—ফাইল চিত্র
গুলবার্গ সোসাইটিতে সংরক্ষণশালা তৈরির অর্থ নয়ছয় মামলায় তিস্তা শেতলওয়াড় ও তাঁর স্বামীর গ্রেফতারির উপর স্থগিতাদেশ জারি করল সুপ্রিম কোর্ট। কয়েক দিন আগে তাঁদের গ্রেফতারের ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেত দেয় গুজরাত হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার সেই রায়ে স্থগিতাদেশ দিল বিচারপতি দীপক মিশ্র এবং আদর্শকুমার গোয়েলের ডিভিশন বেঞ্চ। শীর্ষ আদালতের এই রায়ে স্বভাবতই অস্বস্তিতে গুজরাত সরকার।
২০০২ সালে গুজরাত দাঙ্গায় বিধ্বস্ত হয় আমদাবাদের গুলবার্গ সোসাইটি। ওই হামলায় নিহত হন প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ এহসান জাফরি। ওই হামলার পিছনে গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও তাঁর সহযোগীদের মদত ছিল বলে অভিযোগ করে জাফরি পরিবারের। আইনি লড়াইয়ে তাঁদের অনেক দিন ধরেই সাহায্য করছেন তিস্তা এবং তাঁর স্বামী জাভেদ আনন্দ। গুজরাত পুলিশের অভিযোগ, গুলবার্গ সোসাইটিতে একটি সংরক্ষণশালা তৈরিতে উদ্যোগী হয়েছিলেন তিস্তা এবং জাভেদ। কিন্তু সেই সংরক্ষণশালা তৈরির নাম করে ১ কোটি ৫১ লক্ষ টাকা হাতিয়েছেন তাঁরা। গুজরাত দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্ত এক ব্যক্তিই এই অভিযোগ করেছেন বলে জানায় পুলিশ। এই মামলায় গুজরাত হাইকোর্টে জামিনের আর্জি জানান শেতলওয়াড়রা। সেই আর্জি খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। এর পরে বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের শরণাপন্ন হন তিস্তার আইনজীবীরা। তিস্তার আইনজীবী ও কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল জানান, কোনও নির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই তিস্তা ও জাভেদকে গ্রেফতার করতে চাইছে পুলিশ। তাঁর আরও দাবি, এর আগে ছ’বার এফআইআর করা হয়েছে এই দম্পতির বিরুদ্ধে। এবং প্রত্যেক বারই তাঁদের রক্ষা করেছে আদালত। প্রায় দেড় কোটির প্রতারণার অভিযোগ থাকলেও সিব্বলের দাবি, অনুদান হিসাবে মোট চার লক্ষ ৬০ হাজার টাকা তোলা হয়েছে।
এই দম্পতির বিরুদ্ধে গুজরাত পুলিশের প্রধান অভিযোগ ছিল তদন্তে সহযোগিতা না করার। ডিভিশন বেঞ্চের তরফে এ দিন শেতলওয়ার দম্পতিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাবতীয় তথ্য এবং নথি নিয়ে পুলিশকে তদন্তে সহযোগিতা করতে। এই সময়ে তাঁদের সঙ্গে সোসাইটির হিসাব পরীক্ষকও থাকতে পারবেন বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। তবে কোনও অবস্থাতেই এই মামলায় তাঁদের গ্রেফতার না করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy