সার্ক সম্মেলনে যোগ দিতে আগামী বছর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পাক সফর হচ্ছেই বলে দাবি করলেন সে দেশের বিদেশনীতি বিষয়ক পরামর্শদাতা সরতাজ আজিজ। ইসলামাবাদে মুসলিম দেশগুলির এক চিন্তন শিবিরে রবিবার যোগ দিয়েছিলেন আজিজ। শিবির শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এই মন্তব্য করেন তিনি।
আগামী বছর পাকিস্তানে সার্ক গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির সম্মেলন হবে পাকিস্তানে। ভারত-পাক ছাড়াও সম্মেলনে হাজির থাকবেন আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ভুটান, মলদ্বীপ এবং শ্রীলঙ্কার প্রতিনিধিরা। এতে নরেন্দ্র মোদীর যোগদান নিয়ে আজিজের এই মন্তব্য ষথেষ্ট তাত্পর্যপর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার কথা বলেছিল। প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে তাঁর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন পাক প্রধামন্ত্রী নওয়াজ শরিফও। এর পর গত বছরের অগস্টেই দু’দেশের মধ্যে বিদেশসচিব পর্যায়ের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সে বৈঠকের প্রাক্কালে পাক হাইকমিশনারের সঙ্গে কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের বৈঠকে ক্ষুব্ধ হয় কেন্দ্র। ফলে শেষ মুহূর্তে বৈঠক বাতিল করে ভারত। এর পর গত কয়েক মাসে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বহু বার সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে পাকিস্তান। এর পর থেকে দু’দেশের মধ্যেই সম্পর্ক ফের তলানিতে ঠেকে।
এই পরিপ্রেক্ষিতে গত কাল সরতাজ আজিজ আরও বলেন, “ভারত-পাক বৈঠক ষখনই হোক না কেন, দু’দেশেরই স্বার্থরক্ষা হয়, এমন সব ক’টি বিষয়ই সেখানে আলোচিত হবে।” গত মার্চের গোড়ায় পাকিস্তানে ‘সার্ক সফর’ করেন বিদেশসচিব এস জয়শঙ্কর। সে সময় পাক বিদেশসচিব আইজাজ চৌধুরীর সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনাও সারেন তিনি। সেই বৈঠকে প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক ছাড়াও সার্ক নিয়ে মোদী সরকারের প্রত্যাশার প্রসঙ্গটিও আলোচিত হয় বলে সূত্রের খবর। সেই প্রসঙ্গ তুলে আজিজ জানিয়েছেন, ভারতের বিদেশসচিবের সফরের মূল উদ্দেশ্য সার্ক নিয়ে আলোচনা হলেও ওই বৈঠকে ভারত-পাক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়েও আলোচনা হয়।