মালদহের জামিরহাটা স্টেশনে হাওড়াগামী শতাব্দী এক্সপ্রেসের চেন টেনে ডাকাতি করে পালাল কয়েক জন দুষ্কৃতী। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ। পুলিশ সূত্রে খবর, সুনীলকুমার হালদার নামে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে বেশ কয়েক ভরি সোনা ও নগদ টাকা লুঠ করে পালায় দুষ্কৃতীরা।
পুলিশ জানায়, সুনীলবাবু মালদহের ঝলঝলিয়া এলাকার স্বর্ণ ব্যবসায়ী। এ দিন সকালে সোনা হলমার্ক করাতে তিনি কলকাতায় যাচ্ছিলেন। সকাল ৯টা নাগাদ মালদহের টাউন স্টেশন থেকে তিনি ট্রেনে ওঠেন। ট্রেন ছাড়ার আধ ঘণ্টার মধ্যে কালিয়াচকের জামিরহাটা স্টেশনের কাছে হঠাত্ই ট্রেন থেমে যায়। টিকিট পরীক্ষক জানান, চেন টেনে ট্রেন থামানো হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গেই সুনীলবাবু যে কামরায় ছিলেন সেখানে উঠে আসে কয়েক জন যুবক। সুনীলবাবু জানান, তাদের প্রত্যেকের হাতেই অস্ত্র ছিল। সুনীলবাবুকে মারধর করে তাঁর সঙ্গে থাকা সোনা ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে ট্রেন থেকে পালায় ওই দুষ্কৃতীরা।
সুনীলবাবু ও ট্রেনের অন্য যাত্রীদের অভিযোগ, গোটা ঘটনাটাই রেল পুলিশের চোখের সামনে ঘটে। এমনকী, টিকিট পরীক্ষকও ঘটনাস্থলেই উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, ঘটনাস্থলে থাকলেও ডাকাতিতে বাধা দিতে বা দুষ্কৃতীদের আটকাতে রেল পুলিশ কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি। বরং পুলিশের সামনে দিয়েই সোনা ও টাকা লুঠ করে পালায় ওই দুষ্কৃতীরা। টিকিট পরীক্ষকের কাছে অভিযোগ করেও কোনও লাভ হয়নি। এর পর ফরাক্কায় পৌঁছে থানায় অভিযোগ জানান সুনীলবাবু।
এই ঘটনার পরেই ট্রেনে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বঙ্গীয় স্বর্ণশিল্পী ও স্বর্ণব্যবসায়ী সমিতির সদস্যেরা। তাঁদের কথায়, জেলায় যেহেতু সোনা হলমার্ক করানোর কোনও ব্যবস্থাই নেই, তাই তাঁদের প্রায়শই কলকাতায় যাতায়াত করতে হয়। এই ভাবে চলতে থাকলে ব্যবসা করাই দুষ্কর হয়ে উঠবে। সমিতির জেলা সভাপতি উজ্জ্বল সরকার বলেন, “এর আগেও কলকাতা যাওয়ার সময় আমাদের ৮-১০ জন ব্যবসায়ী আক্রান্ত হয়েছিলেন। ঘটনায় আমরা খুবই আতঙ্কিত। আশা করছি পুলিশ এর যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।” মালদহ টাউন স্টেশনের জিআরপি-র আইসি কৃষ্ণগোপাল দত্ত বলেন, “ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy