Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

সুকমার পর এ বার কাঁকেরে তাণ্ডব মাওবাদীদের

ছত্তীসগঢ়ের সুকমায় মাওবাদী হামলার পর প্রায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রবিবার সকালে ফের তাণ্ডব চালাল মাওবাদীরা। এ বার ওই রাজ্যের কাঁকের জেলায়। তবে এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। পুলিশ সূত্রে খবর, এক দল মাওবাদী বারবাসপুর লৌহখনিতে গিয়ে হুমকি দেয় শ্রমিকদের। যাওয়ার সময় খনির কাজে ব্যবহৃত ১৭টি ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী।

ছবি: পিটিআই।

ছবি: পিটিআই।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০১৫ ১৮:২৫
Share: Save:

ছত্তীসগঢ়ের সুকমায় মাওবাদী হামলার পর প্রায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রবিবার সকালে ফের তাণ্ডব চালাল মাওবাদীরা। এ বার ওই রাজ্যের কাঁকের জেলায়। তবে এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।

পুলিশ সূত্রে খবর, এক দল মাওবাদী বারবাসপুর লৌহখনিতে গিয়ে হুমকি দেয় শ্রমিকদের। যাওয়ার সময় খনির কাজে ব্যবহৃত ১৭টি ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। মাওবাদীদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হয় ওই এলাকায়। গত ১ এপ্রিলেই ওই জেলার অন্য একটি খনির জেনারেল ম্যানেজারকে অপহরণ করে মাওবাদীরা। পরে অবশ্য তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়।

শনিবারেই সুকমা জেলার দোরনাপাল-চিন্তাগুম্ফা এলাকার জঙ্গলে টহল দেওয়ার সময় রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের ৭৬ জন জওয়ানের উপর অতর্কিতে হামলা চালায় মাওবাদীরা। নিহত হন এক প্লাটুন কম্যান্ডার-সহ ৭ জওয়ান। আহত হন ১২ জন।

এ দিন রাজ্য পুলিশের এডিজি আ কে ভিজ জানিয়েছেন, খারাপ আবহাওয়া এবং দুর্গম রাস্তার কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। তবে পোলামপল্লিতে উদ্ধারকাজ জারি রাখা হয়েছে বলেও জানান ভিজ। পুলিশের একটি সূত্র থেকে জানানো হয়েছে, যেহেতু এই অঞ্চলটি মাওবাদীদের শক্ত ঘাঁটি তাই অতিরিক্ত সচেতনতার সঙ্গেই উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। নিহত জওয়ানদের দেহ উদ্ধার নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এ বিষয়ে রমন সিংহের সরকারকে সরাসরি আক্রমণ করেছে কংগ্রেস। শীর্ষ কংগ্রেস নেতা আরপিএন সিংহ বলেন, “ছত্তীসগঢ় সরকার শহিদদের অসম্মান করেছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক যে নিহত জওয়ানদের দেহ জঙ্গলেই পড়ে রয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE