টাকা দেয়নি কেন্দ্র। এ বার রাজ্যও তার বরাদ্দের অর্ধেক দিল! রাজ্য সরকার মোট খরচের ৫০ শতাংশ কম্পোজ়িট গ্রান্টের টাকা হিসাবে মঞ্জুর করেছে। ওই টাকা কী ভাবে কোন স্কুলকে দেওয়া হবে, তারও একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
নিয়ম অনুযায়ী, স্কুলপড়ুয়ার সংখ্যা ১ থেকে ৩০ জন হলে অনুদান মিলবে ১০ হাজার টাকা। পড়ুয়াদের সংখ্যা ৩১ থেকে ১০০ জনের জন্য ২৫ হাজার টাকা, ১০১ থেকে ২৫০ জনের জন্য ৫০ হাজার টাকা এবং ২৫১ থেকে ১,০০০ জন পড়ুয়াবিশিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য বরাদ্দ হবে ৭৫ হাজার টাকা।
বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডলের বক্তব্য, ‘‘সরকার যে দেউলিয়া হওয়ার পথে তা এই বরাদ্দের তালিকা থেকেই স্পষ্ট। এ ভাবে চলতে থাকলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি শেষ হয়ে যাবে। তাও সরকার নিজের অবস্থান থেকে সরতে নারাজ!’’
কম্পোজ়িট গ্রান্ট বাবদ স্কুলগুলির দৈনন্দিন খরচ চালানোর জন্য কেন্দ্র দেয় ৬০ শতাংশ এবং রাজ্য দেয় ৪০ শতাংশ। পড়ুয়ার সংখ্যার ভিত্তিতে স্কুলকে এই টাকা দেওয়া হয়ে থাকে। এর আগে হাইস্কুলের জন্য ২৫ শতাংশ বরাদ্দ করা হয়েছিল। কিন্তু আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধির কারণে বেশির ভাগ স্কুল চক-ডাস্টারের মতো সামগ্রীই কিনতে পারছিল না, এমনও অভিযোগ উঠেছে। এমনকী বিদ্যুতের বিলও বকেয়া রয়েছে বহু স্কুলেই।
এই বিষয়ে শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, ‘‘এই অনুদান দিয়ে বিদ্যালয়ের মৌলিক চাহিদাগুলি মেটানো হয়ে থাকে, তাই কোনও ভাবেই আটকে রাখা সমীচীন নয়। আমরা দাবি করছি, সমস্ত বিদ্যালয়ের বকেয়া এবং নতুন শিক্ষাবর্ষের কম্পোজ়িট গ্রান্ট যেন দ্রুত মিটিয়ে দেওয়া হয়।’’