Advertisement
E-Paper

ক্ষমতার ‘কেন্দ্রীকরণ’-এ বিশ্বাসী নন, মন্ত্রিসভা গঠনে প্রমাণ মোদীর

তাঁর নতুন মন্ত্রিসভায় কারা ঠাঁই পেতে চলেছেন তা নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই দেশীয় ও রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনা চলছিল। রবিবার সেই জল্পনার অবসান হল। তবে এ দিনের সবচেয়ে তাত্পর্যপূর্ণ বিষয় হল, নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের ক্ষেত্রে মোদী তাঁর সাম্রাজ্য উত্তর থেকে দক্ষিণ এবং পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত বিস্তার করেছেন। পাশাপাশি, শরিক দলগুলিকেও হতাশ করেননি।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০১৪ ১৯:৩১

তাঁর নতুন মন্ত্রিসভায় কারা ঠাঁই পেতে চলেছেন তা নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই দেশীয় ও রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনা চলছিল। রবিবার সেই জল্পনার অবসান হল। তবে এ দিনের সবচেয়ে তাত্পর্যপূর্ণ বিষয় হল, নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের ক্ষেত্রে মোদী তাঁর সাম্রাজ্য উত্তর থেকে দক্ষিণ এবং পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত বিস্তার করেছেন। পাশাপাশি, শরিক দলগুলিকেও হতাশ করেননি।

১৯৮৭-তে রাজ্য হিসাবে পরিচিতি পাওয়ার পর এই প্রথম গোয়া থেকে কোনও মন্ত্রী মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেলেন। শুধু তাই একেবারে পূর্ণমন্ত্রী হিসাবে। তিনি মনোহর পারিক্কর। এত দিন মন্ত্রিসভার পাল্লা ভারী করত বিহার ও উত্তরপ্রদেশ। মোদী দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিনিধিদের তুলে এনে সেই ‘ট্র্যাডিশন’ ভাঙলেন। এ বার তাঁর নতুন সংসারে রাজস্থান, মহারাষ্ট্র এবং গুজরাত থেকে দু’জন করে মন্ত্রী জায়গা পেয়েছেন। অন্য দিকে, হিমাচলপ্রদেশ, হরিয়ানা, পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশ ঝাড়খণ্ড এবং পঞ্জাবের মতো রাজ্যগুলিকেও তিনি কাছে টেনে নিয়েছেন।

এর আগেও দেখা গিয়েছে উত্তর-পূর্ব থেকে তাঁর মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হয়েছে অরুণাচলপ্রদেশের কিরেন রিজুজু-র। এ বার হিমাচলপ্রদেশ থেকে তুলে আনা হয়েছে জে পি নাড্ডাকে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলগুলির প্রতি মোদী যে নজর দিতে শুরু করেছেন এই দুই মন্ত্রীর অন্তর্ভুক্তিকরণে তারই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

মোদীর মন্ত্রিসভার আর একটি নতুন চমক হল পশ্চিমবঙ্গ। বাবুল সুপ্রিয়কে তাঁর মন্ত্রিসভায় জায়গা দিয়ে ফের ‘প্রমাণ’ করলেন রাজনীতির ‘কেন্দ্রীকরণ’-এ তিনি বিশ্বাসী নন। গত ২৭ মে মোদী যখন তাঁর মন্ত্রিসভা গঠন করতে চলেছেন সেখানে বাংলার একমাত্র প্রতিনিধি এবং প্রথমবারেই জয়ী হওয়া বাবুল সুপ্রিয়কে স্থান দেওয়া হবে বলে আশা করেছিল আপামর বাঙালি। সে দিন মোদীর ছোট মন্ত্রীসভায় বাবুলের ঠাঁই হয়নি ঠিকই, কিন্তু তাঁকে আগামী দিনে যে প্রয়োজন সেই বার্তাও দিয়ে রেখেছিলেন তিনি। সে দিন বাঙালির হাসি মলিন হয়ে গেলেও পুরোপুরি মিলিয়ে যেতে দেননি মোদী। মাঝে মাত্র পাঁচ মাস কেটেছে। বাঙালির প্রায় মিলিয়ে যাওয়া হাসি ফিরিয়ে দিলেন এ দিন তাঁর ২১ সদস্যের মধ্যে বাবুলকে টেনে নিয়ে।

modi cabinet expansion babul supriyo
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy