মালদহে উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষাকেন্দ্রে দেহ তল্লাশিতে বাধা দেওয়া এবং শিক্ষকদের উপর হামলায় জড়িতদের শনাক্ত করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখে ওই ১২ পরীক্ষার্থীকে চিহ্নিত করেছে প্রশাসন। তাঁরা বৈষ্ণবনগরের কমদিতলা হাই মাদ্রাসা (এইচএস)-র শিক্ষার্থী। ঘটনায় ইতিমধ্যেই শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করেছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। অভিযুক্ত ১২ জনকে আলাদা ঘরে পরীক্ষা দিতে হবে, এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে সংসদ। পাশাপাশি, তাঁদের স্কুলের প্রধানশিক্ষকদের সঙ্গে কলকাতায় উপস্থিত থেকে বিষয়টি ব্যাখাও করতে হবে। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের হেনস্থার ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে বৈষ্ণবনগর থানাও।
বুধবার মালদহের বৈষ্ণবনগর থানার চামাগ্রাম হাই স্কুলে ইংরেজি পরীক্ষার দিন মারধরের জেরে প্রধানশিক্ষক-সহ পাঁচ শিক্ষক-শিক্ষিকা জখম হন। তাঁদের মধ্যে এক শিক্ষিকার হাতে গুরুতর চোট লাগায় তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে সংসদে রিপোর্ট জমা দেয় স্কুল। তার ভিত্তিতে অভিযুক্তদের পৃথক ভাবে পরীক্ষার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ওই ১২ জনের জন্য তিন জন ইনভিজ়িলেটর নজরদারির দায়িত্বে থাকবেন বলেও জানানো হয়েছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্থানীয় পুলিশ বাহিনীকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। —নিজস্ব চিত্র।
সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “যে স্কুলের পরীক্ষার্থীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, সেই স্কুলের প্রধানশিক্ষককে ফোন করে জবাবদিহি করতে হবে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষে আমরা এই পরীক্ষার্থীদের এবং সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধানশিক্ষককে কলকাতায় ডেকে পাঠাবো।”
সংশ্লিষ্ট বিষয়টি জেলা আধিকারিকের কাছেও জানিয়েছে শিক্ষা সংসদ। এ ছাড়াও ইংরেজি পরীক্ষার দিন জলপাইগুড়ি এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের দু’জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে মোবাইল পাওয়া গিয়েছে, যাঁদের আর এ বছর পরীক্ষা দেওয়া হবে না।