Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

টু-জি স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারিতে রাজা, কানিমোঝি-সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন

শেষ হয়েও শেষরক্ষা হল না। স্পেকট্রাম বন্টন দুর্নীতি মামলায় শুক্রবার ফের চার্জ গঠন করল দিল্লির একটি বিশেষ আদালত। টু-জি মামলায় অভিযুক্ত প্রাক্তন টেলিকম মন্ত্রী আন্দিমুথু রাজা, ডিএমকে-র প্রাক্তন সাংসদ কানিমোঝি, ডিএমকে প্রধান করুণানিধির স্ত্রী দয়ালু আম্মাল-সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় চার্জ গঠন করা হয়েছে।

কানিমোঝি এবং আন্দিমুথু রাজা

কানিমোঝি এবং আন্দিমুথু রাজা

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০১৪ ১৪:৩৩
Share: Save:

শেষ হয়েও শেষরক্ষা হল না। স্পেকট্রাম বন্টন দুর্নীতি মামলায় শুক্রবার ফের চার্জ গঠন করল দিল্লির একটি বিশেষ আদালত। টু-জি মামলায় অভিযুক্ত প্রাক্তন টেলিকম মন্ত্রী আন্দিমুথু রাজা, ডিএমকে-র প্রাক্তন সাংসদ কানিমোঝি, ডিএমকে প্রধান করুণানিধির স্ত্রী দয়ালু আম্মাল-সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় চার্জ গঠন করা হয়েছে। আদালত সূত্রে খবর, এই মামলায় ভারতীয় দণ্ডবিধির যে যে ধারার কথা উল্লেখ করে চার্জ গঠন করা হয়েছে, তাতে অভিযোগ প্রমাণিত হলে রাজা ও কানিমোঝির সর্বাধিক ৩-৭ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

২০০৮ সালে স্পেকট্রাম বণ্টন দুর্নীতিতে এর আগেও রাজা, কানিমোঝি-সহ ১০ জন এবং ন’টি বিভিন্ন সংস্থার বিরুদ্ধে চার্জশিট এনেছিল ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট)। এঁদের মধ্যে রাজা ও কানিমোঝি ছাড়া বাকিদের বিরুদ্ধে ‘অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ও বিশ্বাসভঙ্গের’ অভিযোগ আনা হয়। সেই মতো ২০১১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার হন প্রাক্তন টেলিকম মন্ত্রী আন্দিমুথু রাজা। ওই বছরেরই ২০ মে গ্রেফতার করা হয় কানিমোঝিকেও। প্রায় ছ’মাস তিহাড় জেলে কাটানোর পর ৫ লক্ষ টাকা বন্ডের বিনিময়ে কানিমোঝির জামিন মঞ্জুর করে দিল্লি হাইকোর্ট।। জামিন দেওয়া হয় অভিযুক্ত আরও চার জনকে। ২০১২-র ১৫ মে জামিনে মুক্তি পান রাজাও।

সিবিআইয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী ২০০৮ সালে ক্ষমতায় থাকাকালীন সোয়ান টেলিকমকে অনৈতিকভাবে টু-জি লাইসেন্স দেন রাজা। অন্য দিকে, কলাইনার টিভি-র ডিরেক্টর তথা ২০% শেয়ারের মালিক ছিলেন কানিমোঝি। সেই মতো এই সংস্থাকে বাড়তি সুযোগসুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্যও রাজার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন তিনি। অভিযোগ ছিল, কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক থেকে এই চ্যানেলের রেজিস্ট্রেশন করানো এবং পাশাপাশি চ্যানেলটিকে টাটা ‘বোকে’-র অন্তর্ভুক্ত করানোর পিছনেও তাঁদের ভূমিকা ছিল। বিচারকের বক্তব্য ছিল, নিয়ম ভেঙে সোয়ান টেলিকম ও ইউনিটেক ওয়্যারলেসকে টু-জি স্পেকট্রাম বন্টন করেন রাজা ও তাঁর সচিব।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE