Advertisement
E-Paper

একই মেট্রোয় দু’টি আত্মহত্যা, বিপর্যস্ত পরিষেবা

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০১৪ ২০:১২

ফের মেট্রোয় আত্মহত্যার জেরে ব্যাহত হল যাত্রী পরিষেবা। সোমবার পর পর দুই স্টেশনে একই ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেওয়ায় দু’জনের মৃত্যু হল।

এ দিন ৩টে নাগাদ কালীঘাট মেট্রো স্টেশনে কবি সুভাষগামী একটি বাতানুকূল মেট্রো স্টেশনে ঢোকার মুখে আচমকা লাইনে ঝাঁপ দেন এক ব্যক্তি। চালক বিপদ বুঝতে পেরে চিৎকার করে ওঠেন। ব্রেকও কষেন। কিন্তু তত ক্ষণে ওই ব্যক্তি ট্রেনের চাকার তলায় ঢুকে গিয়েছেন। যাত্রীরা একটি তীব্র শব্দ শুনতে পান। সঙ্গে ঝাঁকুনি। ট্রেনটি কিছুটা এগিয়ে থেমে যায়। হতভম্ব চালক ধাতস্ত হওয়ার পর নিজের কেবিনের দরজা খুলে দিলে যাত্রীরা তা দিয়ে প্ল্যাটফর্মে নেমে আসেন। দুর্ঘটনা ঘটেছে বুঝতে পেরে প্ল্যাটফর্মে চলে আসেন পুলিশ ও মেট্রোকর্মীরাও। তাঁরাই উদ্ধারকাজ শুরু করেন। কিন্তু দেহটি এমন ভাবে মেট্রোর তলায় ঢুকে গিয়েছিল যে বের করা যাচ্ছিল না। কিছু ক্ষণ পরে ট্রেনটিকে কিছুটা পিছনে নিয়ে যাওয়া হয়। তার পর মেট্রোর তৃতীয় লাইনে বিদ্যুৎ সরবারহ বন্ধ করে দিয়ে মেট্রোকর্মীরা দেহটি বার করে আনেন। তত ক্ষণে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সুদীপ ঘোষাল (৪৫)। তিনি ঠাকুরপুকুরের বাসিন্দা। এর পর ট্রেনটি ফের ৩-৪৪ মিনিট নাগাদ যাত্রা শুরু করে।

এই অঘটনের পরে এ দিন ফের মেট্রো স্টেশনে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। প্রথম দুর্ঘটনার পর পাঁচটি স্টেশন পার করতেই ফের আবারও ঝাঁপ। ওই ট্রেনেরই সামনে।

মেট্রো সূত্রের খবর, কালীঘাট থেকে কবি নজরুল স্টেশনে মেট্রো ঢোকার মুখে প্ল্যাটফর্ম থেকে এক মহিলা ট্রেনের লাইনে ঝাঁপ দেন। ওই মহিলার দেহ এমন ভাবে ট্রেনের চাকায় জড়িয়ে কেটে গিয়েছিল যে শনাক্ত করাই কঠিন হয়ে যায়। পরে পুলিশ জানায়, মৃতের নাম সন্ধ্যা চন্দ্র (৩৫)। বাড়ি সোনারপুরের রাজপুর এলাকায়। ওই ঘটনার পরে ফের মেট্রো পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়।

suicide metro
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy