Advertisement
০৩ ডিসেম্বর ২০২৪
WBBSE on Test Papers

মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষা নিয়ে স্কুলগুলিকে নির্দেশ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের

নির্দেশিকা অনুযায়ী, পরীক্ষা শেষের পর ইমেল করে প্রশ্নপত্রের সফট কপি পর্ষদকে পাঠাতে বলা হয়েছে। যদিও এটাই দস্তুর।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২৪ ১৯:০০
Share: Save:

মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষা নিয়ে নয়া নির্দেশিকা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের। টেস্ট পরীক্ষায় প্রশ্ন বিভ্রাট এড়াতে নির্দেশিকা জারি করল পর্ষদ। সিলেবাসের বাইরে কোনও প্রশ্ন করা যাবে না, থাকবে না অবাঞ্চিত কোনও প্রশ্ন— প্রতি বছরের মতো এ বারও এরকম বেশ কিছু বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে নির্দেশিকায়। পাশাপাশি, এলাকার একাধিক স্কুলগুলি একসঙ্গে (ক্লাস্টার) টেস্ট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি করতে পারবে না। প্রতিটি স্কুলকে পৃথক ভাবে প্রশ্নপত্র তৈরি করতে হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ক্লাস্টার-এর বিরোধিতা করছে কেন বোঝা যাচ্ছে না। সরকার এখনও কম্পোজ়িট গ্রান্ট-এর টাকা দেয়নি। স্কুলগুলির আর্থিক অবস্থা করুণ। এই অবস্থায় প্রতিটি স্কুলকে আলাদা করে প্রশ্নপত্র ছাপাতে গেলে আর্থিক চাপ পড়বে। ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে বেশি টাকাও নেওয়া যাবে না। তা হলে স্কুলগুলি চলবে কি করে?’’

নির্দেশিকা অনুযায়ী, পরীক্ষা শেষের পর ইমেল করে প্রশ্নপত্রের সফট কপি পর্ষদকে পাঠাতে বলা হয়েছে। যদিও এটাই দস্তুর। যোধপুর পার্ক বয়েজ় স্কুলের প্রধান শিক্ষক অমিত সেন মজুমদার বলেন, ‘‘আমাদের স্কুল আলাদা ভাবেই প্রশ্নপত্র তৈরি করে। পর্ষদকে ইমেল করার পর তা যখন ফিরে (বাউন্স) আসে, তখন সমস্যা হয়। পর্ষদ এ দিকে বিশেষ নজর দিলে সুবিধা হয়।’’

নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যদি কোনও স্কুল সিলেবাসের বাইরে বা অবাঞ্চিত প্রশ্ন করে থাকে, তবে তার দায় বর্তাবে প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকার উপর। এই বিষয়ে পার্ক ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক সুপ্রিয় পাঁজা বলেন, ‘‘আমরা নিজেরাই প্রশ্নপত্র তৈরি করে থাকি। আমি প্রথমেই শিক্ষকদের বলে দিই কোনও বিতর্কমূলক প্রশ্ন না রাখতে’’।

রাজ্যের একাধিক বিদ্যালয় আর্থিক অবস্থা ভাল নয় বলে অভিযোগ শিক্ষক সংগঠনগুলির একাংশের। ফলে তাদের পক্ষে নিজেদের প্রশ্নপত্র তৈরি করা সমস্যার। ‘কলেজিয়াম অফ অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমিস্ট্রেসেস’-এর সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস বলেন, ‘‘এই বিষয়টি পর্ষদের কঠোরভাবে দেখা দরকার। পাশাপাশি স্কুলগুলি যাতে আরও বেশি করে কমপোজ়িট গ্রান্ট পায় এবং তাদের প্রশ্নপত্র ছাপাতে অর্থের সমস্যা না হয়, তাও দেখা দরকার।’’

অন্য বিষয়গুলি:

WBBSE madhyamik exam
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy