আর পাঁচটা মিউজিক্যাল শো-তে নিজেকে যে ভাবে দর্শকের সামনে মেলে ধরেন তিনি, মরক্কোতেও তাই করেছিলেন। কিন্তু, তাঁর স্বাভাবিক পশ্চিমি ফ্যাশন অস্বাভাবিক ঠেকল রক্ষণশীল চোখে। আর সেটাই নতুন বিতর্কে জড়িয়ে ফেলল জেনিফার লোপেজকে।
গত সপ্তাহের শেষে মরক্কোর মাওয়াজিন মিউজিক উৎসবে অনুষ্ঠান করেন জেনিফার। আমন্ত্রণ এসেছিল মরক্কোর তরফেই। দেশের সবচেয়ে বড় সঙ্গীত উৎসবে এ বছরের আকর্ষণই ছিল জেনিফারের শো। সেটা জাঁক করে বিজ্ঞাপন করা হয়েছিল আয়োজকদের তরফে। এত কিছুর পরেও মরক্কোর ইসলামি শাসকদের একাংশের মত, জেনিফারের শো-টি মোটেও ভদ্র রুচির নয়। ইসলামের মর্যাদার কথা মাথায় রেখে সংযত ও ভদ্র পোশাক পরেই শো করা উচিত ছিল তাঁর!
স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, কী এমন পোশাক পরেছিলেন জেনিফার যা রুচির সীমানা ছাড়িয়েছে?
মাওয়াজিনের ওই সঙ্গীত উৎসবে জেনিফারকে দেখা গিয়েছে সবশুদ্ধ সাতটি পোশাকে। অভিযোগ, সব ক’টি পোশাকই যথেষ্ট খোলামেলা এবং বেশ আঁটোসাঁটো। পাশাপাশি অভিযোগ উঠেছে, গান গাওয়ার সময়ে নিজেকে এমন কিছু ভঙ্গিতে তুলে ধরেন জেনিফার, যা নাকি যৌন ইঙ্গিতবাহী!
তবে, জেনিফারের শো নিয়ে আপত্তি জানালেও সরাসরি তাঁকে উদ্দেশ্য করে কিছু বলেননি মরক্কোর যোগোযোগমন্ত্রী মুস্তাফা অল-খলিফি। টুইটারে শো-টিকে ‘গ্রহণযোগ্য নয়’ এবং ‘আইন বিরোধী’ বলে মন্তব্য করেই থেমেছেন মন্ত্রী। পাশাপাশি, যে চ্যানেলে শো-টি দেখানোর কথা ব্রডকাস্টিংয়ের আগে তাদের এক বার নৈতিকতার দিকটা ভেবে দেখতে অনুরোধ করেছেন তিনি!