প্রাকৃতিক বিপর্যয় নিয়ে পড়াশোনা! ঝড়, বৃষ্টি, বন্যা, খরার মতো দুর্যোগ নিয়ে যেমন চর্চা করা যায়, তেমনই ভূমিকম্প, তুষারপাত, অগ্ন্যুৎপাত নিয়ে ডিগ্রি অর্জন করা সম্ভব। ভূমিকম্প নিয়ে পড়াশোনার বিষয়কে সিসমোলজি বলা হয়।
পৃথিবীর ভূত্বক (ক্রাস্ট) কতগুলি টেকটনিক প্লেট দিয়ে তৈরি। ধীরগতিতে ওই প্লেটগুলি বছরে কয়েক সেন্টিমিটার পর্যন্ত এগিয়ে বা পিছিয়ে যায়। যার ফলে একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষও হয়। তাতেই কেঁপে ওঠে মাটি, ঘটে যায় ভূমিকম্প।
সিসমোলজি নিয়ে পড়াশোনার জন্য তাই ভূগোল জানা দরকার। প্রয়োজন পদার্থবিদ্যা, আর্থ সায়েন্স-এর জ্ঞানও। উচ্চ মাধ্যমিকে বিজ্ঞান বা কলা শাখায় ভূগোল নিয়ে পাশ করেছেন, এমন পড়ুয়ারা ওই বিষয় নিয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে পারবেন।
কী কারণে ভূমিকম্প হয়, টেকটনিক প্লেট-এর অবস্থান কী ভাবে বদলাচ্ছে, ভূমিকম্পের কম্পনের প্রকারভেদ, কম্পনের মাত্রা কী ভাবে মাপতে হবে— এই সমস্ত কিছু নিয়েই স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরে পড়াশোনা করা যায়।
তথ্য বিশ্লেষণের কাজও করতে হবে। — প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
কোন কোন বিষয় বেছে নিতে পারবেন পড়ুয়ারা?
ভূতত্ত্ব, জিয়োফিজিক্স, জিয়োফিজ়িক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, জিয়োলজিক্যাল টেকনোলজি, আর্থকোয়েক ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্থ সায়েন্সেস, আর্থ অ্যান্ড ক্লাইমেট সায়েন্সেস, জিয়োলজিক্যাল সায়েন্সেস, আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস— দেশের আইআইটি প্রতিষ্ঠান, কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই সমস্ত বিষয়ে স্নাতক স্তরে ডিগ্রি কোর্স করার সুযোগ রয়েছে। উল্লিখিত বিষয়গুলি থেকে ভূমিকম্প সংক্রান্ত বিষয় শিখতে পারবেন আগ্রহীরা।
স্নাতকোত্তর স্তরে আর্থকোয়েক ইঞ্জিনিয়ারিং, জিয়োফিজ়িক্স, জিয়োলজি, সিসমোলজি নিয়ে পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে। আইআইটি খড়্গপুর, আইআইটি রুরকি এবং ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স-এ (আইআইএসসি) এই বিষয়গুলি পড়ানো হয়ে থাকে।
উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পর ইন্টার্নশিপ, গবেষণা প্রকল্প কিংবা সরাসরি চাকরির জন্য ইন্ডিয়ান মেটিরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট, ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন, জিয়োলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া, ন্যাশনাল জিয়োফিজিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট সুযোগ দিয়ে থাকে। এ ছাড়াও অনলাইনে বা হাইব্রিড মোডেও ডেটা অ্যানালিসিস অ্যান্ড ইন্টারপ্রিটেশনের কাজ করা যেতে পারে।