Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

যে পথে পাড়ুই মামলা

রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে খুন হয়েছিলেন বীরভূমের পাড়ুইয়ের বাঁধ নবগ্রামের সাগর ঘোষ। তাঁর ছেলে হৃদয় ঘোষ ওই নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন। ওই খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের তালিকায় এক নম্বরে যাঁর নাম, তিনি বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এই মামলার তদন্ত যত এগিয়েছে, ততই বেড়েছে বিতর্ক। অস্বস্তিতে পড়েছে সরকার। আদালতের নির্দেশনামা যে কত বার বদল হল, তার ইয়ত্তা নেই। রাজ্য পুলিশ থেকে সিআইডি, সিট থেকে সিবিআই আদালত এদের সবার হাতেই সঁপেছে এই মামলার তদন্তভার। রাজ্য ছাড়িয়ে ঘটনাক্রম বিস্তারিত হয়েছে দিল্লিতেও।

পাড়ুইয়ের মঞ্চে অনুব্রত।

পাড়ুইয়ের মঞ্চে অনুব্রত।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ১৫:৩২
Share: Save:

রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে খুন হয়েছিলেন বীরভূমের পাড়ুইয়ের বাঁধ নবগ্রামের সাগর ঘোষ। তাঁর ছেলে হৃদয় ঘোষ ওই নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন। ওই খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের তালিকায় এক নম্বরে যাঁর নাম, তিনি বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এই মামলার তদন্ত যত এগিয়েছে, ততই বেড়েছে বিতর্ক। অস্বস্তিতে পড়েছে সরকার। আদালতের নির্দেশনামা যে কত বার বদল হল, তার ইয়ত্তা নেই। রাজ্য পুলিশ থেকে সিআইডি, সিট থেকে সিবিআই আদালত এদের সবার হাতেই সঁপেছে এই মামলার তদন্তভার। রাজ্য ছাড়িয়ে ঘটনাক্রম বিস্তারিত হয়েছে দিল্লিতেও।

২০১৩

১৭ জুলাই: নির্দল প্রার্থীদের বাড়ি ভেঙে ও জ্বালিয়ে দেওয়ার পরামর্শ অনুব্রত মণ্ডলের।

২১ জুলাই: পঞ্চায়েত ভোটে দাঁড়ানো পাড়ুইয়ের নির্দল প্রার্থী হৃদয় ঘোষের বাড়িতে হামলা। গুলিবিদ্ধ বাবা সাগর ঘোষ।

২২ জুলাই: পুলিশের বিরুদ্ধে জোর করে নির্দোষ কয়েক জনের নাম সাদা কাগজে লিখিয়ে নেওয়ার অভিযোগ।

২৩ জুলাই: বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে সাগর ঘোষের মৃত্যু।

২৪ জুলাই: এফআইআর নিল না পাড়ুই থানা। রেজিস্ট্রি ডাকে বীরভূমের এসপি-র কাছে অনুব্রত-সহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ শিবানীদেবীর।

২৫ জুলাই: উস্কানিমূলক মন্তব্যে পুলিশকে সঠিক ভাবে অনুব্রতের বিরুদ্ধে মামলা শুরুর নির্দেশ সিউড়ি আদালতের।

৫ অগস্ট: বিভিন্ন মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হৃদয় ঘোষ-সহ বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতৃত্ব।

১০ ডিসেম্বর: সাগর ঘোষ কুনে সিআইডি তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে দায়ের হওয়া মামলায় পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ আদালত।

২৩ ডিসেম্বর: সাগর ঘোষ হত্যা মামলার তদন্তভার দেওয়া হল সিআইডির হাতে।

২০১৪

১৪ ফেব্রুয়ারি: রাজ্য পুলিশের ডিজিকে মূল তদন্তকারী অফিসার হিসেবে নিযুক্ত করল হাইকোর্ট।

১৫ ফেব্রুয়ারি: হাইকোর্টের নির্দেশে পাড়ুই মামলায় তদন্তভার হাতে নিল ডিজি-র নেতৃত্বাধীন বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)।

১৬ জুলাই: সিউড়ি আদালতে চার্জশিট জমা দিল সিট। নাম নেই অনুব্রতর।

৪ সেপ্টেম্বর: হাইকোর্টে হাজিরা দিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি জিএমপি রেড্ডি। জানালেন, সাগর ঘোষ খুনের ঘটনায় অনুব্রত মণ্ডলের কোনও প্রভাব ছিল না। পাড়ুই-কাণ্ডে সিট যে তদন্ত করছে, তাতে তিনি খুশি বলে জানান আদালতকে।

২৪ সেপ্টেম্বর: সিট-এর উপর সম্পূর্ণ অনাস্থা প্রকাশ করে সাগর ঘোষ হত্যা মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাঁতে সঁপলেন হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ টন্ডন।

২৬ সেপ্টেম্বর: বিচারপতির টন্ডনের নির্দেশের প্রেক্ষিতে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ রাজ্য সরকার।

৩ ডিসেম্বর: সাগর ঘোষ হত্যা মামলায় সিবিআই তদন্তের যে নির্দেশ দিয়েছেল সিঙ্গল বেঞ্চ, তা খারিজ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে।

—নিজস্ব চিত্র।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE