অটোয় ভাঙচুর। সুদীপ ঘোষের তোলা ছবি।
অটোরিকশা এবং টোটোচালকদের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে অশান্ত হয়ে উঠল বারাসত। সামান্য বচসা থেকে হাতাহাতি, মারধর, ভাঙচুরের ঘটনা ঘটল। এই ঘটনায় তিন জন টোটচালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিন সকাল ১১টা নাগাদ হেলাবটতলায় এক অটোচালকের সঙ্গে বচসা বাধে এক টোটোচালকের। বচসা শেষমেশ হাতাহাতিতে গড়ায়। এই খবর ছড়িয়ে পড়তে শহরের বিভিন্ন জায়কায় অটো ও টোটোচালকদের মধ্যে গণ্ডগোল শুরু হয়। হেলাবটতলার পর প্রথম ঝামেলা বাধে হরিতলা মোড়ে। সেখানে দু’পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি শুরু হয়। তবে, দু’দলের সংঘর্ষ মারাত্মক আকার নেয় চাঁপাডালি মোড়ে। সেখানে দুই চালকের মধ্যে ঝগড়াঝাটি শেষে মারামারির চেহারা নেয়। অভিযোগ, বচসার সময় আচমকা একটি লোহার রড দিয়ে এক অটোচালকের মাথায় আঘাত করেন এক টোটোচালক। নীলকমল মহলদার নামে ওই অটোচালককে গুরুতর আহত অবস্থায় বারাসত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তে এলাকার অটোচালকেরা বারাসত থানায় অভিযোগ জানাতে জড়ো হন। এর পরেই শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে অটোচালকদের উপর হামলার খবর আসতে থাকে। কলোনি মোড় এবং চাঁপাডালি মোড়ের সংযোগকারী উড়ালপুলের উপর দিয়ে অসুস্থ স্ত্রীকে ডাক্তার দেখিয়ে ফিরছিলেন এক অটোচালক। অভিযোগ, তাঁর স্ত্রীকে অটো থেকে নামিয়ে তাতে ভাঙচুর চালায় টোটোচালকেরা। এমনকী, ওই অটোচালককেও মারধর করা হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছলে তাদের সঙ্গে বচসায় জড়ায় টোটোচালকেরা। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে তিন জন টোটোচালককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে সংঘর্ষের খবর আসতে থাকায় এর সমাধানসূত্র খুঁজতে এ দিন দুপুরে বারাসত থানায় এক বৈঠকে বসেন অটো ও টোটোচালকদের সংগঠনের নেতারা। বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান সুনীল মুখোপাধ্যায় বলেন, “সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে। যান চলাচল নিয়ে কোনও রকম বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত করা হবে না।”
পুলিশ সূত্রে খবর, জেলায় প্রায় সব টোটোই বেআইনি। কারণ তাদের কোনও লাইসেন্স নেই। দূষণহীন টোটোগুলি নম্বর প্লেট ছাড়াই এত দিন ধরে রাস্তায় চলছে। সম্প্রতি সরকারি নির্দেশে জেলা পরিবহণ দফতর থেকে তাদের লাইসেন্স দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy