এই ঘরেই খুন হয়েছেন সুদীপবাবু। —নিজস্ব চিত্র।
কলকাতার দু’টি প্রান্তে দু’টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। একটি খুন হয়েছে গড়িয়াহাট, অন্যটি পর্ণশ্রী এলাকায়।
বাড়ি থেকে এক প্রৌঢ়ের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় গড়িয়াহাট এলাকায়। বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটে গড়িয়াহাট থানা এলাকার বালিগঞ্জ গার্ডেন্সে।
পুলিশ সূত্রের খবর, মৃতের নাম সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (৫৩)। তিনি এই এলাকার একটি বাড়িতে ভাই রণদীপের সঙ্গে থাকতেন। সেই বাড়িতে তাঁদের সঙ্গে এক পরিচারিকাও থাকতেন। পুলিশ জানিয়েছে, সুদীপবাবু মেঝেতে অচৈতন্য অবস্থায় পড়েছিলেন। উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি লোহার রডও উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের অনুমান, ওই প্রৌঢ়কে খুন করা হয়েছে। পুলিশ সুদীপবাবুর ভাই-সহ পাঁচ জনকে আটক করেছে। পুলিশ সূত্রের খবর, দীর্ঘ দিন ধরেই ভাইয়ের সঙ্গে সুদীপবাবুর সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ চলছিল। প্রতিবেশীরা পুলিশকে জানিয়েছেন, ঘটনার দিনও দুপুর থেকেই দু’ভাইয়ের মধ্যে এই নিয়ে ঝামেলা শুরু হয়।
অন্য দিকে, পর্ণশ্রী থানা এলাকার একটি খুনের ঘটনায় শুক্রবার দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে অভয় বিদ্যালঙ্কার রোডের একটি বাড়িতে সনৎ সুর রায় নামে এক ব্যক্তির রক্তাক্ত দেহ পাওয়া যায়। তবে, মৃতদেহে গভীর আঘাতের চিহ্ন ছিল না বলেই পুলিশ জানিয়েছে। ওই দিনই সনৎবাবুর স্ত্রী রত্না সুর রায় কয়েক জনের বিরুদ্ধে তাঁর স্বামীকে খুন করার অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ এ দিন সকালে সুমিতা মণ্ডল ও মৌসুমী রাম নামে দুই মহিলাকে গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রের খবর, যে ঘরে সনৎবাবু থাকতেন, তার উল্টো দিকের ঘরে ভাড়া থাকতেন অভিযুক্তেরা। রত্নাদেবীর অভিযোগ, বাড়িটি হাতানোর লোভেই তাঁর স্বামীকে খুন করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, মেয়েকে নিয়ে রত্নাদেবী মহেশতলায় তাঁর বাপের বাড়িতে থাকতেন। পর্ণশ্রীর ওই বাড়িটিতে সনৎবাবু একাই থাকতেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy