মায়ের সঙ্গে সচিন। এই ছবিই টুইটারে পোস্ট করেছেন তিনি।
বহুচর্চিত আত্মজীবনীর প্রথম কপিটি মায়ের হাতে তুলে দিলেন সচিন তেন্ডুলকর। সেই ছবি তাঁর টুইটার হ্যান্ডলে প্রকাশও করলেন নিজে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মুম্বইয়ে এক তারকাখচিত অনুষ্ঠানে ক্রিকেট দুনিয়ার সবচেয়ে আলোচিত বই ‘প্লেয়িং ইট মাই ওয়ে’র আনুষ্ঠানিক প্রকাশ হলেও সকালে সচিন তাঁর মায়ের কাছে গিয়ে প্রথম কপিটি দেন। বিকেলে সেই ছবি টুইট করে বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা কিংবদন্তি লেখেন, “আমার বইয়ের প্রথম কপিটি দিলাম আমার মা-কে। তাঁর অভিব্যক্তিতে গর্বের অনুভূতি দেখতে পাওয়া আমার কাছে এক অমূল্য মুহূর্ত।”
এ দিন সন্ধ্যায় বইপ্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সচিনের পরিবারের সদস্য, বর্তমান ও প্রাক্তন ক্রিকেট তারকা-সহ বহু বিশিষ্টজন। অনুষ্ঠানমঞ্চে উঠে প্রথমেই বইয়ের এক কপি সচিন তুলে দেন তাঁর ক্রিকেটগুরু রমাকান্ত আরচেকরের হাতে। হুইলচেয়ারে বসা রমাকান্তের হাতে বই দিয়ে সচিন বলেন, “আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশের পরে প্রথম কপিটি এমন এক জনকে দিতে চেয়েছিলাম যিনি আমার জীবনে খুবই স্পেশাল।” বইপ্রকাশের আগে এ দিনের অনুষ্ঠানের সঞ্চালক এবং ক্রিকেট অ্যানালিস্ট হর্ষ ভোগলে তিনটি প্যানেল ডিসকাসন পরিচালনা করেন। সচিনের পরিবারের সদস্য ছাড়াও এতে অংশ নেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সুনীল গাওস্কর, রবি শাস্ত্রী, দিলীপ বেঙ্গসরকর এবং বাসু পরাঞ্জপে।
ইদানীং কিছুটা অসুস্থ হলেও বিশ্বখ্যাত ছেলের হাত থেকে তাঁর বইয়ের প্রথম কপিটি পেয়ে বেশ খুশিই দেখাচ্ছিল তাঁর মাকে। “তিন বছর ধরে এই বই লেখার কাজ করেছি। কারণ, আমি চাই লোকে জানুক, আমার জীবনটা কেমন”, আত্মজীবনী প্রকাশ উপলক্ষে বোর্ডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ এক টিভি চ্যানেলকে এই কথা বলেন সচিন। এই বইকে জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস আখ্যা দিয়ে সচিন বলেন, “সারা বিশ্বে প্রচুর মানুষ আমাকে ভালবাসেন। তাঁদের কাছে নিজের জীবনের কথা পৌঁছে দিতে আমি দায়বদ্ধ। এই বইয়ে সততার সঙ্গে সেই চেষ্টাই করেছি।”
বই প্রকাশের আগে গ্রেগ চ্যাপেল ও তাঁর নেতৃত্ব ছাড়ার প্রসঙ্গ নিয়ে প্রচুর হইচই হলেও বই প্রকাশের পর সচিনের না বলা আরও কথা নিয়ে হইচই জারি থাকবে বলে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy