো বিষয় রয়েছে। এই সমস্ত আসন কেন পূরণ হয়নি, ভর্তি প্রক্রিয়া মেটার পরেই তা নিয়ে অভ্যন্তরীণ বিশ্লেষণ শুরু করবে শিক্ষা দফতর। প্রয়োজনে যে সমস্ত পাঠক্রমের চাহিদা নেই, তার আসন সংখ্যাও কমানো হতে পারে বলে শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর।
শুধু তা-ই নয়, ভবিষ্যতে বিএড, ইঞ্জিনিয়ারিং, সংখ্যালঘু এবং স্বশাসিত কলেজ একই ছাতার তলায় নিয়ে আসার ভাবনাচিন্তা রয়েছে শিক্ষা দফতরের।
প্রথম দফার আবেদনের সময়সীমা শেষ হওয়ার পরে মোট ৫ লক্ষ ২৭ হাজার ৭৮১ জন ছাত্রছাত্রীর কাছ থেকে ৩৪ লক্ষ ৭৩ হাজার ২১০টি আবেদন জমা পড়েছে। প্রথম দফার মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে ১২ই জুলাই। সে দিন থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত চলবে ভর্তি প্রক্রিয়া। কেন্দ্রীয় পোর্টালে দ্বিতীয় দফায় ভর্তির আবেদন ৮ আগস্ট থেকে শুরু হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা দফতর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy